চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সঠিক পথে ফিরুক দেশের ক্রীড়াঙ্গন
বিএনপি শাসনামলে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছিলেন বগুড়ার সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান সজল। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাকালে মসনদে আসীন হন গোপালগঞ্জের মোল্লা বদরুল সাইফ। ওপরের তথ্য দুটি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির চিত্র কিছুটা ফুটিয়ে তুলছে। রাজনীতি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের একমাত্র সমস্যা না। বরং কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব গৌণ হয়ে দাঁড়ায় জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদের (যা ফোরাম নামে অধিক পরিচিত) দৌড়ঝাঁপে। প্রথমে ফোরামের প্রভাবের চিত্রটাই ফুটিয়ে তোলা যাক- জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা ৫৫।
হাতে গোনা কয়েকটি ফেডারেশনের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ফোরামের বাইরের ভোটাররা। যার অর্থ অধিকাংশ ক্রীড়া ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের চাবিকাঠি থাকছে ফোরামের হাতে। কারণ ফোরামের সদস্য ৬৪ জেলা ও ৮ বিভাগ- মোট সংখ্যাটা ৭২। সব ফেডারেশনের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার সমৃদ্ধ সংগঠনটি কিন্তু সংঘবদ্ধ থাকছে। যে কারণে জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে প্রার্থীদের ফোরামের আশীর্বাদ প্রয়োজন হয়। নির্বাচনি মাঠে কখনো সে আশীর্বাদ মিলছে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের বিভিন্ন পদ ভাগাভাগির মাধ্যমে। পদের বদলে বিভিন্ন ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে আর্থিক যোগসূত্রও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে অর্থ যোগের বিষয় গোপন থাকছে না। ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তি বিগত দিনে গণমাধ্যমের কাছে এমন অভিযোগ কিন্তু অস্বীকার করেননি।
ফোরামের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির এমন বোঝাপড়ার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাকফুটে চলে যেতে হচ্ছে প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠকদের। এ ক্ষেত্রে আদর্শ উদাহারণ হতে পারে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। ২০২৩ সালের মে মাসে নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী ছিলেন। এ নিয়ে দুটি পরিষদ মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায়। একদিকে ছিল ফোরাম, অন্যদিকে সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া জোট। ফোরামের আধিপত্যের কারণে শেষ পর্যন্ত সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া পরিষদ বিভিন্ন পদে ভাগ-বাটোয়ারায় যেতে বাধ্য হয়েছে। সমঝোতার ফাঁক গলে সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হন ফোরামের সদস্য এবং বরগুনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। মজার বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনি মাঠে ছিলেন ব্যাডমিন্টনের প্রতিষ্ঠিত এবং পরীক্ষিত একাধিক একাধিক প্রার্থী। তাদের টপকে যিনি মসনদে আসীন হয়েছেন, সেই আলমগীর হোসেনের অতীতে ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল না! এভাবে জিম্মি দশায় দিনের পর দিন, বছরের পর বছর চলছে দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর নির্বাচন প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে আনকোরা ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশ ঘটছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে।
ফোরামকে ম্যানেজ করে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার ঘটনা ছিল বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের বিগত দুটি নির্বাচনে। যেখানে আব্দুস সাদেকের মতো কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় এবং অভিজ্ঞ সংগঠক ভোটের লড়াইয়ে নতজানু হয়েছেন। অভিযোগ ছিল, হকিতে ভোটের ওই লড়াইয়ের প্রভাবক ছিল বিপুল অঙ্কের অর্থ। ফোরামের আশীর্বাদ নিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা মমিনুল হক সাঈদ। প্রথম মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় মেয়াদেও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারিত মমিনুল হক সাঈদই। এ যাত্রায় তিনি পেশি বল প্রয়োগ করে কাউন্সিলর হতে দেননি সাবেক খেলোয়াড় ও অভিজ্ঞ সংগঠক সাজেদ এ এ আদেলকে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছিল। বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে এমন রাজনৈতিক প্রভাব, আর্থিকভাবে ফোরামকে ম্যানেজ করা এবং পেশি বল প্রয়োগের শত-সহস্র উদাহরণ টানা যাবে।
২১ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এস এম হুমায়ুন কবীর স্বক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাতে ফোরাম আপাতত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে; কিন্তু ভবিষ্যতে এ সংগঠন ফের সংগঠিত হবে না- এমন নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং আবারও দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য দানব হয়ে উঠতে পারে সংগঠনটি!
বাংলাদেশ হকি বরাবরই সম্ভাবনাময় খেলা। বাংলাদেশকে হাতছানি দিচ্ছে যুব বিশ্বকাপ। এমনটা অতীতেও ধারাবাহিকভাবে দিয়েছে; কিন্তু সে সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে সাংগঠনিক জটিলতার কারণে। খেলাটিতে সংগঠকদের একাধিক পক্ষ সক্রিয়। একপক্ষ কোন উদ্যোগ নিলে আরেক পক্ষ পেছন থেকে লাগাম টেনে ধরছে। হকির আন্ত-প্রাণ ব্যক্তিরা একবাক্যে স্বীকার করেন- ‘খেলাটির প্রকৃত সমস্যা এখানকার সংগঠকরাই।’ সে সমস্যা সমাধানের কোনো ফর্মুলা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। সার্চ কমিটি আদৌ খুঁজে পাবে কি না- বলা কঠিন!
ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে বিগত সরকারগুলোর উদাসীনতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি দলের কর্মীদের পুনর্বাসিত করার অপচেষ্টার কারণে অতীতে উপরোল্লিখিত অনিয়মগুলোই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছিল! অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিভিন্ন সেক্টরের মত ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা প্রকৃত ক্রীড়ামোদিদের আশার আলো দেখাচ্ছে। ফোরামের লাগাম টেনে ধরে ক্রীড়াঙ্গনে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইস্যুতেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। উন্নয়নের সঠিক পথ রেখে উল্টো পথে চলছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে আদৌ সঠিক পথে ফিরবে কি ক্রীড়াঙ্গন!
বর্তমান সরকার ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারে একটা সার্চ কমিটি গঠন করেছে। ৫ সদস্যর ওই কমিটি আগামী দুই মাস ক্রীড়াঙ্গনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবে। তার ভিত্তিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠাবে গঠিত সার্চ কমিটি। সেই সুপারিশমালার ভিত্তিতে তৈরি হওয়ার কথা আগামী দিনের ক্রীড়াঙ্গনের রূপরেখা। বিভিন্ন সূত্র মারফত যানা যাচ্ছে, ১০ বছরের অধিক সময় ধরে যারা সাধারণ সম্পাদকের পদ আঁকড়ে আছেন; তাদের অপসারণের সুপারিশ করবে গঠিত সার্চ কমিটি। সন্দেহ নেই এটা ভালো উদ্যোগ। কারণ এমন অনেক ক্রীড়া ফেডারেশনও আছে, যেখানে ৩০-৩৫ বছর ধরে একই ব্যক্তি সাধারণ সম্পাদকের পদ আঁকড়ে আছেন। এমন ফেডারেশনের সংখ্যা কিন্তু এক, দুই কিংবা তিন নয়; বরং আরও বেশি। কিছু ফেডারেশন একই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মসনদে থাকলেও সে ফেডারেশনগুলোর ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে একদিকে যেমন সক্রিয়; অন্যদিকে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সম্ভাবনাময় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমন ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর ক্ষেত্রে আদৌ বিশেষ বিবেচনা করা হবে কি না- এখনো নিশ্চিত নয়।
এ ক্ষেত্রে ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঢালাওভাবে সবাইকে একইভাবে বিচার করা উচিত হবে না। তাদের মতে, সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলো সামগ্রিক কার্যক্রম, আন্তর্জাতিকভাবে উত্তরণ ও সম্ভাবনা যাচাই করা উচিত। এমন অনেক ফেডারেশন আছে; যেখানে ঘরোয়া কার্যক্রম সচল থাকলেও আন্তর্জাতিকভাবে ভালো কিছু করার সম্ভাবনা নেই। সে ফেডারেশনগুলোকে একটা স্তরে রাখার সুপারিশ করছেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা। আবার এমন ফেডারেশন আছে যাদের বৈশ্বিক আসরে সম্ভাবনা উজ্জ্বল, তাদের বিষয়গুলো আলাদা বিবেচনা করা উচিত। ক্রীড়াঙ্গন পরিবর্তন অবশ্যই জরুরি। সেটা যাতে গঠনমূলক পরিবর্তন হয়, সিস্টেমিক পরিবর্তন হয়, যা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে গতিশীল করে তুলতে পারে।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ান গেমস এবং দক্ষিণ এশিয়ান সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে একাধিক পদক জয়ী আমেরিকা প্রবাসী সাবেক সাঁতারু কারার মিজানুর রহমান ভিউজ বাংলাদেশকে বলছিলেন, ‘প্রবাসে অবস্থান করলেও গভীরভাবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের খোঁজ-খবর রাখছি। সে দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে পারি- সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে উত্তরণ এবং বৈশ্বিক আসরে সম্ভাবনার ভিত্তিতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর এটাই আদর্শ সময়। বিগত দিনে গড়পরতাভাবে পরিচালিত হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। এভাবে চললে উন্নতি করা কঠিন না, অসম্ভব।’
কিশোরগঞ্জের নিকলী থেকে উঠে এসে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা সাঁতারু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সাবেক এ ক্রীড়াবিদ আরও বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ান গেমস, এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস এবং অলিম্পিক গেমসকে সামনে রেখে দীর্ঘ পরিকল্পনা সাজানোর বিকল্প নেই। যে ফেডারেশনগুলোর আন্তর্জাতিক সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের বিষয়ে আপনাকে যত্নশীল হতে হবে। যাদের সম্ভাবনা নেই, তাদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া ঠিক হবে না। তবে ওই ফেডারেশনগুলোকে আলাদা গ্রেডে রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে এক গ্রেড থেকে আরেক গ্রেডে উঠে আসার সুযোগও রাখা উচিত। তাতে ফেডারেশনগুলোর অভ্যন্তরে সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হতে পারে।’
একসময় এশিয়ান গেমসের কাবাডি থেকে নিয়মিত পদক পেত বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের পর থেকে নারী এবং পুরুষ- দুই বিভাগে পদকশূন্য লাল-সবুজরা। অথচ নিকট অতীতে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিন্তু ফুলেফেঁপে উঠেছে। অর্থ আছে, কার্যক্রমেও একসময় গতিশীলতা দেখা গেছে; কিন্তু সেটা খেলাটির হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। এ কারণে জাতীয় খেলা কাবাডিতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কী কারণে এমন পিছিয়ে যাওয়া? প্রশ্নের উত্তরে নাম গোপন রাখার শর্তে সাবেক এক কাবাডি খেলোয়াড় বলছিলেন, ‘নিকট অতীতে (সাধারণ সম্পাদক-যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে) কাবাডি ফেডারেশনকে নেতৃত্ব দিয়েছেন একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের তত্ত্বাবধানে কাবাডিতে অর্থ সংশ্লিষ্টতা বেড়েছে, বেড়েছে কার্যক্রমও; কিন্তু সে কার্যক্রম দেশের কাবাডি উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি। অনেক সময় দেখা গেছে কাবাডির শীর্ষ কর্মকর্তারা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত দেশের কাবাডি উন্নয়নের পথে অন্তরায়।
শীর্ষ পদগুলোতে প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা থাকার কারণে এ নিয়ে আপত্তিও করা যায় না।’ দীর্ঘদিন ধরে কাবাডির সঙ্গে যুক্ত ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কোনো খেলাকে যে বিক্রির উপযোগী পণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়- এটা বাংলাদেশ কাবাডি প্রমাণ করেছে। নিকট অতীতে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাকে ঘিরে বিপুল পৃষ্ঠপোষকতা এসেছে। গোছালো ভাবে এগিয়ে যেতে চাইলে অর্থ কোন সমস্যা নয়- এটা কাবাডি প্রমাণ করেছে। জাতীয় খেলায় এগিয়ে যেতে সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা জরুরি।’ গঠিত সার্চ কমিটির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, রাজনৈতিক ও ফোরামের প্রভাব উপক্ষো করে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন পরিচালনায় সঠিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা, যাদের হাত ধরে এগিয়ে যেতে পারবে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। অন্যথায় অতীতের মত, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে পুরোনো ডায়ালগই থাকবে- ‘সাফল্য নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা’।
মাহবুব সরকার: ক্রীড়া সাংবাদিক ও বিশ্লেষক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে