মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাকে মিথ্যা বললেন মৃতের বাবা
বগুড়ার শাহজাহানপুরে যুবদল নেতা ফোরকান আলীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। এজাহারের অভিযোগকে মিথ্যা বলছেন স্বয়ং মৃত ফোরকানের বাবা আব্দুল কুদ্দুস। মামলার তদন্ত না করতেও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
গত ৫ নভেম্বরের আবেদনে আব্দুল কুদ্দুস জানান, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সকাল সোয়া সাতটার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুরে বিএনপির তৎকালীন সরকারবিরোধী মিছিলে অংশ নেন ফোরকান। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়ায় হার্ট অ্যাটাকে তার ছেলে মারা যান। কিন্তু এ ঘটনায় উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস আলী গত ৩০ অক্টোবর আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি করার সময় তাদের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়নি।
মামলাটিকে ঘিরে শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম ও যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানসহ বাদী চাঁদাবাজি করছেন বলেও অভিযোগ কুদ্দুসের।
এ অবস্থায় অভিযোগের তদন্ত বন্ধ চান তিনি। ফোরকানের মরদেহের ময়নাতদন্তও চাচ্ছেন না তার বাবা।
এদিকে ইউনুস আলীর করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, যুবদল নেতা ফোরকানকে গুলি করে হত্যা করেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হত্যার নির্দেশদাতা বলা হয়েছে। দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত মামলার আসামি করা হয়।
ফোরকান (৪২) ছিলেন উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। মৃত্যুর পর ময়না তদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ফোরকানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
ফোরকানের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠা বিএনপির নেতা শফিকুল ইসলামের দাবি, মামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা জানান, ফোরকানের বাবার আবেদনের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে