জাল সনদ বিক্রি: কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী রিমান্ডে
জাল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
রোববার (২১ এপ্রিল) বিকালে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সেহেলাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপর রোববার ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, “এই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে।”
পাঁচ হাজারের বেশি সনদ ও মার্কশিট বাণিজ্যের অভিযোগে গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ টি এম শামসুজ্জামান ও একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সঙ্গে শামসুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
তাদের মধ্যে অর্থ লেনদেন হত জানিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, “সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেটগুলোকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করত, তাই ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকত না। এছাড়া তারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে টাকা বিনিময়ের তথ্য আদান-প্রদান করত।”
এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে