চাঁদপুরের ঘটনা ‘নিছক কোনো ডাকাতি নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে সারবাহী এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজে দুর্বৃত্তদের আক্রমণে নিহতদের মরদেহ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করেছেন স্বজনরা। এসময় তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে হাসপাতাল এলাকা। স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ‘এ ঘটনা নিছক কোনো ডাকাতি নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করেন।
হাসপাতালে মরদেহ নিতে এসেছিলেন নিহত জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়ার ভাগিনা এবং নিহত সবুজের ছোট ভাই। তারা বলেন, সবগুলো লাশের মাথায় চাপাতির মতো কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যা দেখে মনে হয় এটা পরিকল্পিতভাবে পেশাদার খুনিরা করেছে।
নিহত সালাউদ্দিনের একজন স্বজন বলেন, এটা নিছক কোনো ডাকাতি নয়। ডাকাতি বলার কোনো কারণও দেখি না। ডাকাতি হলে নিহতদের সঙ্গে থাকা মোবাইল কিংবা নগদ টাকা নিয়ে যেতো। কিন্ত হত্যাকারীরা কিছুই নেয়নি।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ফরিদ আহমেদ আখন্দ বলেন, সুরতহাল এবং পোস্টমর্টেম শেষে স্বজনদের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার পর জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও পুলিশ। আর রক্তাক্ত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পর তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। জাহাজে খুন হওয়া ৫ জনই তাদের নিজ নিজ কেবিনে ছিলেন এবং সেখানে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রীজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম। নিহত একজনের নাম জানা যায়নি। আর আহত ব্যক্তি হলেন- জুয়েল। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি নড়াইল জেলায়।
নৌ পুলিশ জানিয়েছে, জাহাজটি চাঁদপুর সদর থানার মেঘনা নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। সেটিতে সার পরিবহন করা হচ্ছিল।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে