সিলেটে বন্যা: সীমান্ত এলাকায় কিছুটা উন্নতি হলেও নগরীতে অবনতি
সিলেটের সীমান্ত এলাকার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, ইতোমধ্যেই নামতে শুরু করেছে পানি। তবে সুরমা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিলেট নগরী প্লাবিত হচ্ছে।
ভারত থেকে উজানের ঢলে গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত থেকে সিলেটের ৪ উপজেলাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে কানাইঘাট উপজেলা পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর ও কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলসীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে সিলেট নগরীর সীমানা রেখার প্রায় ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তালতলা, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, তেররতন, তালতলা, জতরপুর ও উপশহরসহ নগরীর বিভিন্ন খাল দিয়ে প্রবেশ করছে। এতে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর প্লাবিত হচ্ছে।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি সভা করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “প্যানেল মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সভায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের জরুরি সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নগরবাসীর জরুরি সেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (০১৯৫৮২৮৪৮০০) খোলা হয়েছে এবং পরিস্থিতি খারাপ হলে রান্না করা খাবার পরিবেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
কাউন্সিলরদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নগরীতে ইতোমধ্যেই বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে অন্তত চার হাজার পরিবার।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে