গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি শিগগিরই কার্যকর হবে: হোয়াইট হাউস
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে চুক্তিটি সঠিক পথে আছে এবং শিগগিরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা সিএনএনকে তিনি এ কথা বলেন।
কারবি আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে এটি (যুদ্ধবিরতি চুক্তি) লাইনচ্যুত হতে চলেছে, এমনটা বলার মতো আমরা এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না।’
গতকাল ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভোটাভুটির কথা থাকলেও তা হয়নি। এ বিষয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার বা আগামীকাল শনিবার ভোট হতে পারে।
এদিকে চুক্তিটি ঝুলে থাকার জন্য হামাসকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইজ্জত আল রেশিক বলেছেন, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছেন।
এমন অবস্থায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আলোচনার ক্ষেত্রে যেসব অমীমাংসিত বিষয় আছে, সেগুলোর সমাধান করা দরকার।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার প্রথম ছয় সপ্তাহে গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্য থেকে ৩৩ জনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা দোহায় ছিলেন এবং মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা এটি সমাধানের জন্য কাজ করছেন।
অপরদিকে গতকাল রাতেও গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার ঘোষণা আসার পরদিন ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের তথ্যমতে, এতে ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়। জবাবে সেদিন থেকে গাজায় ইসরায়েল হামলা চালানো শুরু করে। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে