বাজারেই বৈষম্য
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সবজি বিক্রি হচ্ছে। নিয়মিত বাজারের তুলনায় অনেকটা কম দামে সেখানে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। এতে একই বাজারে দামে বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সবজি বিক্রেতাদের দাবি, কেনা দামের চেয়ে কেজিতে পাঁচ টাকা বেশি দরে সবজি বিক্রি করছেন তারা। সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার গড়ার চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে নিয়মিত বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নিম্নমানের সবজি কেনাবেচা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে থাকা ব্যবসায়ীরা। ফলে কম দামেই সেগুলো বিক্রি সম্ভব হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে তারা সেসব নিম্নমানের সবজি কিনে আনেন না বলেও দাবি সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সবজি বিক্রেতাদের দোকানে অনেক ক্রেতার ভিড়। সেখানে পেঁয়াজ ১১৫, মরিচ ১১৫, আলু ৬৫, রসুন ২২০, বেগুন ৬৫, করলা ৬৫ ও পটোল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশেই ফুলতলা বাজারে আলু ৭০, প্রকারভেদে পেঁয়াজ ১২০-১৫০, রসুন ২৪০-৩২০, বেগুন ৭০, করলা ৮০ এবং পটোলের কেজি ৫০ টাকা।
দামের কম-বেশি নিয়ে ফুলতলা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম জানান, তারাও সবজির দাম কমাতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে নিম্নমানের সবজি বিক্রি করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে থাকা ব্যবসায়ীরা বাজারে সবজির দাম কমাতে বলেছেন। এর জবাবে তারা বলেছেন চাহিদা অনুসারে মানসম্মত সবজি কিনে এনে দিলে কমদামে বিক্রি করা যাবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে থাকা সবজি বিক্রেতা নূর মোহাম্মদ যুবাইর জানান, আজ ফুলতলা বাজারে সবজি বিক্রি শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে শহরের সাতমাথা এলাকায়ও তারা এই কার্যক্রম শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, নিয়মিত বাজারে একই সবজির দাম কেমন তা এখনো যাচাই করা হয়নি। ধীরে ধীরে শহরের সব বাজারেই সবজি বিক্রি করবেন তারা।
আজ শহরের রাজাবাজার থেকে পাইকারি দামে সবজি কিনে আনা হয়েছে। আগামীকাল থেকে সবজির আড়ত বগুড়ার মহাস্থানগড় বাজার থেকে সবজি কিনে এনে বিক্রি করবেন বলেও জানান নূর মোহাম্মদ যুবাইর।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে