ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামে চিরুনি অভিযান: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরে পুরান ঢাকায় অবস্থিত অবৈধ রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে মতিঝিলের ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ‘পুরোনো ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক এক স্টেকহোল্ডার মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মেয়র তাপস বলেন, পুরাতন ঢাকা আমরা আর ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে পারি না। কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং এটা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ইতোমধ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি স্থানান্তরের জন্য যে গুদাম ঘর, কারখানা প্রয়োজন তা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শ্যামপুরে শিল্পাঞ্চলে করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত সেখানে মাত্র একজন গিয়েছেন। আমরা তাকে বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) দিয়েছি। আরেকজন আবেদন করেছেন। সেটাও আমরা করে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই সভার মাধ্যমে পুরান ঢাকায় যারা রাসায়নিক ব্যবসা করছেন তাদের প্রতি আমার নিবেদন এবং কঠোর হুঁশিয়ারি থাকবে। আপনারা আইন অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে সেখানে স্থানান্তরিত হন। না হলে ঈদের পরে আমরা চিরুনি অভিযান চালাবো।
এ সময় রাসায়নিক দ্রব্যাদির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এমন ভবনগুলোকে প্রয়োজনে সিলগালা করে দেওয়ার ইঙ্গিতও দেন ডিএসসিসি মেয়র।
এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমাদের তালিকাভুক্ত ১৯২৪টি রাসায়নিক দ্রবাদির গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেখানে রয়েছে। আমরা ২০১৭ সালের পর হতে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন বন্ধ রেখেছি। তারপরও আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সেখানে ব্যবসা করছেন। আমরা ঈদের পরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে সবগুলো বন্ধ করে দেবো।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয় হলো, সেসব ভবনের উপরে কিন্তু অনেকেই আবাসন হিসেবে ব্যবহার করেন আবার নিচে গুদাম ঘর। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই প্রয়োজনে সেসব ভবন সিলগালা করে বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করে দেবো। এতে পুরো ভবন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন যে ভোগান্তি হবে সেজন্য আপনারা আমাদের দোষারোপ করতে পারবেন না।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মো. আব্দুল বাকী মিয়াসহ পুরান ঢাকা কেন্দ্রিক ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে