রিমালের আঘাতে সুন্দরবনে মৃত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১০০
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী মৃত্যুর সংখ্যা ১০০‘তে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। তাদের হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকাল পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৬টি হরিণ এবং ৪টি বন্য শুকরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়াও এর পাশাপাশি ১৮টি হরিণ এবং একটি অজগর সাপ অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে বন বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। তবে এসব ক্ষতির মধ্যে অন্যতম হলো বনের শতাধিক পুকুর প্লাবিত হয়ে নোনা পানি ঢুকে পড়া। এতে বন্যপ্রাণী ও বনজীবীরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এ ছাড়াও ১১ কিলোমিটার গোল বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ঝড়ে বনের গাছপালা ও প্রাণীর ক্ষতির প্রকৃত হিসার দিতে আরও সময়ের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা।
বন বিভাগ ও সুন্দরবন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে এবার ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় সুন্দরবনকে। স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ২ বার ভাটা এবং ২ বার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় বনের একটি অংশ। কিন্তু এবারই প্রথম ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে থেকে পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টায় বনে কোনো ভাটা হয়নি। অর্থ্যাৎ এই দীর্ঘ সময় পুরো বন পানিতে তলিয়ে ছিল। আর জোয়ারে পানির উচ্চতা ছিল স্বাভাবিকের চাইতে ৫/৬ ফুট, কিছু এলাকায় এর চেয়েও বেশি। দীর্ঘ সময় এত উুঁচ জোয়ারের কারণে মঙ্গলবার থেকে বণ্যপ্রাণীর বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছিলেন বন কর্মকর্তারা।
বন বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পর বুধবার সকালে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে কটকা, কচিখালী, দুবলা, হিরণ পয়েন্টের সৈকতে হরিণের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর জানান স্থানীয়রা। এরপর বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ৯৬টি মৃত হরিণ, ৪টি বন্যশুকর উদ্ধার করে বন বিভাগ।
এ ব্যাপারে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে সুন্দরবন, আগে কখনো তা হয়নি। এর সঠিক তথ্য বের করতে আরও সময় প্রয়োজন।’
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি সুন্দরবন হয়েছে, আগে কখনো তা হয়নি। এর সঠিক তথ্য বের করতে আরও সময় প্রয়োজন।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে