ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বহু গ্রাম প্লাবিত, ৩০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রাথমিক ধাক্কায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন দুর্গত জেলাগুলোর ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক।
স্বাভাবিকের চেয়ে সাত-আট ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের চাপে সাতক্ষীরা, বরগুনাসহ কয়েক জেলায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে শত শত গ্রাম।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাগেরহাটের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি দুপুরে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি পানি বেড়েছে জেলার মোংলা উপজেলার পশুর নদে।
উপকূলে বিদ্যুৎহীন এক রাত
বাতাসের গতিবেগে বেড়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব দৃশ্যমান হতে শুরু করলে একের পর এক উপকূলের জনপদ বিদ্যুৎবিহীন হতে শুরু করে সন্ধ্যার পর থেকে। দমকা বাতাসে গাছপালা ভেঙে কিংবা উপরে পড়ার কারণে জেলাগুলোর ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
ঝড় চলাকালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
উপকূলীয় জেলাগুলোর শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে আছে আরেক কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ওজোপাডিকো। তবে এই কোম্পানির বিতরণ এলাকায় বিতরণ ব্যবস্থা অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে বলে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান।
ঝড় চলার সময়ের জন্য এসব কর্মকর্তাদের এলাকাভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঝড়ের রাতে বাগেরহাট জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনের উপর গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে