দুর্নীতি আর উন্নয়ন একই সঙ্গে চলতে পারে না
সম্প্রতি দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় এবং বিদেশি প্রচারমাধ্যম। দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আছে, তাতে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বড় বড় দুর্নীতির সংবাদ ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে। দেশের মূল ধারার পত্রিকাগুলো নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও দুর্নীতিবিরোধী ভূমিকা পালন করে চলেছে। আর ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেকটা স্বাধীনভাবেই দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে চলেছে। এদের প্রচারের কারণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক ধরনের জনসচেতনতা তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে এসব দুর্নীতির সংবাদ পড়ছে। ফলে তাদের মাঝে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব জাগ্রত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির কয়েকটি ঘটনা সারা দেশব্যাপী প্রচণ্ড আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে কল্পনাতীত সম্পদ অর্জন এবং অন্যটি হচ্ছে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাইদের অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা। এর মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগটি সরাসরি আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, তবু তিনি তার স্বীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাইদের অন্যায়-অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা করেছেন, যা গর্হিত অন্যায়। আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ভিসা বাতিল করেছে, তাই ইস্যুটি নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হইচই ফেলে দিয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হবার পর আজিজ আহমেদ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, এ ধরনের সামান্য দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহার অনেকেই করে থাকেন। তার মতে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাত্রা খুবই কম ছিল। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলের ছাগলকাণ্ড, পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির একজন চাকরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের বিষয়গুলো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত ব্যাপক দুর্নীতির প্রসঙ্গটি দেশের অভ্যন্তরেই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কল্পনাতীত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। একজন পুলিশপ্রধান তার সমস্ত চাকরিজীবনে যে বেতনভাতা পেয়েছেন তা দিয়ে এত বিশাল সম্পত্তির মালিক হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। একটি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীরের দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলাকালেই ধারাবাহিকভাবে আরও কয়েকটি মারাত্মক দুর্নীতির কাহিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ সুশাসন এবং স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি হয়। দুর্নীতির মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছেন, এটা সবাই কমবেশি জানত; কিন্তু সেই দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ যে এত ব্যাপক তা অনেকেরই ধারণার বাইরে ছিল। দুর্নীতির বড় বড় কিছু ঘটনা পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার কারণে যেসব দুর্নীতির ঘটনা এতদিন আড়ালে পড়ে ছিল, সেগুলোও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
বামপন্থিরা সব সময়ই বলে আসছে, বর্তমানে রাষ্ট্র দখলকৃত হয়ে গেছে তিনটি শক্তির কাছে। এগুলো হচ্ছে, অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ রাজনীতিবিদ ও অসৎ আমলা। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন নীতি বা পলিসি যাই থাকুক না কেন, তারা সেটাকে পরোয়া না করে কখনো পলিসিকে স্থগিত রেখে বা বাস্তবায়ন না করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে চলেছে। স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এরা অনেক সময় বিদ্যমান পলিসিকে পরিবর্তন করে থাকে। এটা মূলত ক্ষমতার অপব্যবহার বলা যায়। এই তিনটি গোষ্ঠীর মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে। আমি তৃণমূল রাজনৈতিক কর্মীর কথা বলছি না। যারা উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা এ ধরনের রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান তারা নানা উপায়ে দুর্নীতি এবং অন্যায় কর্মের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। যে যেখানে সুযোগ পাচ্ছে সেখান থেকেই বিত্তবৈভব অর্জন করছে। আমলাদের মধ্যেও যারা বিশেষভাবে ক্ষমতাবান বা ক্ষমতা প্রয়োগের সক্ষমতা আছে তাদের বড় অংশই নানাভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন করে চলেছেন। এরা যেন সব জবাবদিহির ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনেকেই ভুলে গেছেন যে, তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহির ব্যাপার আছে। দুর্নীতি যে শুধু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা করেন তা নয়। অনেক ক্ষেত্রে গাড়িচালক থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ে কর্মচারীরাও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হচ্ছেন।
যারা বিভিন্ন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বা যারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা আছেন তাদের এক ধরনের বিশেষ ক্ষমতা থাকে। সেই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে তারা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেন। বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারেন। তাদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা তারা কীভাবে ব্যবহার করছেন সেটাই বিবেচ্য বিষয়। তারা যদি অর্পিত ক্ষমতা সঠিকভাবে এবং নির্মোহভাবে ব্যবহার করেন তাহলে সর্বোচ্চ জনকল্যাণ সাধিত হতে পারে। আর যদি তারা সেই ক্ষমতা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহার করেন তাহলে দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সব আমলা, সব রাজনীতিবিদ এবং সব ব্যবসায়ীই খারাপ আমি সেটা বলছি না। এদের মধ্যে অনেকেই যারা নিঃস্বার্থভাবে দেশের সেবা করে চলেছেন; কিন্তু এদের মধ্যে যারা বিশেষভাবে ক্ষমতাবান তাদের অধিকাংশই নানা দুর্নীতি-অন্যায় কর্মের মাধ্যমে অর্থবিত্ত গড়ে তুলছেন। প্রতিটি কাজেই ক্ষমতার পাশাপাশি দায়িত্ব বা জবাবদিহির ব্যাপার আছে এটা আমরা এখনো প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি।
বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখা যায় যারা ক্ষমতাসীন সরকারি দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যান; কিন্তু সরকার বা কোনো কর্তৃপক্ষ এদের কিছু বলেন না। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ সুশাসনের সম্ভাবনা তিরোহিত হচ্ছে। দুর্নীতিবাজদের মধ্যে পরস্পর সহযোগিতা করার একটি প্রবণতা প্রত্যক্ষ করা যায়। দুর্নীতিবাজদের প্রচণ্ড প্রভাবের কারণে ভালো আমলা, ভালো রাজনীতিবিদ এবং ভালো ব্যবসায়ীরা তাদের ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিতরা গুমরে মরছিল। তারা হতাশ হচ্ছিল। কারণ তারা মনে করতেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। কাজেই এদের কখনো কিছু হবে না। যারা সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন তাদের মূল লক্ষ্য দুর্নীতিমুক্ত দেশ নয়, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে যে কোনো ভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকা।
স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করতে হলে যেমন তাতে কিছু খাদ মেশাতে হয় তেমনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে কিছু খারাপ মানুষকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে হয়, পলিটিক্স মানে পলিট্রিকস এটাই প্রয়োগবাদী রাজনীতি। আমাদের দেশে ঠিক সেটাই প্রচার করা হচ্ছে বা সেটাই চলছে। যেমন ফ্রিডম পার্টিকে দমন করার জন্য যোসেফের মতো লোকের দরকার ছিল। অথবা ভোট বাড়ানো বা বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য জামাত ও হেফাজতকে ছাড় দেয়ার কৌশলরূপে দেখা যেতে পারে; কিন্তু খারাপ পন্থায় একটি কাজ করা হলে খারাপ পন্থার কাছে জিম্মি হয়ে যেতে হয়। যেহেতু খারাপ লোককে ব্যবহার করা হয়েছে তাই সেই সুযোগে খারাপ লোকটিও কিছু অনৈতিক সুবিধা পেতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘প্রথমে যেটি একটি উদ্দেশ্যের উপায়মাত্র থাকে, মানুষ ক্রমে সেই উপায়টিকে উদ্দেশ্য করিয়া তুলে’ ভালোভাবে ভালো কাজটি করাই হচ্ছে আসল ব্যাপার। নানারকম কায়দায় ‘মন্দের ভালো’ দেখিয়ে মন্দকে মেনে নেওয়ার এই সামাজিক মনস্তত্ত্ব গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, একটি দেশে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটলে অর্থনীতিতে কি ক্ষতি হয়? দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে গেলে দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা বা উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যহীন অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। দুর্নীতির কারণে দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অর্জিত সম্পদের সুষম বণ্টন হচ্ছে না। ফলে একটি শ্রেণি তাদের প্রাপ্য সুযোগের চেয়ে বেশি সম্পদ অর্জন করছে। আর একটি শ্রেণি ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে বিত্তবান এবং বিত্তহীনের মধ্যে বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুঁজিবাদের প্রাথমিক যুগে আদিম পুঁজি সঞ্চয় এভাবেই হয়; কিন্তু আমাদের দেশে এতই বেশি এবং এতই নিষ্ঠুর ও লাগাতারভাবে চলছে যে, পুঁজিবাদের কোনো সভ্য চেহারা দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়; কিন্তু আমরা এখনো এই দাবি করতে পারছি না যে, দেশের সব মানুষ ন্যায্যতার ভিত্তিতে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারছে। আমাদের দেখতে হবে, দেশের মোট উৎপাদন কমে যাচ্ছে কি না। আর উৎপাদিত সম্পদের বণ্টন ব্যবস্থায় কোনো বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে কি না। কোনো দেশে দুর্নীতিবাজরা যখন প্রশ্রয় পায় এবং তারা যদি দক্ষ হন, তাহলে মোট উৎপাদন হয়তো দুর্নীতির পরেও বৃদ্ধি পাবে; কিন্তু এই অবস্থায় সমাজে অসমতাও বৃদ্ধি পাবে। আর দুর্নীতিবাজরা যদি অদক্ষ হয় তাহলে মোট উৎপাদন কমে যায় এবং অসমতাও বেড়ে যায়। আমাদের দেশে দুর্নীতিবাজ কারা এবং তারা দুর্নীতিলব্ধ অর্থ-সম্পদ নিয়ে কি করছে? কোথায় কীভাবে তা ব্যবহার করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে।
দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ যদি দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহৃত হয় তাহলে এটা অপরাধ হলেও তা দেশের গড় অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। আর যদি দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ বা সম্পদ বিদেশে পাচার করা হয় তাহলে দেশ বঞ্চিত হবে। ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপি ঋণ দুর্নীতির ফল; কিন্তু এটা সব সময় নাও হতে পারে। কোনো অনিবার্য কারণে একজন উদ্যোক্তা বা ঋণগ্রহীতা নির্দিষ্ট সময়ে তার গৃহীত ঋণের কিস্তি ফেরত দিতে না পারলে তাকে দুর্নীতি হিসেবে আখ্যায়িত করা যাবে না; কিন্তু গৃহীত ঋণের অর্থ যদি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয় বা বিদেশে পাচার করা হয় তাহলে সেটা নিশ্চিতভাবেই অপরাধ। সেটাকে আদিম পুঁজি সঞ্চয়ের সাময়িক পর্যায় বলা যাবে না। সেটা উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশের জন্য সত্য হলেও আমাদের মতো প্রান্তিক তোষণমূলক পুঁজিবাদের জন্য সত্য নয়।
দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমাজে ন্যায়পরায়ণতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং বণ্টণ ব্যবস্থায় বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের যে কোনো মূল্যেই হোক দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে। দুর্নীতি আর উন্নয়ন একই সঙ্গে চলতে পারে না। সেজন্য বিকল্প আস্থাভাজন শ্রেণি সমাবেশ এবং বিকল্প সংগঠন ক্ষমতা তৈরি করাটাই হচ্ছে প্রকৃত পথ।
এম এম আকাশ: অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
অনুলিখন: এম এ খালেক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে