দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান কক্সবাজারে
বাংলাদেশের সব থেকে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে কক্সবাজারে। শেষ মুহূর্তে পুরোদমে তারই প্রস্তুতি চলছে কক্সবাজার সৈকতে।
বিজয়াদশমী শেষে বিসর্জনের জন্য জেলার বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে শত শত প্রতিমা আগামী ১৩ অক্টোবর কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টে আনা হবে। সেইসঙ্গে এই বিসর্জন দেখতে এদিন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে উপস্থিত হবে লাখো মানুষ।
সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও আনন্দমুখর পরিবেশে চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। এই বছর জেলায় ৩২১টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫১টি প্রতিমা পূজা ও ১৭০টি ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পূজায় আসা দর্শনার্থী পাভেল দাশ জানান, এবার পূজায় একটু ভয় কাজ করছে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য। তবে পূজাতো বছরে একবার আসে, তাই পরিবারের সবাই মিলে নির্বিঘ্নে যেন পূজা এবং বিসর্জন অনুষ্ঠানের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারি, সেই আশা করছি।
সারাদেশের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় এবারের দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও প্রশাসন যেভাবে নিরাপত্তা জোরদার করেছে, তাতে কোনো ধরনের ভয় বা শঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু।
কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, উৎসব উদযাপনকে নির্বিঘ্ন করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কক্সবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো পূজামণ্ডপ নেই। তারপরও মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়ানো হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের টহল।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, পূজায় এবং বিসর্জন অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর যে কোনো ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা দল কাজ করছে এবং খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষও। তবে কোনো গুজবকে কেন্দ্র করে যেন কেউ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়াও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানও যেনো শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে পারে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে