ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে নজর রাখছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট-সিএএ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যেহেতু বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ, সে হিসেবে আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি দফতর আবারো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে -সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো দফতর তাদের মতামত দিতেই পারে। তারা বলেছে, বিরোধী দল অংশগ্রহণ করেনি। বাংলাদেশে ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ করা না করা, সেটি সরকারের ওপর বর্তায় না, সেটি সে দলের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সে দল নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল, সেই লক্ষ্যে দেশে সহিংসতা ঘটিয়েছিল এবং সহিংসতার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদেরকেই শুধু গ্রেফতার করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব ও সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে তারা কাজ করছে, আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার জন্য এবং আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক, সেটি আরো বিস্তৃত করার লক্ষ্যে কাজ করছি।
যেকোনো দেশের ভিন্নমত আমরা সম্মান করি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। পৃথিবীর প্রায় ৮০ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সম্পর্ক দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নীত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। সুতরাং আমাদের বিবেচনায় এ অঞ্চলের নিরিখে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে