মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে ব্যর্থতা, কারণ অনুসন্ধানে ৬ সদস্যের কমিটি
ভিসা পেয়েও ৩১ মে’র মধ্যে প্রায় ৩১ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে না পারায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী প্রেরণে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান, গমনেচ্ছু কর্মীদের হয়রানিসহ ভবিষ্যতে অনুরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, এমপি।
কমিটিকে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
আজ রবিবার (২ জুন) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ বিষয়ে সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গত ৩১ মে পর্যন্ত বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গিয়েছেন। সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি।”
তিনি বলেন, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর লক্ষ্যে অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়াও, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন করে আমরা একটি চিঠিও পাঠিয়েছি।”
সিন্ডিকেটের বিষয়ে তিনি জানান, যে দেশ জনশক্তি নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তবে, সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না। সরকার অনুমোদিত সকল এজেন্সিগুলো যেন লোক পাঠাতে পারে, সেটা চায় সরকার।
মালয়েশিয়ার শ্রমমাজার শিগগিরই খোলার বিষয়ে আশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে