কপ২৯: ২৫০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর
আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৯) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় বার্ষিক ২৫০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে ধনী দেশগুলো। তবে পৃথিবীর দ্রুত উষ্ণায়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো তা প্রত্যাখ্যান করে দর কষাকষি অব্যাহত রেখেছে।
ক্যাস্পিয়ান সাগরের শহর বাকুর স্টেডিয়ামে শুক্রবারের (২২ নভেম্বর) বিরামহীন আলোচনায় বিরক্তিকর এবং নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছেন প্রায় ২০০টি দেশের আলোচকরা। ক্রমবর্ধমান সমুদ্রদূষণ, কঠোর খরা এবং দুর্যোগের মুখোমুখি দরিদ্র দেশগুলোকে সমঝোতায় আনার চেষ্টায় আলোচনা গড়িয়েছে শনিবার (২৩ নভেম্বর) পর্যন্ত ৷
সকাল পর্যন্ত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করতে পারেনি দেশগুলো।
কপ২৯ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক আজারবাইজান অবশ্য আশাবাদী, সমাপনী অধিবেশনে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বৈশ্বিক চুক্তি করা যাবে।
দুই সপ্তাহের আলোচনার পর শুক্রবার ধনী দেশগুলো ২০৩৫ সাল নাগাদ দরিদ্র দেশগুলোর জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রস্তাব দেয়।
প্রস্তাবটি এমন দেশগুলো প্রত্যাখ্যান করছে, যাদের নিজ নিজ অর্থনীতিকে পরিষ্কার শক্তিতে স্থানান্তর এবং জলবায়ু ধাক্কাগুলোর স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন৷
উন্নয়নশীল দেশগুলোর গ্রুপ কমপক্ষে ৫০০ বিলিয়ন দাবি করেছিল এবং কেউ কেউ বলেছিল যে, মুদ্রাস্ফীতিতে ধনী দেশগুলোর প্রস্তাবিত সংখ্যা বাস্তবে অনেক কম হবে।
ক্রমবর্ধমান সমুদ্রদূষণে হুমকির মুখে থাকা প্রবাল প্রাচীরের দেশ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের জলবায়ু দূত টিনা স্টেজ বলেছেন, ‘এ ধরনের প্রস্তাব সামনে রাখা লজ্জাজনক’।
জলবায়ু সংকটে অস্তিত্বের হুমকিতে পড়া অ্যালায়েন্স অফ স্মল আইল্যান্ড স্টেটসও বলেছে, ‘প্রস্তাবটি আমাদের দুর্বল মানুষের প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়েছে’।
আরেক প্রভাবশালী ব্লক আফ্রিকান গ্রুপ অফ নেগোসিয়েটসের চেয়ারম্যান আলী মোহাম্মদ এটিকে ‘সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং অপর্যাপ্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।
দেশগুলোকে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানালেও আজারবাইজান অবশ্য স্বীকার করেছে, সংখ্যাটি যথেষ্ট ‘ন্যায্য বা উচ্চাভিলাষী’ নয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে