বুধবার চবির সমাবর্তনে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তন বুধবার (১৪ মে)। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস চবির সাবেক শিক্ষকও। সমাবর্তনে তাকে দেয়া হবে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসছেন প্রধান উপদেষ্টা।
নয় বছর পরে আয়োজিত বহুল প্রতীক্ষিত সমাবর্তন ঘিরে আনন্দে আবেগাপ্লুত বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা। গায়ে কালো গাউন জড়িয়ে আর মাথায় টুপি পরে, হাতে সনদ নিয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটানোর অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় ২৩ হাজার সাবেক শিক্ষার্থী। তাদেরকে সনদপত্র ছাড়াও সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেয়া হবে।
দুদিন ধরে স্ব স্ব বিভাগ থেকে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীরা সংগ্রহ করছেন সমাবর্তনের মূল আকর্ষণ গাউন, টুপি। মঙ্গলবারও (১৩ মে) সকাল থেকেই প্রতিটি বিভাগে সেগুলো সংগ্রহে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। গাউন, টুপি হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত অনেকেই।
দূর দূরান্তের জেলা থেকেও ক্যাম্পাসে এসেছেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। কেউ এসেছেন মা-বাবাকে নিয়ে কেউবা আবার সন্তান ও জীবনসঙ্গীকে নিয়ে। বন্ধুদের সঙ্গেও এসেছেন অনেকেই। ক্যাম্পাসজুড়ে সমাবর্তনের গাউন পরে আগেই ছবি তুলে স্মৃতি ধারণ করে রাখছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট, শহীদ মিনার, সায়েন্স ফ্যাকাল্টি, বুদ্ধিজীবী চত্বর, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, সেন্ট্রাল ফিল্ড, মেরিন সায়েন্স ভবনগুলো ঘুরে ঘুরে স্মৃতিচারণ করছেন তারা। নিজ নিজ বিভাগের সামনে বসানো ফটোবুথেও ছবি তুলতে দেখা গেছে অনেককে।
একদিন আগেই ক্যাম্পাস মাতিয়ে তোলা সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানান, প্রায় এক দশক পর পুরোনো বন্ধুদের দেখা পাওয়ার উত্তেজনা, শিক্ষকদের কাছে গিয়ে সেই পুরোনো হাস্যরসের মুহূর্ত খুঁজে নেয়া, সবকিছুই ফের রূপ নিতে যাচ্ছে বিস্ময়কর বাস্তবতায়। বহুদিন পর সবাই আবার একত্রিত হতে পারবেন, এটি হবে তাদের আনন্দঘন প্রাণের মিলনমেলা।
অনেক প্রতীক্ষার পর সমাবর্তনে অংশ নেয়ার এই সুযোগকে পরম পাওয়া বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, অতিথি, অভিভাবকসহ প্রায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটবে বিশাল এই মিলনমেলায়। সমাবর্তন ঘিরে পুরো ক্যাম্পাস সেজেছে উৎসবের সাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তৈরি করা হয়েছে দেড় লাখ স্কয়ার ফিটের আকর্ষণীয় প্যান্ডেল। বর্ণিল আলোকসজ্জা, ব্যানার- ফেস্টুনে মোড়া এখন চবি ক্যাম্পাস।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে