সিআরভিএস নিয়ে সিভিল সোসাইটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত
নারী মৈত্রী ও প্রজ্ঞার আয়োজনে এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর জিএইচএআই-এর সহায়তায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক্স (সিআরভিএস) পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ওয়াইডব্লিউসিএ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই পরামর্শ সভায় সরকারি প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগীরা অংশগ্রহণ নেন। তারা বাংলাদেশে সিআরভিএস ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি। সভায় বাংলাদেশের বর্তমান সিআরভিএস ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নে এর ভূমিকা এবং সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর করণীয় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মুর্শিদা শারমিন, বিশেষ অতিথি জিএইচএআই’র বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস এবং ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন।
প্রধান অতিথি মুর্শিদা শারমিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে সিভিল সোসাইটির যৌথ প্রচেষ্টায় জিএইচএআর ব্যবস্থার উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।’
নারী মৈত্রীর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর খালেদ বিন ইউসুফ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, যেখানে তিনি সিআরভিএস ব্যবস্থার সার্বিক চিত্র, স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন শক্তিশালীকরণে এর প্রাসঙ্গিকতা এবং বাংলাদেশে এর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যার বিষয়বস্তু ছিল ‘সিআরভিএস নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণে সিভিল সোসাইটির ভূমিকা’। সেশনটি সঞ্চালনা করেন নারী মৈত্রীর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর খালেদ বিন ইউসুফ।
সভায় অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ওয়ার্ল্ড ক্যাফে সেশন আয়োজন করা হয়। এতে শিশু অধিকার, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, মানবাধিকার এবং রাষ্ট্রহীনতা বিষয়ে আলোচনা হয়। পাঁচটি টেবিলে বিভক্ত এই সেশনে প্রতি ১৫ মিনিট পর অংশগ্রহণকারীরা টেবিল পরিবর্তন করে নতুন আলোচনায় যুক্ত হন। আলোচনার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—গণসচেতনতা বৃদ্ধি, মিডিয়া ক্যাম্পেইন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ এবং স্বাস্থ্যখাতের সঙ্গে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সমন্বয়।
সভায় বক্তারা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর সিআরভিএস ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নারী মৈত্রীর সিনিয়র অ্যাডভোকেসি অফিসার আনিকা আনজুম ঐশী।
এই পরামর্শ সভার মাধ্যমে একটি সিভিল সোসাইটি ফোরাম গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশের সিআরভিএস ব্যবস্থার উন্নয়নে নীতি-নির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে