প্রতিমন্ত্রীর বার্তা দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে সফল হোক
অবৈধ পথে আসা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজার নিয়ন্ত্রণ
দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক কড়া বার্তা দিয়েছেন। নতুন শপথে তার দায়িত্বের পরিধি বেড়েছে। আগে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
জুনায়েদ আহমেদ পলক যেহেতু মন্ত্রিসভায় এর আগের দুই মেয়াদেও ছিলেন, সে কারণে তিনি নিশ্চয় এর আগে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিটিআরসির এনইআইআর ডাটাবেজে মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন নিয়ে কি ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল, সে সম্পর্কে অবগত আছেন। ফলে তিনি এখন যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, সেক্ষেত্রেও যেন নতুন করে পুরোনো জটিলতা সামনে চলে না আসে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে।
একটা কথা মনে রাখতে হবে, সিমকার্ডের নিবন্ধন এবং মোবাইল হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন এক বিষয় নয়। একজন গ্রাহক একটি সিমকার্ড বা নির্দিষ্ট অপারেটরের মোবাইল নেটওয়ার্কের সংযোগ নেন আজীবনের জন্য। একজনের একটি মোবাইল ফোন নম্বরই সারাজীবন থেকে যায়। অতএব, ডাটাবেজে একজন ব্যক্তি বা গ্রাহকের বিপরীতে একটি নম্বর নিবন্ধিত হলে সেটি একেবারে সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়। অতএব, দেশে যদি মোবাইল গ্রাহকসংখ্যা ১৯ কোটি হয়, তাহলে ১৯ কোটি নম্বর নিবন্ধিত থাকবে। এ সংখ্যা বাড়লে তা নতুন করে যোগ হবে।
কিন্তু হ্যান্ডসেট ঘন ঘন বদল হয়। সাধারণভাবে প্রতি তিন বছরে একজন গ্রাহক একটি হ্যান্ডসেট বদল করেন। আবার অনেকে শখ করে প্রতি বছরেই হ্যান্ডসেট বদল করেন। আবার দেখা যায়, একজন নতুন হ্যান্ডসেট নেয়ার পর পুরোনোটা তার কোনো আত্মীয়কে দিয়ে দিয়েছেন। অতএব, কোনো ব্যক্তির নামের বিপরীতে হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হয় না। বরং হ্যান্ডসেটের ইউনিক শনাক্তকরণ নম্বর বা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন (আইএমইআই) নম্বরটিই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ডাটাবেজে নিবন্ধিত থাকে। অতএব, আইএমইআই ডাটাবেজ সার্ভারে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ নম্বর যোগ হবে। ধরুন দেশের বাজারে প্রতি বছর ১ কোটি ইউনিট হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়, তাহলে কিন্তু প্রতি বছর ১ কোটি নতুন আইএমইআই নম্বর যোগ হবে। একই সঙ্গে পুরোনো নম্বরগুলোও কিন্তু থেকে যাবে। ফলে আইএমইআই ডাটাবেজের ম্যানেজমেন্ট অপেক্ষাকৃত জটিল এবং সার্ভারের স্টোরেজ ক্যাপাসিটিও অনেক বেশি হতে হবে।
আমরা জানি, ২০২১ সালের পহেলা জুলাই থেকে বিটিআরসি এনইআইআর সার্ভার ব্যবস্থা চালু করে। তখন বলা হয়, এই সার্ভারে আইএমইআই নম্বর নিবন্ধিত নয়, এমন হ্যান্ডসেট মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কে আর চলবে না। ওই মুহূর্তে গ্রাহকরা যেসব হ্যান্ডসেট ব্যবহার করছিলেন, সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। একই সঙ্গে কেউ বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট কিনে আনলে তার আইএমইআই নম্বর কীভাবে নিবন্ধিত হবে, সে বিষয়েও নির্দেশনা জারি করে বিটিআরসি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ঠিকঠাক চলছি না বরং বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট দেশে আনার ক্ষেত্রে নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা শুরু হলো। সেই জটিলতা কি, তার কারণ গোপনে রেখেই বিটিআরসি এক অর্থে আইএমআইআই নিবন্ধন ব্যবস্থা পুরোপুরি শিথিল করে দিল, এনইআইআর সার্ভার ব্যবস্থা অকার্যকর করে রাখল।
নেপথ্যের গোপন জটিলতা বেঁধেছিল অন্য জায়গায়। বিদেশ থেকে দু-একটি হ্যান্ডসেট নিয়ে এলে তার নিবন্ধন কোনো সমস্যা নয়; কিন্তু একসঙ্গে একশটি আনার ক্ষেত্রে জটিলতা জোরাল হয়। এই একশটি যারা আনেন, তারা এ দেশের বৈধ ট্রেড লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী। তারা চোরাই পথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে হ্যান্ডসেট নিয়ে এসে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করেন। এর একটা বড় বাজার অনেক দিন থেকে মজবুত ভিত্তির ওপর ছিল। আইএমইআই নিবন্ধন সেই ভিত্তিতে আঘাত করতেই নড়েচড়ে বসলেন এই বাজারের ক্রীড়নকরা। আর যেহেতু দেশের বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা এমনিতেই নানা প্রশ্নের মুখে, সে কারণে বিমানবন্দরে হ্যান্ডসেট নিবন্ধন নিয়ে হয়রানির আশঙ্কার বার্তাও বাজার পেয়েছে বেশ ভালো। অতএব, বিটিআরসিকে অনেকটা নীরবেই আগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে হয়েছিল।
আসলে একটা বিষয় চোখের সামনেই ঘটেছে। অবৈধ পথে আসা হ্যান্ডসেট বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের আউটলেটে বার বার অভিযান পরিচালিত হয়েছে, হ্যান্ডসেট জব্দ করা হয়েছে; কিন্তু এদের ব্যবসা থেমে থাকেনি। কারণ এরা বৈধ ট্রেড লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী এবং কের ফাঁকির পণ্য বিক্রির দায়ে তাদের ব্যবসার লাইসেন্স কখনই বাতিল হয়নি। বরং বৈধ ব্যবসায়ী হিসেবে তারা উল্টো জোর গলায় বিটিআরসি, শুল্ক কর্তৃপক্ষের অভিযানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। কম দামে ভালোমানের পণ্য গ্রাহকের হাতে তুলে দেয়ার কৃতিত্ব তারা নিয়েছে। এক পর্যায়ে তাদের গলার জোরই টিকে গেছে। তারা বড় বড় শপিংমলে আরও নতুন আউটলেট খুলে, নিজস্ব ই-কমার্স সাইট চালু করে, ফেসবুক, ইউটিউবের বিজ্ঞাপনে ঘোষণা দিয়ে ব্যবসা করতে থাকল।
না রিফারবিশড কিংবা ইউজড ফোন নয়, অবৈধ পথে আসা প্রযুক্তি পণ্যের আউটলেটগুলোতে একেবারে নতুন হ্যান্ডসেট অবিশ্বাস্য দামে বাজারে বিক্রি হতে থাকল। একটি উদাহরণ দেই। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দেশের বাজারে স্যামসাংয়ের এস২৩ সিরিজের (১২ জিবি/২৫৬ জিবি) স্মার্টফোন বাজারে আসে। এর মধ্যে এস২৩ আলট্রা মডেলের সেটটির অফিসিয়াল দাম ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। বিশ্ব বাজারে স্যামসাং নির্ধারিত দাম ছিল ১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার; কিন্তু মার্চ মাস থেকেই অবৈধ পথে আসা হ্যান্ডসেট বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েব পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলা হলো এই হ্যান্ডসেট মার্চ থেকেই ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। রিফারবিশড ফোন বাজারে আসতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগে। আর ইউজড ফোন পাওয়া যায় কমপক্ষে এক বছর পর। তাহলে স্যামসাংয়ের আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কম দামে কীভাবে নতুন হ্যান্ডসেট বিক্রি করছে বাংলাদেশের অবৈধ পথে পণ্য নিয়ে আসার মাস্টারমাইন্ডরা! আরও অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে স্যামসাং যতবার দাম কমিয়েছে, এরাও ততবারই আনুপাতিক হারে দাম কমিয়েছে।
কথা হচ্ছে, এই আউটলেটগুলো এবং আমরা চিনি। সম্ভবত প্রতিমন্ত্রীও চেনেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও সবাই চেনেন। অবৈধ পথে প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে আসার মাস্টারমাইন্ডদেরও কমবেশি সবাই চেনেন, জানেন। অতএব, জেনে শুনেই তো এতদিন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, তারা বীরদর্পে ব্যবসা করেছেন। আর যারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে হ্যান্ডসেট তৈরির কারখানা স্থাপন করেছেন, কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, তারা পথে বসার দ্বারপ্রান্তে চলে গেছেন। অবৈধ পথের ব্যবসায়ীদের কর লাগে না, শুল্ক লাগে না; কিন্তু বৈধ কারাখানা স্থাপনা করা উদ্যোক্তাদের ঘাড়ের ওপরে করের বোঝা আছে, মাথার ওপরে ঋণের চাপ আছে, বিক্রি না হওয়া পণ্যের দায় আছে, কারখানার কর্মীদের সময়মতো বেতন দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। অতএব, এ উদ্যোক্তাদের বাঁচাতে হলে অবৈধ ব্যবসায়ীদের ঠেকাতেই হবে। এক-দুটি সভায় প্রতিমন্ত্রীর কড়া বার্তা দিয়ে অবৈধ পথের ব্যবসায়ীদের ঠেকানো যাবে না। তারা একবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাবেন, তারপর মুচকি হাসবেন, এর বেশি কিছু নয়।
প্রথমত, এই ব্যবসায়ীদের ঠেকাতে হলে তাদের মূলে যেতে হবে। কর ফাঁকির পণ্য বিক্রির দায়ে এদের ট্রেড লাইসেন্স বতিলের সিদ্ধান্ত আসতে হবে সবার আগে। নিয়মিত অভিযান এবং এদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হলে এদের ব্যবসার ভিত্তিতে আঘাতটা যাবে। এরা ফেসবুক পেজের পাশাপাশি নিজস্ব ডোমেইনে ই-কমার্স পেজ খুলে অবৈধ পথে নিয়ে আসা পণ্যের বেচা-বিক্রি করছে। এদের এই ই-কমার্সও বন্ধ করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, অনিবন্ধিত আইএমইআই নম্বরগুলোর হ্যান্ডসেট এ মুহূর্তে কতটি আছে, তার হিসাব নিতে হবে। এটা কঠিন কিছু নয়। কারণ একটা হ্যান্ডসেটে সিমকার্ড সচল হলেই সে হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের ডাটা বেজে অন্তর্ভুক্ত হয়, ডাটাবেজে সক্রিয় হয়ে যায়। ফলে চারটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কে কি পরিমাণ হ্যান্ডসেটের আইএমইআই সক্রিয় আছে এবং বিটিআরসির এনইআইআর সার্ভারে কত নম্বর নিবন্ধিত আছে, তার হিসাব মেলালেই এ মুহূর্তে দেশে কতটি সক্রিয় আইএমইআই নম্বর অনিবন্ধিত আছে, তার হিসাব বের হয়ে যাবে। এবার এই অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেটগুলোর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন শেষ করে পরবর্তী পদক্ষেপে যেতে হবে।
এই পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আমি একটু ভিন্নমত দেব। নতুন আইএমইআই নম্বর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিটিআরসির পরিবর্তে মোবাইল অপারেটরের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার জন্য জোর দেব। প্রতিটি অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র আছে, অনলাইন প্ল্যাটফরমে গ্রাহকসেবার ব্যবস্থা আছে। অতএব, নতুন একটি হ্যান্ডসেট বিদেশ থেকে নিয়ে আসার পর যে অপারেটরের সিমকার্ড ইনস্টল করা হবে, তার গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়ে ওই হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর নিবন্ধন করা অপেক্ষকৃত সহজ। গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে হ্যান্ডসেট নিয়ে আসার পর কোন দেশ থেকে আনা হয়েছে, তার নাম যে ব্যক্তি নিয়ে এসেছেন, তার পাসপোর্ট নম্বর ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করে ওই হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নিবন্ধনের জন্য বিটিআরসির এনইআইআর সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
এরপর নিবন্ধন নিশ্চিত হওয়ার বার্তা এলে সিমকার্ড ইনস্টল করে দেবে গ্রাহকসেবা কর্মী। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহক ফোনটি উপহার পেতে পারেন, সেক্ষেত্রে তার কাছে বিক্রির রশিদ নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট নম্বর নিয়ে এসেছেন, তার পাসপোর্ট নম্বরসহ ওই আইএমইআই নম্বর ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ নিয়ে জটিলতা হওয়ার কথা নয়, কারণ বিদেশ থেকে উপহার নিয়ে আসেন নিকটাত্মীয়রা কিংবা খুব কাছের পরিচিতজনরা। অতএব, তাদের পাসপোর্ট নম্বর সংগ্রহ করা উপহার পাওয়া বিক্রির জন্য জটিল কিংবা কঠিন কোনো বিষয় হবে না। একটি পাসপোর্টের বিপরীতে দুটির বেশি হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করার সুযোগ দেয়া যাবে না। আর বিদেশ থেকে কিনে আনা কিংবা উপহারের বিষয়টি প্রমাণিত না হলে হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হবে না। কোনো ক্ষেত্রে সন্দেহ হলে ওই পাসপোর্ট নম্বর ধরে অনুসন্ধান করলেই সব জারিজুরি বের করাও সহজ হবে।
অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র ব্যবহারের পরামর্শ এই জন্য যে, বিটিআরসির চেয়ে অপারেটরদের জনবল বেশি। প্রয়োজনে তারা জনবল নিয়োগ করতে পারে, নতুন গ্রাহকসেবা কেন্দ্র খুলতে পারে; কিন্তু বিটিআরসির যে জনবল সংকটের চিত্র চোখের সামনে আছে, সেটা সামনে রেখে নতুন একটি বড় দায়িত্ব চাপানো, বিটিআরসির সংশ্লিষ্টদের প্রতি বড় বোঝা চাপানোর সমতুল্য এবং অমানবিক হবে। বরং বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র ব্যবহার করাই শ্রেয়।
প্রতিমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছেন, তার বাস্তবায়ন তথ্যপ্রযুক্তি থাকে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’-এর শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য খুবই জরুরি; কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এমন কোনো দুর্বলতা রাখা যাবে না, যেটার সুযোগ অবৈধ পথে প্রযুক্তি পণ্য আনার মাস্টারমাইন্ডরা নিতে পারে। আশা করি, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বার্তা একটি দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে সফল হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতবিষয়ক বিশ্লেষক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে