সিলেটে পৃথক ঘটনায় একদিনে ৫ জনের মৃত্যু
সিলেটে পৃথক ঘটনায় একদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন সড়ক দুর্ঘটনায় ও একজন ইতিকাফরত অবস্থায় মারা যান। আর বাকী দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনাটি রোববার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের ছাতকের মুক্তিরগাঁও নতুন ব্রিজ পয়েন্ট এলাকায় ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন-ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের করছখালি গ্রামের নোয়াব আলীর পুত্র সৌদি আরব প্রবাসী যুবদল নেতা মো. শাহিনুর ইসলাম (৩৪) ও একই গ্রামের ফারুক মিয়ার পুত্র যুবদল নেতা হুমায়ুন রশিদ (৩২)। এ ছাড়া আহত ছাত্রদল নেতার নাম আবিদ হুসাইন মিলন। তিনি কালারুকা ইউনিয়নের লম্বাহাটি গ্রামের বাসিন্দা। তাকে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা তিনজন মোটরসাইকেলযোগে বিএনপির একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়কের পাশে বন্ধ অবস্থায় থাকা একটি ট্রাকের সাথে তাদের মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজন নিহত এবং একজন আহত হন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে একইদিন বিকেলে সিলেটের জকিগঞ্জে ইতিকাফরত অবস্থায় এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়। ওই স্কুল শিক্ষকের নাম জুনেদ আহমদ। তিনি উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের গেচুয়া বড় মহল্লাহ বাসিন্দা ও গনিপুর-কামালগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
রোববার বিকেলে গেচুয়া বড় মহল্লা মসজিদে স্কুল শিক্ষক জুনেদ আহমদের মৃত্যু হয়। জানা গেছে, তিনি ২০ রমজান থেকে মসজিদে ১০ দিনের জন্য এতেকাফ শুরু করেছিলেন।
এ ছাড়াও একইদিনে দুটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রোববার সন্ধায় শাহপরান থানার ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের খাদিমপাড়া এলাকার ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বাউন্ডারি ওয়ালের পাশ থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪৫ থেকে ৫০ বছর। তবে তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
অপর মরদেহটি উদ্ধারের ঘটনা ঘটে সিলেটের বিশ্বনাথে। রোববার ভোররাতে বিশ্বনাথ পৌরসদরের রামপাশা সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম আবদুল মুকিত (৩৫)। তিনি উপজেলার মিরেরচর গ্রামের আব্দুস শহিদের ছেলে।
জানা গেছে, নিহত যুবকের পেটে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার একটি পা মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল।
নিহতের স্বজনরা জানান, আবদুল মুকিত বিশ্বনাথ পৌরসদরের একটি সুপারশপে চাকরি করতেন। রামপাশা রোডে তার প্রবাসী বোনের ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে কোনো ভাড়াটে ছিলো না। এটি দেখাশুনা করতেন আবদুল মুকিত।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে লাশের ময়না তদন্ত হবে এবং ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে