মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন জাপার সাবেক এমপি অভি

প্রায় ২২ বছর আগের মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শাহীনুর আক্তারের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় তিন্নির পরিবারের কেউই আদালতে ছিলেন না।

অভির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন বলেন, রায়ে তার মক্কেল ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

তবে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সৈয়দ মো. আবু জাফর রিজবী বলেন, খালাসের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। রায় পর্যালোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে মডেল তিন্নির মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন।

কয়েকদিন পর নিহতের মরদেহের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে তার আত্মীয় সুজন তিন্নিকে শনাক্ত করেন।

মামলাটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। তিন্নির মরদেহ শনাক্তের পর চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান সংস্থাটির তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এরপর মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক।

সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি অভিযুক্ত হলেও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। অভির অনুপস্থিতিতেই ২০১০ সালের ১৪ জুলাই তিন্নি হত্যা ও মরদেহ গুম সংক্রান্ত মামলায় অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের আদালত।

তিন্নি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এছাড়া এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর। তবে সেদিন মামলার গুরুত্বপূর্ণ দুই সাক্ষী তিন্নির বাবা ও চাচা সাক্ষ্য দিতে চাইলে রায় ঘোষণা না করে আবারও সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।