বান্দরবানের ৩১ পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব আয়োজন
বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় ৩১টি পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো জেলা সদরের স্থানীয় রাজারমাঠে রাজপ্রাসাদের আদলে তৈরি করা হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ।
গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকেন সেনাবাহিনীর ৬৯ রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মেহেদী হাসান পিএসসি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
দুর্গোৎসব উদযাপন কমিটি জানায়, সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে এবারে জেলায় ৩১টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ১১টি, লামা উপজেলায় ৮টি, আলীকদম উপজেলায় ৫টি, রুমা উপজেলায় ১টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি, থানচি উপজেলায় ২টি এবং সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩টি। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজপ্রাসাদের আদলে সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ স্থানীয় রাজার মাঠে তৈরি করা হয়েছে।
এটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ। এই মণ্ডপে দুর্গা-মহিষাসুর, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক প্রতীমা তৈরি করেছে শিল্পীরা। তুলির আঁচড়ে রঙের ছটাকে সাজানো হয়েছে প্রতীমাগুলো। এদিকে দুর্গোৎসব ঘিরে পূজা প্রাঙ্গণে বসেছে হরেক রকমের দোকানপাট, শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা এবং খাওয়ার দোকানও।
বান্দরবান দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ দাস জানান, বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। জেলায় ৩১টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন কমিটির তত্ত্বাবধানে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারও ৫ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালা রয়েছে। উৎসব শেষ হবে আগামী ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি উদযাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবকও নিয়োজিত রয়েছে। সম্প্রীতির এ জেলায় শারদীয় দুর্গোৎসব পরিণত হয় পাহাড়ি বাঙালি জাতিধর্ম সবার মিলনমেলায়। এবারও ব্যতিক্রম হবে না প্রত্যাশা উৎসব কমিটির।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলার সাতটি উপজেলায় ৩১টি পূজামণ্ডপের সবগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ। ধারাবাহিকভাবে পুলিশের ১২ থেকে ১৫ জন সদস্য সার্বক্ষণিক একেকটি মণ্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিমও মাঠে রয়েছে সারাক্ষণ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে