অর্থনীতি বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড আর কতদিন?
হাইকোর্টের আদেশবলে সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা বহাল করার প্রতিবাদ এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশে সৃষ্ট ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনীতি এবং পরিবহন ব্যবস্থা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে। এতে ব্যাপক প্রাণহানি এবং সম্পদ ধ্বংস হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত (২৯ জুলাই) ১৪৭ জন আন্দোলনের কারণে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রছাত্রী। অবশ্য বেসরকারি সূত্র মতে, মৃতের সংখ্যা ২১৯ জন। পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ৫৩ বছরে এই অঞ্চলে ছাত্র আন্দোলনের কারণে এত বিপুলসংখ্যাক প্রাণহানির ঘটনা আর কখনো ঘটেনি।
এবারের ছাত্র আন্দোলন সবার মনেই বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা আবশ্যক তাহলো, ছাত্র আন্দোলনের পরিধি সাধারণত শিক্ষাঙ্গনে সীমাবদ্ধ থাকে; কিন্তু এবারের আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। ছাত্র আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করে অনেকেই মনে করছেন প্রথম কয়েকদিন ছাত্র আন্দোলনের চাবিকাঠি ছাত্রদের হাতে থাকলেও পরে তা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিস্তৃত হয়। ফলে এমন প্রাণহানি এবং সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। কেউ কেউ এটাও মনে করছেন, হাইকোর্টের রায়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা বহাল করা হয় তখন ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে। সেই সময় যদি সময় ক্ষেপণ না করে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হতো, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি এতটা জটিল আকার ধারণ করত না। এসব বিতর্কের বিষয় এবং সময়ই বলে দেবে কোন সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল আর কোনটি ভুল ছিল। কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা তো হয়েই গেল।
এতগুলো প্রাণ অকাতরে হারিয়ে গেল, তা আর কোনো দিনই ফিরে পাওয়া যাবে না। আর প্রাণের কোনো বিনিময় মূল্য হয় না। তাই এই আন্দোলনের সার্বিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে ছাত্র আন্দোলন এবং তা দমনের জন্য গৃহীত ব্যবস্থার ফলে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৬ দিন দেশের পুরো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও তাকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বলা যাবে না। আরও কিছুদিন আমাদের এই জটিলতা মোকাবিলা করতে হবে। দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা কোনোভাবেই উপেক্ষা করার মতো নয়। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এই আন্দোলনের আর্থিক ক্ষতির প্রাথমিক এবং সাময়িক তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন গড়ে ১ দশমিক ২৫ থেকে ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো আর্থিক কার্যক্রম সংঘটিত হয়। এর মধ্যে কৃষি এবং অন্যান্য ছোটখাটো খাতগুলো যদি বাদ দেয়া হয়, তাহলে প্রতিদিন যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পাদিত হয়, তার পরিমাণ ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি।
কৃষিকে এই আন্দোলনের ক্ষতি থেকে বাদ দিতে হবে এ জন্যই যে কৃষি খাত ছাত্র আন্দোলনের ফলে খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যেমন ক্ষতি হয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প খাতের। আন্দোলনের ফলে দেশের পরিবহন সেক্টর কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। ছাত্র আন্দোলনের কারণে মোট ৬ দিন দেশের অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এখনো পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। কারফিউ প্রত্যাহার করা না হলেও ধীরে ধীরে কারফিউয়ের মেয়াদ কমানো হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং শিল্প-কারখানাগুলো কার্যক্রম শুরু করেছে। যদিও এখনো পুরো মাত্রায় উৎপাদন শুরু হয়নি। আন্দোলন চলাকালে দেশের সব উৎপাদন যন্ত্র কার্যত বন্ধ ছিল। সে হিসাবে প্রতিদিন এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে। সার্বিকভাবে আন্দোলনের কারণে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল ৬ দিন। তারপর আংশিকভাবে উৎপাদন ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মধ্যে থাকে। আন্দোলনকালে বিভিন্ন স্থানে যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারি অফিসের যানবাহনও ক্ষতি করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই আন্দোলনের কারণে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার চূড়ান্ত হিসাব পেতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
ছাত্র আন্দোলন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ইমেজ সংকট সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এ সময় বিদেশি বিনিয়োগ আহরণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে; কিন্তু এ ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিনিয়োগ পরিবেশকে বিঘ্নিত করবে। শুধু বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে দ্বিধান্বিত হবে, তা নয় স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করতে পারে। কয়েক বছর আগে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৬তম। এতে অনুধাবন করা যায় বিনিয়োগ পরিবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কতটা দুর্বল। এবারের ছাত্র আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট সহিংসতার আলোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে নতুন করে ইমেজ সংকটে পড়তে হবে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে এ মুহূর্তে সবচেয়ে জটিল সমস্যা সৃষ্টি করে চলেছে গত প্রায় দুবছর ধরে চলা অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি। ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা দেখা দিলে বিভিন্ন দেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারা এ ক্ষেত্রে বেশ সফলতাও অর্জন করে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে ৪০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। তারা সেই অবস্থা থেকে মূল্যস্ফীতিকে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে সামর্থ্য হয়েছে। শ্রীলঙ্কার মতো সমস্যাক্রান্ত দেশটিও ৩৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থেকে ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতির অভিজ্ঞতা ভোগ করে চলেছে। বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার কোনোটিই ঠিক মতো কাজ করেনি।
বর্তমানে অর্থনীতির সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সমস্যা হচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা। সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছেন উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য; কিন্তু সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের কারণে অর্থনীতিতে সৃষ্ট ক্ষত মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা না গেলে উন্নয়নের সব প্রচেষ্টা ফিকে হয়ে যেতে পারে। আন্দোলনের কারণে রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে পারেনি। আমদানি বাণিজ্যও ব্যাহত হয়। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে সাপ্লাই সাইড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের মূল্য আরও এক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগামীতে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বিলম্বিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের কারণে প্রবাসী কর্মীদের উপার্জিত অর্থ দেশে প্রেরণের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। গত বছর ১ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সময়ে মোট ১৫৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল। এ বছর একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ১৯ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম সচল ছিল মাত্র একদিন। এই ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ একই মাসের প্রথম দিকে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি পঞ্জিকা বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স আসে ২১১ কোটি মার্কিন ডলার। ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স আসে ২১৬ কোটি মার্কিন ডলার। মার্চ মাসে আসে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি মার্কিন ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৫৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে। জুলাই মাসে রেমিট্যান্স ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করতে পারবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই খাতে যে অর্থ দেশে আসে তার প্রায় পুরোটাই জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজন করে। কারণ এই খাতের জন্য কোনো কাঁচামাল বা ক্যাপিটাল মেশিরানিজ আমদানি করতে হয় না।
একই সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানি খাতটি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান করছে। এই বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি যদি দেশে অবস্থান করতেন, তাহলে বেকার সমস্যা কোন পর্যায়ে চলে যেত তা ভাবলেও অবাক হতে হয়। বর্তমানে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে উন্নয়নের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিট্যান্স। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক রূপান্তর ঘটাচ্ছে। একটি শক্তিশালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে, যারা বিদেশে কর্মসংস্থান উপলক্ষে গমন করছেন, তাদের একটি বড় অংশই গ্রাম থেকে আসা। বিশেষ করে পরিবারের যে সদস্য অভ্যন্তরীণভাবে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছেন না, তারা বিদেশে গমন করছেন।
ছাত্র আন্দোলন চলাকালে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে; কিন্তু সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে একটি মহল সরকারের বিরোধিতা করার নামে প্রবাসীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় রত রয়েছে। তারা প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য প্রলুব্ধ করছে; কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে সরকার আর রাষ্ট্র এক জিনিস নয়। তাই সরকারের বিরোধিতা করার নামে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ করা উচিত হবে না। একইভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার নামে কোনোভাবেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করা ঠিক হবে না। সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সময় আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করি, একটি মহল নির্বিচারে মেট্রো রেল, বিটিভিসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কোনো বিবেকবান মানুষ এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করতে পারেন না।
মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করেছে। এ ধরনের আবেগপ্রবণ কর্মকাণ্ড বিদেশে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করছে। বাংলাদেশি কর্মীদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে দেশগুলো যদি জনশক্তি আমদানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে ক্ষতি কাদের হবে? একই সঙ্গে যারা ছাত্র আন্দোলনের সময় বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করেছে, তাদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা যেতে পারে। তবে অপরাধী গ্রেপ্তারের নামে কোনো নিরীহ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
এম এ খালেক: অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি ও অর্থনীতিবিষয়ক লেখক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে