শনিবারের মধ্যে সব কারখানায় বেতন ও বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে: বিজিএমইএ
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশের গার্মেন্ট সেক্টরের অধিকাংশ কারখানায় কর্মীদের বেতন এবং উৎসব ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। এতে কর্মীরা স্বস্তি পেয়েছেন এবং উদ্যোক্তাদের উপর চাপও কমেছে। তবে যেসব কারখানায় এখনও বেতন এবং বোনাস বাকি ছিল, সেগুলোও শনিবার (২৯ মার্চ) পর্যন্ত পরিশোধ করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের সব কারখানার গার্মেন্ট কর্মীদের বেতন ও বোনাসের পরিশোধ শতভাগ সম্পন্ন হবে।
এসব তথ্য জানিয়ে শুক্রবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সব সংশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ব্যাংক, শ্রমিক নেতা এবং অন্যদের সহযোগিতায় এই প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।
বিজিএমইএ এর মহাসচিব মো. ফইজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ কারখানা ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। ৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ কারখানা মার্চ মাসের ১৫ অথবা ৩০ দিনের বেতন পরিশোধ করেছে। ৯৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ কারখানা ঈদ বোনাস দিয়েছে। এবং দশমিক ৪৭ শতাংশ কারখানা ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জরুরি শিপমেন্টের কারণে কিছু কারখানা ২৮ ও ২৯ মার্চ বেতন ও ভাতা পরিশোধ করবে। বিজিএমইএ আশা করছে, ২৯ মার্চের মধ্যে প্রায় শতভাগ কারখানায় বেতন ও বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, বেতন ও ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করার জন্য ৪৪৫টি কারখানাকে নিবিড়ভাবে মনিটর করা হয়েছে। তাদের হস্তক্ষেপের কারণে প্রায় ১০০টি সমস্যাযুক্ত কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ নিশ্চিত হয়েছে।
এছাড়া, বিজিএমইএ এর অনুরোধে সরকার ব্যাংক শাখাগুলোকে সরকারি ছুটির দিনে খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়ক হয়েছে।
এদিকে বিজিএমইএ এর নির্দেশনায়, কর্মীদের ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ধাপে ধাপে ছুটি দেয়া হচ্ছে, যাতে মহাসড়কে যানজটের চাপ কমানো যায়। এছাড়া, বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন চালু করেছে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের সুবিধার জন্য এবং মহাসড়কে বিশেষ বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে