সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান নিশ্চিত করাই হবে শস্য, মৎস্য ও প্রাণি খাতের বড় সংস্কার
ড. জাহাঙ্গীর আলম, দেশব্যাপী কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং গবেষক হিসেবেই পরিচিত। বর্তমানে তিনি ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি দেশের ১১টি জেলায় ভয়াবহ বন্যার কারণে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ মুহূর্তে কি ধরনের পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেয়া দরকার সেসব বিষয়ে তিনি ‘ভিউজ বাংলাদেশ’-এর মুখোমুখি হয়েছেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কে এম জাহিদ।
ভিউজ বাংলাদেশ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলার বন্যায় হাঁস-মুরগি-গবাদি পশু ও পশুখাদ্য, মাছ, পোনা ও অবকাঠামোসহ এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এ ক্ষতি আমাদের জাতীয় জীবনে কি প্রভাব ফেলবে?
ড. জাহাঙ্গীর আলম: বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এবার বন্যা হয়নি। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১১টি জেলায় হঠাৎ বন্যা হয়েছে। এবার অনেক উচ্চতায় বন্যা হয়েছে, ফলে মাঠের ফসল ও মাছের ঘের তো তলিয়ে গেছেই, আবার বানের তোড়ে হাঁস-মুরগি, বাড়িতে পোষা ছাগল-ভেড়ার মতো ছোট প্রাণীগুলোও ভেসে গেছে। হাঁস-মুরগির খামার বা হ্যাচারি ডুবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক। এ ছাড়াও ছাগল-ভেড়ার খামারের পাশাপাশি দুধ ও মাংস উৎপাদনকারী গরু-মহিষের খামারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে হঠাৎ মাছ-মাংস, দুধ ও ডিমের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। জাতীয় পর্যায়ের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এই ১১টি জেলার বন্যা দেশের মোট এলাকার ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মতো। তাতে করে ক্ষতির পরিমাণ সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। আমার মনে হয়, এই পরিসংখ্যান পুরোপুরি ঠিক না। ঘরে বসে অনুমান করে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা তা উপরে পাঠিয়েছে আর অধিদপ্তরগুলো মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারকে দিয়েছে।
সরকার যে ক্ষতির কথা বলছে, তা মৃত্যুজনিত; কিন্তু এর সঙ্গে মরবিটিটির প্রশ্নও আছে, অনেক গরু-ছাগল, মহিষ-ভেড়া যেগুলো বেঁচে আছে, যারা মাংস উৎপাদন করত, তাদের তা কমে গেছে; অনেক পশু রোগে আক্রান্তও হয়েছে। দুধের উৎপাদন কমে গেছে, মুরগির মাংস ও ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আবার আরেকটি সমস্যা হলো ওই সময় তো কোনো মার্কেটিং চেইন সচল ছিল না, উৎপাদনের পাশাপাশি বিপণনও হয়নি। সেক্ষেত্রে কৃষক বা খামারিরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাতে শুধু ২ হাজার কোটি না, ৩ হাজার কোটি টাকার ওপরেও ক্ষতি হয়েছে। এমন ক্ষতি লোকচক্ষুর অন্তরালেই রয়ে গেছে। আর অবকাঠামো ও পশুপাখির খাদ্যসামগ্রীর ধ্বংসের পরিমাপ তো নির্ণয় হয়নি।
ভিউজ বাংলাদেশ: বন্যার পর এখন মৎস্য ও প্রাণি খাতের পুনর্বাসনে প্রণোদনা খুবই জরুরি, তাহলে এই খাতের পুনর্বাসন কীভাবে হবে বা ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনর্বাসন করবে কে?
ড. জাহাঙ্গীর আলম: পরিমাণের দিক থেকে দেখতে গেলে দেশের ১ থেকে ২ শতাংশ হয়তো ক্ষতি হয়েছে; কিন্তু বন্যাকবলিত জেলার কৃষক তো সব হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের বাঁচানো এখন সবচেয়ে জরুরি বা মুখ্য বিষয়। তাদের উৎপাদনে ফেরানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ ও কিস্তি মওকুফ বা স্থগিতকরণের পাশাপাশি সহজ শর্তে নতুন ঋণ দিয়ে তাদের দ্রুত উৎপাদনে ফেরাতে হবে, যার মাছের পোনা দরকার, তাকে দেশের অন্য অঞ্চল থেকে মৎস্য বিভাগ বা অধিদপ্তর থেকে মাছের পোনা সরবরাহ করতে পারে। এমনিভাবে হাঁস মুরগি ও পোলট্রি খামারিদের হাঁস-মুরগির বাচ্চা ও খাবার সরবরাহ করতে হবে। সেইসঙ্গে বন্যা-পরবর্তী অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে, সেই রোগের প্রাদুর্ভাব যেন ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য প্রাণিসম্পদের চিকিৎসক ও সম্প্রসারণ কর্মীরা দ্রুত মাঠপর্যায়ে খামারি ও কৃষকদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করবে। তাদের বাধ্য করতে হবে চিকিৎসা দিতে ও খামারিদের পাশে থাকতে।
ভিউজ বাংলাদেশ: এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, দুধ-ডিম, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ এ খাতে ৪১১ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে পণ্য উৎপাদন ও দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বাধাগ্রস্ত হবে কি?
ড. জাহাঙ্গীর আলম: যে জেলাগুলোতে বন্যা হয়েছে, সেখানকার হাঁস-মুরগি ও ডিম ভেসে ও তলিয়ে গিয়ে একেবারে ধ্বংস বা নষ্ট হয়েছে। সেখানকার সব উৎপাদন বন্ধ এবং তা বাজারে আসেনি, তাই বাজারে এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে বটে। তবে পুষ্টি বা খাদ্য ঘাটতির মতো বিষয় হয়ে দাঁড়ায়নি। বাজারে ঘাটতি দেখা দেয় তখনই, যখন বাজারে দাম বেড়ে যায়। যা দেখা যাচ্ছে, এখন বাজারে ডিম ও মুরগির দাম বেড়ে গেছে। তবে তা স্থায়ী হবে না, কারণ হাঁস-মুরগি খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। তাই এই সংকট অল্পসময়ের মধ্যেই কেটে যাবে।
এ ব্ছর যে পরিমাণে বন্যা হয়েছে, সেখানে দেশের ক্ষেত্রে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এলাকাজুড়ে বন্যা হয়েছে। সারা দেশের তুলনায় তা নগন্য। এতে যে উৎপাদন হতো, তা দেশকে খাদ্য ঘাটতিতে ফেলতে পারবে না। তবে কিছুটা প্রোটিন বা পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে, এই এলাকাসহ পুরো দেশ যদি স্বাভাবিক উৎপাদনে না ফেরে; তবে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিতে পারে ও দাম বেড়ে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
ভিউজ বাংলাদেশ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। সেক্ষেত্রে, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণি খাতে কোন ধরনের সংস্কার করলে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হবে?
ড. জাহাঙ্গীর আলম: সংস্কার যদি আমরা করতে চাই, তাহলে কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সংখ্যা কত, তার সঠিক তথ্য দরকার। আমরা তো মাছ চাষ করছি, মাংস উৎপাদন করছি, দুধ উৎপাদন করছি, মুরগি উৎপাদন করছি, ডিম উৎপাদন করছি তারই বা সঠিক সংখ্যা বা পরিমাণ কত, তা কি আমরা জানি? না জানি না। যা জানি তা সরকার বা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর বা বিভাগ মিলে সরকারকে খুশি করার জন্য অতিরঞ্জিত তথ্য তৈরি করে দেয়, যার প্রভাব পড়ে বাজারে। তথ্যের গরমিলের কারণে বা সঠিক তথ্যের অভাবে বাজার ব্যবস্থাপনা বা বাজারে পণ্যমূল্যের ওপর তার প্রভাব পড়ে। ফলে ভোক্তা বা ক্রেতারা প্রতিনিয়তই প্রতারিত হয় বা হতাশ হয়। সঠিক মূল্যে পণ্য কিনতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়। ফলে ৫ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে বা ফেলতে পারে। এ জন্য আমাদের তথ্য প্রদানের বা তথ্য আহরণের পথ বা ব্যবস্থাকে আগে ঢেলে সাজাতে হবে এবং মাঠ পর্যায়ের সঠিক তথ্যানুসন্ধানকরণের মাধ্যমে বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য ব্যাংক তৈরি করতে হবে। যাকে আমরা বলছি সংস্কার।
এ ছাড়া বর্তমানে মন্ত্রণালয়, দেশে উৎপাদিত দুধ ডিম মাছ মাংসের পরিমাণ বা সংখ্যার তথ্য দেয়, তাতে আমাদের প্রতিদিন মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা ২২৫ গ্রাম; কিন্তু বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন জনপ্রতি ভোগ করছি মাত্র ৩৪ গ্রাম। মাংসের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিদিন মাথাপিছু দুধের পরিমাণ ১৪০ গ্রাম; কিন্তু বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন জনপ্রতি ভোগ করছি মাত্র ৪০ দশমিক ০১ গ্রাম। মাছের ক্ষেত্রে প্রতিদিন মাথাপিছু প্রাপ্যতা ৭৯ দশমিক ০২ গ্রাম; কিন্তু বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন জনপ্রতি ভোগ করছি মাত্র ৬৭ দশমিক ০৮ গ্রাম। এরকম ডিমের ক্ষেত্রে প্রতিদিন মাথাপিছু প্রাপ্যতা ১২০ গ্রাম; কিন্তু বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন জনপ্রতি ভোগ করছি মাত্র ১৮ দশমিক ০৯ গ্রাম। বছরের হিসাবে আমরা পাচ্ছি মাত্র ১৪৪টি ডিম। কিন্তু এটাই যদি আসল কথা হয়, তাহলে বিশাল এই ফারাক কেন? অতিরঞ্জিত তথ্য সরবরাহই এই ফারাকের কারণ। তার ফল আমরা জাতিগতভাবে ভোগ করছি। আমাদের সন্তান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মরাও প্রোটিন ও বিভিন্ন রকমের পুষ্টির অভাবে ভুগছি, যা কোনোভাবেই কাম্য না। এগুলো আমরা জাতিগতভাবে ফেস করছি। মেধাবি জাতি গঠনেও পিছিয়ে পড়ছি। তাই আমাদের উচিত প্রতিটি ক্ষেত্রেই সঠিক তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। আর এই সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিতকরণই হবে যুগোপযোগী আসল সংস্কার।
ভিউজ বাংলাদেশ: বাংলাদেশ এ মুহূর্তে অস্থির সময় পার করছে। কৃষি মৎস্য কিংবা প্রাণি খাতের উন্নয়ন মূলত গবেষণাকেন্দ্রিক, সেক্ষেত্রে এ অস্থির সময়ে গবেষণায় কতটুকু মনোযোগ ও উন্নয়ন করা সম্ভব।
ড. জাহাঙ্গীর আলম: এ ধরনের অভ্যুত্থানের পর দেশ, সমাজ ও মানুষের মনোজগতে অস্থিরতা বিরাজ করে। সে জায়গায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও গবেষকদের মনেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। কারণ তাদের গবেষণার জন্য নিবিড় মনোনিবেশ দরকার হয়; কিন্তু তারা তো পাচ্ছে না। সে কারণে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে বটে। তবে তা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারকে জোরাল ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। চলমান মব জাস্টিজ এখনই বন্ধ করতে হবে কঠোরহস্তে। খুব দ্রুত সুস্থির পরিবেশ ফিরিয়ে আনা না যায়; তাহলে ল্যাব গবেষণার পাশাপাশি মাঠ গবেষণা ও সম্প্রসারণের কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে। সেক্ষেত্রে কৃষকের মাঠে ও খামারে এর প্রভাব পড়বে। উৎপাদন কমে বাজারে বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে, পণ্য স্বল্পতায় বাজারেও সংকট দেখা দেবে। তখন ভোক্তা পড়বে বিপদে।
আমাদের দেশে সাধারণত দুধরনের গবেষণা করি। একটি হলো বেসিক রিসার্চ অন্যটি প্রায়োগিক রিসার্চ। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মূলত প্রায়োগিক রিসার্চেই হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েই হয় বেসিক রিসার্চ। তবে অর্থ বরাদ্দের দিক থেকে তা খুবই নগন্য। এ জন্য আসলে গবেষণা থেকে তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। খাতা-কলমের গবেষণা ফাইল বন্দিই থেকে যাচ্ছে, তা থেকে দেশ কৃষি ও কৃষক ফল পাচ্ছে না।
আবার বিদেশি গবেষণার ফল আমাদের দেশে কাজে লাগাতে চেষ্টা করে, তাও ভালো ফল বয়ে আনে না, যার কারণে আমাদের কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের অবদান সবার বাজার বা ভোক্তা পর্যায়ে ফল বয়ে আনছে না। সে কারণে আমার প্রস্তাব হলো, গবেষণায় অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হবে এবং সঠিক জায়গায় সঠিক গবেষণা কার্যক্রমগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে, যেন দেশ ও জাতির জন্য ভালো ফল বয়ে আনতে পারে।
সর্বোপরি কৃষি-মৎস্য-পোলট্রি ও প্রাণিসম্পদের জাত উন্নয়ন এবং রোগ নির্ণয় ও নিরাময়কেন্দ্রিক গবেষণায় গুরুত্বারোপের পাশাপাশি বায়োটেকনোলজির ওপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে। আর গবেষক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাজ হলো দেশ-বিদেশের সব আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান গবেষণা ও আধুনিক প্রযুক্তির খোঁজখবর রাখা। সে অনুযায়ী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে দেশ ও জাতির স্বার্থে।
ভিউজ বাংলাদেশ: আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. জাহাঙ্গীর আলম: আপনাকেও ধন্যবাদ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে