নয়াদিল্লিতে বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীন সফর শেষে বুধবার রাতে বেইজিং থেকে সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এই রিট্রিটে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা এবং আসন্ন ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনকে সফল ও ফলপ্রসূ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। নেপালের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের পররাষ্ট্র সচিব।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আঞ্চলিক এই জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ এবং নীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাথে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানিতে অব্যাহত সুবিধা বজায় রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরী দল পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অপরদিকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই বৈঠককালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন। নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সেওয়া লামসাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, বিমসটেক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ১৯৯৭ সালে সৃষ্ট এই জোটের সদস্য।
২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিমসটেকের সদর দপ্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরও অনেকগুলি ক্ষেত্র বিমসটেকের আওতাভুক্ত।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে