চারুকলাতে চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি
প্রতিবারের মতো এবারও বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ। পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য চারুকলার শিক্ষক, বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে তৈরি হচ্ছে শোভাযাত্রার মুখোশ, রঙিন মোটিফ, পাখি, মাছ, বনবিবি ও গাজীর পটচিত্র।
এবারের নববর্ষের প্রতিপাদ্য হলো নববর্ষের ‘ঐকতান ও ফ্যাসিবাদের অবসান’। তবে এবার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের তেমন উদ্দীপনা দেখা যায়নি। নেই তেমন কর্মব্যস্ততাও। আয়োজক সংশ্লিষ্টরা জানায়, মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য শিক্ষার্থীরা রাতভর কাজ করে চলে গেলেও সকালবেলা কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শোভাযাত্রার জন্য স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি, জাতীয় মাছ ইলিশ, শান্তির পায়রা, কাঠের বাঘসহ বেশ কয়েকটি মোটিফ তৈরির কাজ চলছে। এই চারটি মোটিফের পাশাপাশি মীর মুগ্ধকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একটি পানির বোতলও নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। সবকিছু মিলে পহেলা বৈশাখের আগেই সব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
এবার শুরু থেকেই মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কিনা তা নিয়ে নানা হয়েছে বিতর্ক। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম শেখ ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ১১ তারিখের মধ্যে জানা যাবে নাম পরিবর্তন হবে কি না।
তিনি বলেন এবার শোভাযাত্রা জাদুঘর থেকে শুরু হয়ে চারুকলা, টিএসসি, রোকেয়া হল হয়ে ভাষা ইনস্টিটিউট পর্যন্ত যাবে।
১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু থেকেই এক সার্বজনীন উৎসব হলেও এবার আরও মানুষের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। এ বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রাও শান্তির বার্তা বয়ে আনবে বলে আশা করছেন আয়োজক সংশ্লিষ্টরা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে