নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করুন
রোহিঙ্গা-সংকট থেকে কি বাংলাদেশের কোনোভাবেই মুক্তি নেই? সাত বছর ধরে বাংলাদেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা আটকা পড়ে আছে। এখন আবার নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে বাংলাদেশে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আসা মানেই তাদের আটকা পড়ে যাওয়া, যা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য বিশাল এক হুমকি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংবাদপত্রের খবর থেকে জানা যায়, টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে নতুন করে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হওয়ায় রোহিঙ্গা নাগরিকদের অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে দেশত্যাগের জন্য সীমান্তে জড়ো হয়েছেন বলে সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।
তবে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। জানা গেছে, নাফ নদের ওপারে মংডু শহরের নিকটবর্তী খায়েনখালী খালসহ কয়েকটি এলাকার আশপাশে রোহিঙ্গারা জড়ো হয়েছে। এরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টেকনাফে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন। গতকাল বিকেল ৫টার পর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের কাউয়ারবিল ও পেরাংপুরু এলাকায় একের পর এক মর্টার শেল, বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সেসব স্থানে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ছে। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলমান লড়াই চলছে সাড়ে তিন মাস ধরে। বাংলাদেশ নানাভাবেই এই সংকটের মধ্যে পড়ছে। এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের উচিত অতি শিগগির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া। যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটলে তা বাংলাদেশের জন্য আরও বড় ক্ষতির কারণ হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে