Views Bangladesh Logo

যৌথ বাহিনীর হেফাজতে হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুলের মৃত্যুর ঘটনায় ১ জন গ্রেপ্তার

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হেফাজতে নিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সোমবার (২৪ মার্চ) ভোরে কুমিল্লার ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম সাইদুল হাসান (৪৫)। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ইতালা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ৫ ফেব্রুয়ারি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জন বেসামরিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়, যাদের সঙ্গে তৌহিদুলের পারিবারিক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গ্রেপ্তারকৃত সাইদুল মামলার পাঁচ নম্বর আসামি। এছাড়া মামলায় আরও ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যাদের পরনে বেসামরিক (সাদা) পোশাক ও সেনাবাহিনীর মতো পোশাক ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, "হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই সাইদুল পলাতক ছিলেন। মামলার অন্য আসামিরাও পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সাইদুলকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।"

সাইদুলের দুই ভাইও এ মামলার আসামি। মামলা দায়েরের কয়েকদিন পর সাইদুলের বাবা মোকতাল হোসেন ও অপর আসামি তানজিল উদ্দিনের বাবা ফজলুর রহমান কুমিল্লা শহরে এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে তাদের সন্তানদের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

নিহত তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, "পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারের কোনো তৎপরতা আমি দেখছি না। আমরা দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তারা জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই এটি করেছে। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।"

তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইতালা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়নের যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। ৩১ জানুয়ারি তৌহিদুলের বাবার কুলখানি অনুষ্ঠান ছিল। তার পরিবার দাবি করছে, ওই অনুষ্ঠানের সময় ৩০ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৌহিদুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। সেখানে গিয়ে তারা তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পান।

ঘটনার পরপরই পুলিশ জানায়, ৩১ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে সেনাবাহিনী কোতোয়ালি মডেল থানাকে তৌহিদুলকে হস্তান্তরের কথা জানায়। তাকে যখন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তখন তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ