Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

বিশ্ব হার্ট দিবস

স্বাস্থ্য খাতের বিকেন্দ্রীকরণই হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম সংস্কার ও প্রধান চ্যালেঞ্জ

Dr KMHS Sirajul Haque

ডা. কে এম এইচ এস সিরাজুল হক

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অধ্যাপক ডা. কে এম এইচ এস সিরাজুল হক, যিনি কার্ডিওলজি স্পেশালিস্ট হিসেবেই দেশব্যাপী পরিচিত। কর্মজীবনে তিনি বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয়প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি ও সার্ক কার্ডিয়াক সোসাইটির মতো প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার সিটি হাসপাতালের কার্ডিওলজির কনসালট্যান্ট হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আজ বিশ্ব হার্ট দিবস। বর্তমানে বাংলাদেশে হার্টের রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য খাত ও চিকিৎসাসেবা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা আছে। হার্টের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা কী হওয়া উচিত, এ সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ মুহূর্তে কী ধরনের পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেয়া দরকার, সেসব বিষয়ে তিনি ‘ভিউজ বাংলাদেশ’-এর মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কে এম জাহিদ

ভিউজ বাংলাদেশ: আজ বিশ্ব হার্ট দিবস। বিশ্ব হার্ট দিবস পালনে বাংলাদেশ কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে?

সিরাজুল হক: আমাদের দেশে সম্প্রতি সব ধরনের হৃদরোগ দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও হৃদরোগ, মানুষের মৃত্যুর একটি বড় কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এ জন্য সারা পৃথিবীর কাডিওলজি বিশেষজ্ঞরা ১৯৯৯ সালে একত্রে মিলিত হয়ে তারা চিন্তা করেন যে, সারা পৃথিবীতে বিশ্ব হার্ট দিবস একযোগে পালিত হবে। মানুষের মধ্যে এই রোগ, জীবনযাপন বিষয়ে এবং এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এ দিবস পালন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশও একই উদ্দেশ্যে ১৯৯৯ সাল থেকেই একই দিনে দিবসটি পালন করে আসছে। পৃথিবীর প্রায় ৯০টি দেশ মিলে ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ফাউন্ডেশন’ নামে একটি এপেক্স সংগঠন গড়ে তুলে যার আন্ডারেই প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার ওয়ার্ল্ড হার্টদিবস পালন করা হয় বা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের কার্ডিয়াক সোসাইটি ও হার্ট ফাউন্ডেশন সোসাইটির মাধ্যমেও এর সব কাজ পরিচালনা করা হয়।

ভিউজ বাংলাদেশ: চলতি বছরের হার্ট দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় কী? কেন এই বিষয়টি বেছে নেয়া হলো?

সিরাজুল হক: প্রত্যেক বছরই এ দিবস পালনের জন্য একটি প্রতিপাদ্য বিষয় বেছে নেয়া হয়। ২০২৪ সালেও অর্থাৎ এ বছরও ‘কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য সবার জন্য’ প্রতিপাদ্য হিসেবে গৃহিত হয়েছে। যেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এ সেবা ও চিকিৎসা পায়। অন্যভাবে বলা যায়, আমরা সর্বান্তকরণে চেষ্টা করি, ওই মানুষটাকে জ্ঞানের আলো দিয়ে ও সচেতনতা তৈরি করে, তাকে সুস্থ হার্টের অসুখের ক্ষেত্রে সুস্থ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে। এ ছাড়া, তথ্য ও জ্ঞান দিয়ে এমনভাবে তাকে তৈরি করা, যাতে তিনি নিজে নিজেই সুস্থ থাকতে পারেন। যেমন ধরুন আমরা বলি, এ রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেষ্ঠ উপায়। তাই প্রতিরোধের জন্য আমরা মানুষকে খাদ্যাভাস ও জীবনযাপনের ব্যাপারে পরামর্শ ও জ্ঞান দিচ্ছি। প্রতিদিন ব্যায়াম বা হাঁটার মতো ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা ও ধূমপান, মদ্যপান এবং ফ্যাটি বা তৈলাক্ত খাবারের মতো বদ অভ্যাস ত্যাগের পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া আমরা মানুষকে কায়িক পরিশ্রমের কথাও বলছি। যেন তারা ফ্যাটি না হয়ে যান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকে। তাদের প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করতে হবে এবং আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। আবার হাইপার টেনশন বা উচ্চ-রক্তচাপ কমানোর জন্য খাবারের মধ্যে লবণের পরিমাণ সারা দিনে যেন পাঁচ গ্রামের বেশি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলছি আমরা।

ভিউজ বাংলাদেশ: আমাদের দেশে এই স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কি আছে?

সিরাজুল হক: সম্প্রতি আমাদের দেশে ধনী-গরিব সব ধরনের ও সববয়সী মানুষের মধ্যেই এ রোগ দেখা যাচ্ছে। ফলে রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে। ফলে শতভাগ না পারলেও আমাদের গ্রামাঞ্চলে সরকারি যেসব কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা ইউনিয়ন পর্যায়ের কিছু সেন্টার বা থানা পর্যায়ের হাসপাতাল, জেলা পর্যায়ের জেলা হাসপাতাল ও কিছু ক্লিনিক আর বিভাগীয় পর্যায়ের ও ঢাকায় বেশ কিছু সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি প্রত্যেক মেডিকেল কলেজে বিশেষ ইউনিট বা বিশেষ ওয়ার্ডেরও ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজে এনজিওগ্রাম ও রিং-পরানো এবং চিটাগং মেডিকেল কলেজেও হার্টের সব চিকিৎসা দেয়ার মতো ভালো অবকাঠামো তৈরি হয়েছে ও সেবা দিচ্ছে। এ ছাড়া জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের মতো ঢাকায় বিশেষায়িত বেশ কিছু হাসপাতাল আছে। সেখানেও হৃদরোগের চিকিৎসার পাশাপাশি হার্ট অপারেশনের মতো সব রকমের সেবার ব্যবস্থাও আছে। আমাদের দেশে কাডিওলজি চিকিৎসার বেশ উন্নতি হয়েছে। আগে যেখানে বিদেশে যেতে হতো। সে অবস্থা এখন আর নেই। বর্তমানে শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের রোগীরাও দেশেই ওপেনহার্ট সার্জারির মতো অত্যাধুনিক চিকিৎসা পাচ্ছে। তবে দেশের যে ২৬টি ওপেনহার্ট সেন্টার আছে, তার সবই প্রায় ঢাকায়। দুই-চারটি আছে চিটাগংয়ে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, এই সেন্টারগুলোর সবই প্রায় ঢাকায়। তাই এখন আমাদের কনসার্ন হচ্ছে, এই সেবা ডি-সেন্ট্রালাইজড করতে হবে। এই সেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে।

ভিউজ বাংলাদেশ: বর্তমানে দেশে হার্টের রোগীর সঠিক সংখ্যা কত? কেন সব রোগীকে ঢাকায় আসতে হয়? এ থেকে উত্তরণের পথ কি?

সিরাজুল হক: আমরা একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, প্রতি ১০০ জন রোগীর মধ্যে ৪ থেকে ৫ জনই হার্ট অ্যাটাকের রোগী। এখন কী অবস্থা তা জানি না। তবে বর্তমানের শঙ্কা হলো, কমবয়সী বা তরুণরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ধূমপান ও নেশা করা, জাঙ্কফুড খাওয়া, হতাশা ও সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে ব্যক্তি-ব্যক্তি সম্পর্কের কারণেও তারা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এখন বিষয় হলো, এ থেকে উত্তরণের পথ কি বা এই বাড়ন্ত রোগী কমানো যাবে কি করে? এবং এসব রোগীর চিকিৎসাই বা হবে কি করে? এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ও চিকিৎসা পেতে প্রথমেই জানতে হবে, আপনার নাগিরিক অধিকার কি আছে? প্রথমেই জানতে হবে, আপনার হাতের নাগালে চিকিৎসাসেবা কতটুকু ও কোথায় আছে, সেখানে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। তারপরের স্তরের চিকিৎসা কোথায় আছে সেটার খোঁজ-খবর বা সহায়তা দেবে নিচুস্তরের স্বাস্থ্য বিভাগ।

আমরা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার সুযোগ দিলে বা ব্যবস্থা করলে এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। আমাদের দেশে যেখানে শহর থেকে ইউনিয়নে সাব-সেন্টার ও গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো ব্যবস্থা আছে, সেখানে পৃথিবীর অনেক দেশেই তা নেই। তাই নিজ অধিকারের প্রতি যন্ত্রশীল হতে হবে, নিজের ভালো থাকার অধিকার ও চিকিৎসার অধিকারের খোঁজ খবর নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। শুধু রাজধানীর ওপর রোগীর চাপ না বাড়িয়ে স্থানীয় পর্যায়ের চিকিৎসা সেবার ওপর্র আস্থা ও নির্ভরতা আনতে হবে। তবেই এ সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি। আর ডি সেন্ট্রালাইজের কথা তো বলেছেই।

ভিউজ বাংলাদেশ: এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে বিভিন্ন রোগে যত লোক মারা যাচ্ছে, তার মধ্যে ১৭ শতাংশই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। এত মৃত্যুহার কেন এবং এ মৃত্যুহার কমানোর ব্যবস্থা কী নেই?

সিরাজুল হক: আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তেমন ভালো না। শহরের লোকরাজন চিকিৎসার পেছনে কিছুটা খরচ করতে পারলেও গ্রামের তৃণমূলের মানুষ এ রোগের চিকিৎসা খরচ চালাতে ও জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে বা কেউ কেউ পারছে না। কিছুটা অজ্ঞতা-অনীহার কারণেও আবার কিছুটা অসচ্ছলতার কারণেও এ মৃত্যুহার বাড়ছে। আবার সঠিক সময়ে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের চিকিৎসা দিতে না পারা বা রোগীকে সঠিক সময়ে বা কম সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে না পারাটাও একটা অন্যতম কারণ। অর্থাৎ সঠিক জ্ঞান ও ব্যবস্থাপনার অভাবেই কিন্তু এ রোগে আক্রান্তের হার ও মৃত্যুহার বেশি। সে জন্য আমরা চিকিৎসকরা বলছি, রোগ হওয়ার পর চিকিৎসার পেছনে ব্যয়ের আগেই, এই রোগ যেন না হয় সে চেষ্টাটাই আমাদের করা উচিত। তাই আমরা বলছি, হার্টের রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেষ্ঠ উপায়,পথ বা মত।

ভিউজ বাংলাদেশ: তাহলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে মূল চ্যালেঞ্জ কী? এ চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের পথ কী এবং সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের করণীয় কী?

সিরাজুল হক: আসলে এক্ষেত্রে রোগী বা সাধারণ মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে আগে। তারপর হলো সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ। সরকার চাইলে ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে এ রোগের প্রতিকার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারে, যা এ রোগ নিয়ন্ত্রণের প্রথম ধাপ। এরপর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মাধ্যম ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবার্তার মাধ্যমে, জ্ঞান বা শিক্ষা দিতে পারে, সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগ পারে গ্রাম-গঞ্জে, নগর-শহরে হেলথক্যাম্পের মতো জনসম্পৃক্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে, যা সরকার করছে, কিন্তু তা বাস্তবে ফল বয়ে আনছে না। আরেকটি হলো সহজে এক্সেস দিতে হবে রোগী ও চিকিৎসককে। সরকারি হাসপাতলে আউট ডোরের জন্য বেশি ডাক্তার নিয়োগ দিতে হবে যেন শুরুতেই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ভালো হয়; কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। বাস্তবে দেখা য়ায়, দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের আউটডোরের রোগীর সংখ্যা এতটাই বেশি যে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিটি ডাক্তার প্রায় ১০০ থেকে ১২০টি রোগী দেখে হাঁপিয়ে ওঠেন। এত অল্প সময়ে এত রোগীর চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় কী করে সম্ভব? এই সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়নি। এত বছর ধরে এর বাস্তবায়ন করতে না পারাটাই এ রোগ নিয়ন্ত্রণের মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এখনো। অধিকাংশ ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মী মফস্বলে থাকতে চান না। বিভিন্ন ধরনের নাগরিকসেবা না পাওয়া এবং বেতন ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্যের সঙ্গে তো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছেই।

ভিউজ বাংলাদেশ: অন্তর্বর্তী সরকার এই ৫১ দিনে স্বাস্থ্য খাতে কী ধরনের সংস্কারে হাত দিয়েছেন। কিংবা এই সংস্কার বিষয়ে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কি?

সিরাজুল হক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, তারা অনেক বিভাগের মতো স্বাস্থ্য বিভাগেরও সংস্কার করতে চাচ্ছে। এই উদ্যোগকে অনেকের মতো আমিও স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই। আসলে সংস্কারটা হতে হবে আমাদের ওপরের দিক থেকে বা মাথা থেকে। পরিকল্পনাটা এভাবে করতে হবে, যেন আমার অর্থ কম কিন্তু কার্যক্রম বা কাজ হাতে নিতে হবে বেশি। তাহলে কী করা যায়? শুধু সরকারি না। বেসরকারি চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে বা কাজ করতে হবে। সরকারের সব স্বাস্থ্যবিষয়ক কার্যক্রমে ইনভল্ব করাতে হবে। যেমন গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সিটি হাসপাতালের মতো এই শহরের ও দেশের অনেক বেসরকারি হাসপাতাল। সেসব হাসপাতালকে কিছুটা হলেও তাদের কাজের স্বীকৃতি দেয়া ও পরবর্তীতে জাতির যে কোনো ক্রাইসিসে, তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারে, সে জন্য স্বাস্থ্যবীমার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্য বাজেট আরও বাড়াতে হবে। তাহলেই গঠিত হবে বৈষম্যহীন স্বাস্থ্যকর ও মেধাবি জাতি, যা আমাদের সবার লক্ষ্য ও চাওয়া।

ভিউজ বাংলাদেশ: আপনাকে ধন্যবাদ।

সিরাজুল হক: আপনাকেও ধন্যবাদ।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ