জ্বিনের আছরে গায়েব হয়েছিলেন সহ সমন্বয়ক খালেদ, দাবি বাবার
নিখোঁজের চারদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক খালেদ হলে ফিরে আসলে তাকে ঘিরে ক্যাম্পাসে এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছিল তাকে অপহরণ করে গুম করা হয়েছিল। কিন্তু চারদিন পরে ফিরে এসে খালেদ ও তার বাবা জানালেন অন্য তথ্য।
খালেদের বাবা লুৎফর রহমান দাবি করেন, খালেদকে অপহরণ করা হয়নি। বরং জ্বিনের আসরের প্রভাবে নিঁখোজ হতে পারেন খালেদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন খালেদের বাবা লুৎফর রহমান।
এর আগে এমন নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'স্কুলজীবনে যখন ৯ম-১০ম শ্রেণিতে পড়ছিল তখন এমন একবার ঘটেছিল, পরে তাকে ফিরে পাই। তখনও সে বলতে পারেনি সে কোথায় ছিল। বিষয়টি আমাদের মাঝেই ছিল। মসজিদ-মাদ্রাসায় মানতের পরই সেইবারের বিষয়টি ওভাবেই শেষ হয়ে যায়।কেননা সন্তানকে ফিরে পেয়েছি এটাই তো অনেক। তবে এবারও সন্দেহ হয়েছিল, এর আগে এমন ঘটেছিল। আমি এই বিষয়টিও সবাইকে অবগত করেছি।'
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে খালেদের বাবা জানান, সে বর্তমানে মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। আগামী শনিবার আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর খালেদের মানসিক অবস্থার বিষয়ে আরও জানা যাবে।
এদিকে খালেদ বলেন, 'আমার আবছা মনে আছে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে আমাদের গাড়ি থামে। এ সময় আমার সাথে চারজন ছিল। পরে আমি পঞ্চগড় গিয়ে গরুর মাংস দিয়ে ভাতও খেয়েছি বলে মনে আছে। কিন্তু কোনোকিছুই স্পষ্ট খেয়াল করতে পারছি না। এরপর আমি বরিশালে নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। সেখান থেকে বাসে উঠে সায়েদাবাদ নেমে হলে আসি। পরে আমি পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে পারি ৯ম শ্রেণিতে পড়ার সময়ও আমি ছয়দিনের মতো নিখোঁজ ছিলাম।'
বর্তমানে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ দাবি করে তিনি বলেন, 'এই চারদিন আমার সঙ্গে কি হয়েছে, তা এখনও বুঝতে পারছিনা।'
গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খালেদ। নিখোঁজের চারদিনের মাথায় গত ২৪ ডিসেম্বর হলে ফিরে আসেন তিনি। পর ওই রাতেই শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো না হওয়াতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে তার নিখোঁজের বিষয়ে বিস্তারিত বলেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে