Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

শেয়ারবাজারের দরপতনের রহস্য উন্মোচিত করুন

AB Mirza  Azizul Islam

এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

ন্নত দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি চাহিদা পূরণের জন্য উদ্যোক্তারা সাধারণত ক্যাপিটাল মার্কেটের ওপর নির্ভর করে থাকেন; কিন্তু আমাদের দেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারছে না। নানা কারণেই উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীরা ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে পুঁজি সংগ্রহের প্রতি বেশি উৎসাহী থাকেন না। বরং তারা ব্যাংকিং খাত থেকে তাদের কাঙ্ক্ষিত পুঁজি সংগ্রহের চেষ্টা করেন। অথচ দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির জন্য ক্যাপিটাল মার্কেট হচ্ছে সবচেয়ে উপযোগী স্থান।

ক্যাপিটাল মার্কেটের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এখানে প্রতিনিয়তই উত্থান-পতন ঘটে। আর এই উত্থান-পতনই হচ্ছে ক্যাপিটাল মার্কেটের আকর্ষণ বা সৌন্দর্য; কিন্তু কোনো কারণে যদি অব্যাহতভাবে দর পতন ঘটতে থাকে অথবা যৌক্তিক কারণ ছাড়াই মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে উদ্বিগ্ন হবার কারণ থাকে। গত কিছুদিন ধরে বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দরের ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের ভাবিয়ে তুলেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনকৃত ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৫টির। দাম কমেছে ২৪৬টির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে নেমে আসে।

ডিএসইতে লেনদেন শুরু হবার ৩০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইএক্স সূচক ৬০ পয়েন্টের বেশি কমে যায়। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর সূচক প্রায় দেড় শত পয়েন্ট কমে ৫ হাজারের মাইল ফলকের নিচে নেমে আসে। ২৮ অক্টোবর সূচক আরও কমে গত ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এর আগে ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর ডিএসইএক্স সূচকটি ৪ হাজার ৮৯১ এর নেমে এসেছিল। পুঁজি বাজারের এই অস্বাভাবিক আচরণ সংশ্লিষ্টদের ভাবিয়ে তুলেছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর্স অ্যাসোসিয়েশন পৃথক পৃথকভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

এদিকে পুঁজি বাজারে সাম্প্রতিক অব্যাহত দরপতনের কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিএসইসি একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি অব্যাহত দরপতনের কারণ চিহ্নিত করবেন। তবে গত কিছু দিন ধরে অব্যাহত যে দরপতন ঘটছে তাকে কোনোভাবেই স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করার কারণ নেই। এর পেছনে হয়তো কোনো কারণ লুকিয়ে আছে। যেসব কোম্পানির শেয়ারের মূল্য অব্যাহতভাবে হ্রাস পাচ্ছে তার সঙ্গে কোম্পানির পারফর্মেন্সের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোম্পানির অন্যান্য সূচকের যদি বিপর্যয় ঘটতো তাহলে মনে করা যেত তার প্রভাব পড়েছে কোম্পানির শেয়ারের মূল্যের ওপর; কিন্তু তা তো হচ্ছে না। কাজেই সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, এই অব্যাহত দরপতনের পেছনে হয়তো ভিন্ন কোনো কারণ নিহিত আছে। বিএসইসি কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে সুষ্পষ্টভাবে বলা সম্ভব হবে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থার জন্য স্টক মার্কেটের অভ্যন্তরীণ সুশাসনের অভাবই সবচেয়ে বেশি দায়ী। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানি যেসব অডিট রিপোর্ট তৈরি করে তার সত্যতা এবং যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তারা যখন নতুন শেয়ার ইস্যু করে তখন লভ্যাংশের পরিমাণ বেশি করে প্রদর্শন করে। এতে শেয়ার বিক্রি বৃদ্ধি পায়; কিন্তু বাস্তবে হয়তো কোম্পানিটি এতটা মুনাফা অর্জনকারী নয়। এক সময় দেখা যায়, কোম্পানিটি আসলে মুনাফা অর্জনকারী নয় বরং লোকসান দিচ্ছে। লোকসানি কোম্পানি কখনো ডিভিডেন্ড প্রদান করে না। শেয়ার হোল্ডাররা যখন কাঙ্ক্ষিত ডিভিডেন্ড পান না, তখন তারা হতাশ হন। এই অবস্থায় তারা ধারণকৃত শেয়ার বিক্রি করে দিতে পারেন।

অনেকেই মনে করেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিনিয়োজিত অর্থ লাভসহ ফিরে আসবে কি না সে ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন। অনেকেই তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। কিছু বিনিয়োগকারী আছেন, যারা হুজুগে পড়ে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। শেয়ারবাজারে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে দিয়ে একটি মহল তাদের উদ্দেশ্য সাধনে তৎপর রয়েছেন বলে অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন। বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

আমাদের দেশের শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে ১৯৭৬ এবং ২০১০ সালে। সেই সময় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অনেকেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে এসে তাদের সর্বস্ব হারিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির কথা হয়তো অনেকেই ভুলে গেছেন; কিন্তু ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির কথা তো নিশ্চয়ই অনেকেরই মনে আছে। সেই সময় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির কারণ অনুসন্ধানের জন্য যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করেছিল; কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। যারা বাজার কারসাজির জন্য দায়ী ছিলেন তাদের উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করা হয়নি।

আমাদের পুঁজিবাজারের অন্যতম দুর্বলতা হচ্ছে এখানে ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের অভাব রয়েছে। আমি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ছিলাম, তখন ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়ে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারবাজারে নিয়ে আসতে সামর্থ্য হয়েছিলাম; কিন্তু এখন সে ধরনের প্রচেষ্টা খুব একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দেশের খ্যাতিমান এবং ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা চালানো প্রয়োজন। যেসব কোম্পানির সুনাম আছে, যারা ভালো মুনাফা অর্জন করে এমন কোম্পানির শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে হবে। ভালো কোম্পানির শেয়ারবাজারে নিয়ে আসা গেলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। তারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে পর্যাপ্ত মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা দেখবে।

আমাদের দেশের উদ্যোক্তা এবং শিল্পপতিদের মাঝে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। তারা মনে করেন, কোম্পানির শেয়ারবাজারে ছাড়া হলে প্রতিষ্ঠানটির ওপর পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে। এ ছাড়া নানা ধরনের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে। এমন নেতিবাচক মনোভাবে থেকে তাদের বের করে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য ব্যক্তিগতভাবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আমি তত্ত্ববাধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা থাকাকালে ব্যক্তিগতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কোম্পানির শেয়ারবাজারে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। গ্রামীণ ফোনকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবার জন্য সম্মত করিয়েছিলাম। যদিও তারা ২০০৮ সালের পরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। বার্জার পেইন্টস এবং এনার্জি খাতের একটি বড় কোম্পানিকে শেয়ার মার্কেটে তালিকাভুক্ত করিয়েছিলাম। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

বিগত সরকারের আমলে এক সময় ২৬টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজারে ছাড়ার কথা শোনা গিয়েছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক শেয়ার রিজার্ভ করে রাখা যেতে পারে। কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব শেয়ার কিনে নিতে পারবেন। যেহেতু কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন করবেন শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে তাই তারা এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়ের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা দীর্ঘমেয়াদি ঋণের প্রয়োজন হলে তারা ব্যাংকের কাছে ধরনা দেন। ব্যাংক ঋণের সবচেয়ে বড় অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর থেকে নির্ধারিত হারে সুদসহ কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। প্রকল্প বাস্তবায়িত হোক আর না হোক, সেটা ব্যাংকের বিবেচ্য বিষয় নয়। ব্যাংক নির্দিষ্ট সময় পর সুদসহ ঋণের কিস্তি আদায় করবে; কিন্তু পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার বিক্রি করে অর্থায়ন সংগ্রহ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কিস্তি পরিশোধের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়িত হবার পর তা লাভজনকভাবে পরিচালিত হলেই কেবল শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ড প্রদানের প্রশ্ন আসবে। প্রকল্প লাভজনকভাবে না চললেও সুদসহ ব্যাংকের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। আর কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে অর্থায়ন সংগ্রহ করলে সেই প্রকল্প যখন লাভজনকভাবে পরিচালিত হবে শুধু তখনই শেয়ার হোল্ডারদের নির্দিষ্ট হারে ডিভিডেন্ড দিতে হয়। যখন কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আসবে তখন তাদের পারফর্মেন্স ভালোভাবে যাচাই-বাচাই করে তালিকাভুক্তির জন্য অনুমতি প্রদান করা যেতে পারে।

আমাদের দেশ এক শ্রেণির উদ্যোক্তা আছেন যারা তাদের কোম্পানির শেয়ারবাজারে আনতে চান না। তাদের স্বচ্ছতার অভাব থাকতে পারে। তারা জবাবদিহি এড়িয়ে যেতে চান। কারণ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে শেয়ার বিক্রি করা হলে বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ার হোল্ডারদের সামনে জবাবদিহি করতে হয়; কিছু কিছু উদ্যোক্তা আছেন যারা শেয়ারবাজারের চেয়ে ব্যাংক থেকে অর্থায়ন সংগ্রহ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বিশেষ করে যারা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী তারা সাধারণত ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থায়ন সংগ্রহ করতেই বেশি আগ্রহী। কারণ তারা মনে করেন, ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করলে সেই ঋণের অর্থ ফেরত না দিলেও চলবে। ঋণের টাকা ফেরত না দিয়ে বরং তারা নানা ধরনের সুবিধা পাবেন।

ঋণ গ্রহণকালে নির্ধারিত ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের কাছে জামানত দিতে হয়। জামানতকৃত সম্পদের অতি মূল্যায়ন করে অস্বাভাবিক পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করা যায়। ব্যাংক যখন সেই জামানতকৃত সম্পদ বিক্রি করতে যায় তখন ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেক সময় এমন সব সম্পদ ব্যাংকের কাছে বন্ধক দেয়া হয়, যার মালিকানা নিয়ে সন্দেহ থাকে। আমি সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে একটি ঋণ প্রস্তাব আসে। সেই ঋণ আবেদনের বিপরীতে জমি বন্ধক হিসেবে প্রদানের প্রস্তাব করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, জমির মালিকানা ঠিক নেই। একটি বায়নানামার বিপরীতে জমিটি ব্যাংকের কাছে বন্ধক দেয়ার প্রস্তাব করা হয়; কিন্তু বায়নানামা তো জমির মালিকানা হস্তান্তরের দলিল হতে পারে না। এ ছাড়া জমিটি ছিল গভীর পানির নিচে। তাই ঋণ প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

ব্যাংকিং খাতের কিছু কিছু আইন যৌক্তিকভাবে সংস্কার/পরিবর্তন করা প্রয়োজন; কিছু দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়ম জারি করেছে, তাহলো কোনো গ্রুপ অব কোম্পানিজের একাধিক কোম্পানির মধ্যে একটি প্রকল্প ঋণ খেলাপি হলে ওই শিল্পগোষ্ঠীর অন্যান্য প্রকল্প ব্যাংক ঋণ পাবার ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হবে না। আগে নিয়ম ছিল গ্রুপ অব কোম্পানিজের একটি মাত্র কোম্পানিও যদি ঋণখেলাপি হয় তাহলে সেই শিল্পগোষ্ঠীর অন্যান্য প্রকল্প ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ পাবে না। নতুন যে আইন সংস্কার করা হয়েছে তা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয় এবং এটা পরিবর্তনযোগ্য।

এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা
অনুলিখন: এম এ খালেক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ