কিস্তিতে খেলোয়াড়দের বকেয়া শোধ করবে ‘দুর্বার রাজশাহী’
একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর। টিকিট নিয়ে অসন্তোষ, ফিক্সিং সন্দেহ, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার মতো অভিযোগ উঠেছে এবারের আসর নিয়ে। এছাড়া খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনায় বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘দুর্বার রাজশাহী’।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুর্বার রাজশাহী মালিক শফিকুর রহমানকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরপর তিন কিস্তিতে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে- ৩,৭ ও ১০ ফেব্রুয়ারি তিন কিস্তিতে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে।
দলটি টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেও খেলোয়াড়দের চুক্তির টাকা পুরোটা এখনও দেয়নি। টাকার অপেক্ষায় তাদের কয়েকজন বিদেশি হোটেল ছাড়তে পারছিলেন না।
জানা গেছে, রোববার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ টাকা পরিশোধের কথা ছিল রাজশাহীর। সেটি করতে না পারায় সোমবার সকালে শফিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার খবর কানে আসলে, দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের পালিয়ে যাবার গুঞ্জন উঠলে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় সরকার।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিপিএল ২০২৫ কে ঘিরে বিসিবি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে আন্তরিক প্রয়াস প্রতীয়মান হলেও, টুর্নামেন্টটির ফ্রাঞ্চাইজি দুর্বার রাজশাহী তার দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে একের পর এক চুক্তি লঙ্ঘন করে টুর্নামেন্ট তথা রাষ্ট্রের সম্মান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাদের এমন অপেশাদার কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে প্রচার হলে বিষয়টি নিষ্পত্তিকল্পে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের সঙ্গে আলোচনায় বসেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপদেষ্টা মহোদয়কে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলের ৫০ শতাংশ পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি, বরং গণমাধ্যমে উঠে এসেছে অনিয়মের নানান অভিযোগ। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করার খবরও কানে আসলে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের পালিয়ে যাবার গুঞ্জন উঠলে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় সরকার।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এমতাবস্থায়, দলটির এমন টালমাটাল অবস্থা সামাল দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের পাওনা বুঝিয়ে দিতে ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দলটির বিতর্কিত মালিক শফিকুর রহমানকে। সংকট নিরসনে সমাধান জানতে চাইলে, নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়ে ২৫ শতাংশ হারে ৩, ৭ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি তথা তিন কিস্তিতে দলের সমস্ত পাওনা পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।’
এছাড়া বিপিএলে নানা অনিয়মের আদ্যপান্ত অনুসন্ধানে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি কাজ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে