Views Bangladesh Logo

রাজধানীসহ সারা দেশে গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া, সর্দিজ্বর ও নিউমোনিয়া

সারা দেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা বৃদ্ধির নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এই তীব্র গরমে ডায়রিয়া, সর্দিজ্বর-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু এবং ৫০ ঊর্ধ্ব মানুষ।

এ অবস্থায় শিশুদের সুরক্ষায় সূর্যের তাপ পরিহারের পাশাপাশি যত্রতত্র পানি, রাস্তার পাশে খোলা জুস ও শরবত পান করা থেকে বিরত থাকাসহ ফ্রিজের পানি ও আইসক্রিম না গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলেন, তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকেই উঠছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে দেশের ৯টি অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি এবং আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

আবহাওয়া অফিস বলছে আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত আবহাওয়া এমন থাকতে পারে। এমনকি তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। এদিকে দেশজুড়ে জারি হওয়া হিট অ্যালার্ট বলবত আছে। এদিকে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত এক সপ্তাহে আশঙ্কাজনকভাবে ডায়রিতা রোগী বেড়ে গেছে।

গত কয়েকদিনের গরমে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দুই শতাধিক শিশু। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও শয্যা খালি নেই। গত কয়েকদিনের গরমে প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর,বি)।

চিকিৎসক সেলিম খান জানিয়েছেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ আসছে ডায়রিয়া নিয়ে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীর তুলনায় শিশুর সংখ্যাই বেশি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়ার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। ২০৭, ২০৮ এবং ২১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে বেশিরভাগ শয্যায় দুজন করে রোগী রয়েছে। বারান্দা ও ওয়ার্ডের মেঝেতে বিছানা করে আছে রোগীরা। হাসপাতালে রোগীর চাপ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি বলে জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে। তবে গরমে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও বেগ পেতে হচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলেন, ‘আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগীর চাপ আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়তে পারে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সবাইকে চিকিৎসা দেয়ার। তীব্র গরমে দুর্ভোগ নেমে এসেছে জেলা শহর থেকে তৃণমূলে।’

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা গেছে, গ্রামীণ জনপদেও গরমের কারণে নিউমোনিয়ায় ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বহু মানুষ। হাঁসফাঁস অবস্থা গবাদি পশুরও। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছেন খামারিরা।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ