জাতীয় সংসদ
পাকিস্তান নির্বাচন: কে কী কেন কীভাবে এবং এখান থেকে কোথায়!
পাকিস্তানের ৭৭ বছরের ইতিহাসের এবারের নির্বাচন যে সবচেয়ে কম বিশ্বাসযোগ্য হবে এ রকম ধারণা অনেক বিশ্লেষকের আগে থেকেই ছিল। এর কারণ ইমরান খান ও তার সহযোগীদের ওপর সামরিক বাহিনী যে দমন-পীড়ন চালিয়েছে, তা থেকেই বোঝা যায়। এটাকে ইলেকশন না বলে ‘সিলেকশন’ বলা ভালো। মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরাও নিন্দা করেছেন এটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। ভোটাররা যখন ভোট দিতে গেছে তখনো পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর প্রভাব এং রাজনৈতিক অস্থিরতা সম্পূর্ণ ফুটে উঠেছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সংঘাত ও সহিংসতা
রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তিত হয়, রাজনীতির মাধ্যমে নতুন নতুন ভাবনা-চিন্তার অবকাশ ঘটে থাকে। রাজনীতিকে বাদ দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ অসম্ভব। অর্থাৎ রাজনীতি আমাদের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। সঙ্গত কারণেই রাজনীতি নিয়ে এ দেশের মানুষের আগ্রহও তুলনামূলকভাবে বেশি। রাজনীতি সচেতন মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ও যুবকদের ভোটাধিকার
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কি না- মানুষের মধ্যে এ নিয়ে সংশয়, শঙ্কা ও উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে। শুধু নির্বাচন নয়, এটা নিয়ে নানা ডালপালা গজাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হওয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। জনজীবনের অন্যান্য সংকট বাড়লেও সবকিছু ছাপিয়ে নির্বাচনের আলোচনা সামনে চলে আসছে। নির্বাচন এমন একটি সময়- যখন দেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে তাদের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু তার বদলে দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দলের পরস্পরের প্রতি দড়ি টানাটানি দেখতে ক্লান্ত। আওয়ামী লীগ চায় শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে, আর বিএনপি ও অন্যান্য দলের দাবি এর সম্পূর্ণ বিপরীত।