স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চলচিত্র
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু চলচ্চিত্র। স্বাধীনতা দিবসের ৫৪ বছর পূর্তিতে মুক্তিযুদ্ধ ঘিরে সাড়া জাগানো বেশকিছু চলচ্চিত্রের পর্যালোচনা করেছে ভিউজ বাংলাদেশ।
প্রথম ভাগ (১৯৭২-১৯৮২)
ওরা ১১ জন
স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক প্রথম সিনেমা হলো ‘ওরা ১১ জন’। প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৭২ সালে ছবিটি নির্মাণ করেন। চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে নির্মিত ছবিটি সাড়া জাগায়। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, খসরু, সৈয়দ হাসান ইমাম ও খলিলউল্লাহ খানসহ অনেকে।
অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী
১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুভাষ দত্ত পরিচালিত এ চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধের পর যেসব নারী ধর্ষিত হন, তাদের অধিকার এবং যুদ্ধশিশুদের নিয়ে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তার সমাধানের পথ দেখানো হয়েছে। সিনেমাটির একটি উল্লেখযোগ্য স্লোগান ছিল- ‘লাঞ্ছিত নারীত্বের মর্যাদা দাও, নিষ্পাপ সন্তানদের বরণ কর’।
সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন ববিতা, আনোয়ার হোসেন, সুভাষ দত্তসহ আরও অনেকে।
আবার তোরা মানুষ হ
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও সমাজের অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অকথিত যুদ্ধ চালান কলেজে পড়ুয়া সাতজন তরুণ। চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনি হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। যদিও শেষ পর্যন্ত সাতজনই তাদের আদর্শ অনুসারে সমাজে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হন। ব্যতিক্রমী এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ববিতা, ফারুক ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন খান আতাউর রহমান। ১৯৭৩ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়।
আলোর মিছিল
১৯৭৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আলোর মিছিল’ ছবিটির পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতা। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক, ববিতা, রাজ্জাক, সুজাতা প্রমুখ।
১৯৭২-১৯৮২ পর্যন্ত এই ১০ বছরে আরও অনেকগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। বাঘা বাঙালি, সংগ্রাম, রক্তাক্ত বাংলা, ধীরে বহে মেঘনা, আমার জন্মভূমি, স্লোগান, বাংলার ২৪ বছর, মেঘের অনেক রং, কলমীলতাসহ এসব সিনেমাও দর্শকপ্রিয়তা পায়।
১৯৮২-১৯৯২ সাল পর্য্ন্ত মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে তেমন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়নি। তবে বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে যেমন- আগামী (মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র), হুলিয়া, চাক্কি, ছাড়পত্র, বখাটে, পতাকা, কালোচিল ৭১ প্রভৃতি। এছাড়াও অনেক প্রামাণ্য চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে।
দ্বিতীয় ভাগ (১৯৯২-২০০২)
একাত্তরের যিশু
লেখক শাহরিয়ার কবিরের লেখা একাত্তরের যিশু উপন্যাস অবলম্বনে ‘একাত্তরের যিশু’ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৩ সালে। পরিচালনা করেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি।
আগুনের পরশমণি
১৯৯৪ সালে ছবিটি নির্মাণ করেন কথাসাহিত্যিক, নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। নিজের লেখা ‘আগুনের পরশমণি’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন তিনি। এটিই ছিল হুমায়ূন আহমেদের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সিনেমাটিতে অবরুদ্ধ ঢাকায় একটি পরিবারের জীবনযাপন আর গেরিলা দল বদি ও তার সহযোদ্ধাদের সাহসের গল্প দেখানো হয়েছে।
সরকারি অনুদানে তৈরি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই ছবিটি আটটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। আরও আছেন বিপাশা হায়াত, আবুল হায়াত, ডলি জহুর ও হুমায়ূনকন্যা শিলা আহমেদ।
নদীর নাম মধুমতি
তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত এ চলচ্চিত্রটি ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটি মুক্তির পর তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়। সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তৌকীর আহমেদ, আলী যাকের, আফসানা মিমি, রাইসুল ইসলাম আসাদ প্রমুখ।
হাঙর নদী গ্রেনেড
মুক্তিযুদ্ধের কালজয়ী সিনেমা ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’। যুদ্ধে জয়ী হতে আমাদের অকুতোভয় মায়েরা তাদের নিজের সন্তানকে বিসর্জন দিতেও যে সামান্যতম দ্বিধা করেনি তা সিনেমাটিতে দেখলে ভালো করে বোঝা যায়। হাঙর নদী গ্রেনেড হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সন্তানহারা মায়েদের দুঃখ-কষ্টের প্রতিচ্ছবি। প্রখ্যাত লেখক সেলিনা হোসেন রচিত মুক্তিযুদ্ধের গল্প ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ অবলম্বনে ১৯৯৭ সালে একই নামে ছবিটি নির্মাণ করেন চাষী নজরুল ইসলাম।
একজন সন্তানহারা মাকে নিয়েই ছবিটির গল্প। মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা সুচরিতা। বিভিন্ন চরিত্রে আরও আছেন সোহেল রানা, অরুনা বিশ্বাস, অন্তরা ও ইমরান।
এখনো অনেক রাত
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া মুক্তিযুদ্ধের এ ছবিটি পরিচালনা করেন খান আতাউর রহমান। এটিই তার নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পরের সময়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক, সুচরিতা, আলীরাজ, ববিতা ও পরিচালকের ছেলে কণ্ঠশিল্পী আগুন।
মাটির ময়না
তারেক মাসুদ পরিচালিত সিনেমাটি ২০০২ সালে মুক্তি পায়। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র এটি। ‘মাটির ময়না’র ইংরেজিতে নাম ক্লে বার্ড (clay bird)। সিনেমাটি ২০০২ সালে ৭৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত প্রথম চলচ্চিত্র। কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম দশকের শেষভাগে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান থেকে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের আগের অশান্ত সময়ের পটভূমিতে যুদ্ধ ও ধর্মের কারণে বিচ্ছিন্ন একটি পরিবারের গল্প।
সিনেমাটি অনেক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং ব্যাপক প্রশংসিতও হয়। অভিনয়ে আছেন নূরুল ইসলাম বাবলু, রাসেল ফরাজী, রোকেয়া প্রাচীসহ আরও অনেকে। প্রথমদিকে চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়। ফ্রান্সের প্রেক্ষাগৃহে প্রথম মুক্তি দেয়া হয় চলচ্চিত্রটি।
১৯৯২-২০০২ সময়কালে আরও মুক্তি পায় সিপাহী, ইতিহাস কন্যা, ৭১-এর লাশ, শিলালিপি ইত্যাদি চলচ্চিত্রগুলো।
তৃতীয় ভাগ (২০০২-২০১২)
শ্যামল ছায়া
‘শ্যামল ছায়া’ হলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাট্য চলচ্চিত্র। কথাসাহিত্যিক, নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দ্বিতীয় এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৪ সালে। ছবিতে মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রে দেখা গেছে প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদিকে। আরও অভিনয় করেছেন রিয়াজ, মেহের আফরোজ শাওন, স্বাধীন খসরু, শিমুল, চ্যালেঞ্জার, ফারুক আহমেদ, ডা. এজাজ ও তানিয়া আহমেদ।
৭৮তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশ থেকে এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়। মাটির ময়নার পর এটি ছিল বাংলাদেশ থেকে অস্কারে নিবেদিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একদল মানুষের নৌকায় করে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার এক অজানা গন্তব্যের কাহিনি নিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
জয়যাত্রা
‘জয়যাত্রা’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের কাহিনি অবলম্বনে এই ছবির সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন তৌকীর আহমেদ। চলচ্চিত্রটিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একদল মানুষের হাসি, কান্না, সুখ-দুঃখ, মৃত্যু এবং বেঁচে থাকার সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে সংগ্রামী চেতনা ও পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মানসিকতাও জাগ্রত হয় তাদের মাঝে।
ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, বিপাশা হায়াত, মাহফুজ আহমেদ, হুমায়ূন ফরীদি, তারিক আনাম খান, আবুল হায়াত এবং চাঁদনী।
আমার বন্ধু রাশেদ
মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস আমার বন্ধু রাশেদ অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। পরিচালনায় ছিলেন মোরশেদুল ইসলাম। সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১১ সালে। মফস্বল শহরের একদল সাহসী কিশোরের মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার চিত্র সিনেমাটিতে দেখা যায়। এতে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, চৌধুরী জাওয়াতা আফনান, হুমায়রা হিমু প্রমুখ।
গেরিলা
নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পায় ২০১১ সালে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত ছবিটিতে অভিনয় করেন অনেক গুণী শিল্পী। সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘গেরিলা’ সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস। আরও আছেন এটিএম শামসুজ্জামান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী ওয়াদুদ, শম্পা রেজা, গাজী রাকায়েত প্রমুখ। মুক্তির পর সিনেমাটি দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়।
২০০২-২০১২ এই সময়ে আরও যেসব চলচ্চিত্র মুক্তি পায় সেগুলো হলো- মেঘের পরে মেঘ, খেলাঘর, অস্তিত্বে আমার দেশ, স্পার্টাকাস ৭১, রাবেয়া ইত্যাদি।
চতুর্থ ভাগ (২০১২-বর্তমান)
জীবনঢুলি
তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত এ চলচ্চিত্র ২০১৪ সালে মুক্তি পায়। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের চিত্র সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে। অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, জ্যোতিকা জ্যোতিসহ অনেকে।
মেঘমল্লার
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মেঘমল্লার’ নির্মাণ করেন সদ্য প্রয়াত জাহিদুর রহিম অঞ্জন। সিনেমাটি ২০১৪ সালে মুক্তি পায়। অভিনয়ে রয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, অপর্ণা ঘোষসহ আরও অনেক শিল্পী।
অনীল বাগচীর একদিন
হুমায়ূন আহমেদের অনীল বাগচীর একদিন উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোরশেদুল ইসলাম। ২০১৫ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর অনিশ্চয়তা, মানবিকতা, নির্মমতা চলচ্চিত্রটিতে ফুটে উঠেছে। অভিনয়ে আছেন আরেফ সৈয়দ, গাজী রাকায়েত, জ্যোতিকা জ্যোতি প্রমুখ।
ভুবন মাঝি
‘ভুবন মাঝি’ চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালে মুক্তি পায়। পরিচালনা করেছেন ফাখরুল আরেফিন খান। এটি মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত নাট্য চলচ্চিত্র। একজন ছাপোষা সাধারণ মানুষের বিদ্রোহী হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন অপর্ণা ঘোষ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কাজী নওশাবা আহমেদ, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
স্ফুলিঙ্গ
তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় একঝাঁক তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রী নিয়ে ২০২১ সালে মুক্তি পায় ‘স্ফুলিঙ্গ’। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের সময় অংশ নেয়া তরুণদের সংগ্রামী মনোবল কীভাবে বর্তমান প্রজন্মকে প্রভাবিত করছে ও বর্তমানে তরুণরা কী চায় তা নিয়ে নির্মিত ছবিটি৷ অভিনয়ে আছেন জাকিয়া বারী মম, পরীমনি, শ্যামল মাওলা, রওনক হাসান, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
মুজিব: একটি জাতির রূপকার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী নিয়ে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি ২০২৩ সালে মুক্তি পায়। পরিচালনা করেছেন শ্যাম বেনেগাল। অভিনয়ে ছিলেন আরিফিন শুভ (বঙ্গবন্ধু), নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া, ফজলুর রহমান বাবু, রিয়াজ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, প্রার্থনা ফারদিন দিঘী, চঞ্চল চৌধুরী, গাজী রাকায়েতসহ আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী।
নকশীকাঁথার জমিন
ফারজানা মুন্নী প্রযোজিত ও আকরাম খানের পরিচালনায় ‘নকশীকাঁথার জমিন’ গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পায়। এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাট্য চলচ্চিত্র। যুদ্ধে দুই বোনের মানবেতর ও সংগ্রামী জীবন নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। অভিনয়ে আছেন জয়া আহসান ও ফারিয়া শামস সেঁওতি।
এ সময় নির্মিত আরও কিছু চলচ্চিত্র হলো মায়া দ্য লস্ট মাদার, রূপসা নদীর বাঁকে, অলাতচক্র, প্রিয় কমলা, দামাল, জয় বাংলা, যুদ্ধ শিশু ইত্যাদি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে