রেমিট্যান্স প্রণোদনা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
বিদেশি কর্মীদের বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত করতে রেমিট্যান্স প্রণোদনা বর্তমান ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডাররা। হুন্ডির প্রচলন বন্ধ এবং বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোয় গুরুত্বারোপও করেছেন তারা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীতে ‘মেজারস টু ইনক্রিজ রেমিট্যান্স ইনকাম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করা হয়।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আইনি রেমিট্যান্স স্থানান্তর প্রচারে সরকার এবং ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে।
তার পরামর্শ, প্রাপকদের কাছে সহজে অর্থ স্থানান্তরে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে ব্যাংকগুলোর এর বিপরীতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। যেমনটি কর্মীদের সরাসরি কর্মক্ষেত্রে যেতে হুন্ডি অপারেটররা হুন্ডির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে দেন।
‘রেমিট্যান্সে সরকারি প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করার সুপারিশ করছি। এটি বিদেশি কর্মীদের বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে অনুপ্রাণিত করবে’- বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গত বছর দেশের ২৫ শতাংশ কর্মী অভিবাসনে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত হয়েছেন। বিদেশি কর্মীরা ২৭ বিলিয়ন ডলার দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বৈদেশিক এ কর্মসংস্থান না হলে বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষ আরও ১০ শতাংশ বেড়ে যেত।
প্রধান অতিথি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে হুন্ডির পরিমাণ অনেক বেশি। এটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। রেমিট্যান্স উপার্জনকারীদের প্রণোদনা বাড়ানো হলে আইনি মাধ্যমে টাকা পাঠাতে আরও উৎসাহিত হবেন তারা।’
সেমিনার শেষে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ‘২০২৪’ বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রানার্স আপ বেগম রোকেয়া সরকারি মহিলা কলেজকে নগদ পুরস্কার, ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে