জি-২০ সম্মেলন: জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্ব রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ মহাসম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন এক মাইলফলক তৈরি করেছেন। এবারের জি-২০ মহাসম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আমন্ত্রিত হওয়াটা যেমন সম্মানের তেমনি অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক দিক থেকে এ সম্মেলনে যোগদানের বিষয়টি বিশেষ কূটনৈতিক গুরুত্ব বহন করে।
এই সম্মেলনের প্রথম দিন গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি ভারতের যে আস্থা রয়েছে, সেটি প্রকাশ পেয়েছে। এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু উল্লেখযোগ্য প্রজেক্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বেশি দৃঢ়তা পেয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সমসাময়িক সময়ে বড় কূটনৈতিক অর্জনও।
এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেলফি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে। এ সেলফির বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। সরকার সমর্থক রাজনৈতিক, কর্মী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই এই সেলফির ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন। কেউ কেউ নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের সম্পর্ক ভালো হয়ে যাওয়ার প্রমাণ হিসেবে এ সেলফিকে বর্ণনা করছেন। অন্যদিকে সরকারবিরোধীরা দাবি করছেন, এই সেলফি দিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্তির চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এই সেলফিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি এবং পূর্বে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- জো বাইডেন, শেখ হাসিনা এবং তার কন্যার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গির সেলফি কি আদৌ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে তার অবসান ঘটবে? এর উত্তর একবাক্যে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ যেকোনো দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নির্ভর করে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। এ কারণে বলা যায়, আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এই সেলফির মাধ্যমে মনে করছেন ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আগের দূরত্ব ঘুচে গেছে’ এটি যেমন ঠিক নয়; তেমনি বিরোধীরা যেমন গুরুত্বহীন মনে করছেন সেটিও ঠিক নয়। যুক্তিসঙ্গতভাবে জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ, আলাপ ও এই হাস্যোজ্জ্বল ছবির ভাষার অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে। বিশেষ করে জো বাইডেনের বাংলাদেশের প্রতি যে আগ্রহ ও মনোযোগ আছে, সেটির প্রতিফলন ঘটেছে এই সাক্ষাতে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও সম্মানেরও নির্দশন এই সেলফি। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে মতভিন্নতা থাকলেও তারা উভয়ই সহযোগিতার সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, তা ওই হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রমাণ করে।
এখন এবারের জি-২০ সম্মেলনের অন্য প্রসঙ্গে আসি। গত কয়েক বছরে ধরে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজের জোরালো অবস্থান তৈরি করতে অনেকাংশে সক্ষম হয়েছে। নয়াদিল্লিতে সদ্য সমাপ্ত জি-২০ মহাসম্মেলন তাদের এই আওয়াজ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। ২০২৪ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের আগেই শীর্ষ এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশ্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তিকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে এ কথাও বলা যায়। অন্যদিকে দেশের ভেতরেও জি-২০ সম্মেলনে প্রেসিডেন্সির বিষয়ে জোরালো প্রচারণা চালিয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রমাণ করতে পেরেছেন, বিশ্বের মঞ্চেও ভারতের গুরুত্ব ও মর্যাদা এখন আলাদা। এখানেই বৈশ্বিক জি-২০ মহাসম্মেলন ঘিরে ভারতের তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফলতা।
এবারের জি-২০ সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো-বর্তমান বিশ্বের ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বাস্তবতা। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বর্তমান বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে এবারের জি-২০ সম্মেলন এক ভিন্নমাত্রায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অনেক দেশের অর্থনীতি এখনো মহামারির ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের থাবা থেকে বেরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা যুদ্ধ এবং এর অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে ক্রমে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে। কারণ বিশ্বজুড়েই খাদ্য এবং জ্বালানির দাম বেড়েই চলছে, এমন সংকট তো আছেই। এ অবস্থায় ভারতে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মিলনমেলা বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের অবস্থানকে দৃঢ় করেছে, সন্দেহ নাই। যদিও চীনের প্রেসিডেন্ট সিচিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দিল্লিতে নিজেরা না এসে তাদের ডেপুটিকে পাঠানোর ফলে এই সম্মেলন নিয়ে কিছুটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তো এই সম্মেলনের আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর বলেই ফেলেছেন, সম্মেলনে মি. সির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে না জেনে তিনি নিরাশ হয়েছেন। চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের যোগ না দেওয়ার পেছনে বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন-রাশিয়ার যে দ্বন্দ সেটাই মূলত কাজ করেছে। কিন্তু চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের যোগ না দেওয়ার বিষয়টি বরং ওই দুই নেতাকেই বিশ্ব রাজনীতিতে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। কারণ এই দুই দেশের মিত্র অনেক দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যোগ দিলে এবং বিশ্ব রাজনীতির সংকট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের সামনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরলে তাদের ভাবমূর্তির জন্য ইতিবাচকই হতো।
চীন এবং ভারত হিমালয় অঞ্চলের সীমানা বিরোধ নিয়ে এই দুই দেশ কয়েক বছর ধরে মুখোমুখি অবস্থানে আছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে চীন সরকার একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল যেখানে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই অঞ্চলকে চীনা মালভূমি হিসেবে সীমানাভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে অনেক কিছু নিয়ে। বিশেষ করে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সেনা অভিযান, শিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হংকং, তাইওয়ানকে নিজের দেশের অংশ বলে দাবি করা এবং দক্ষিণ চীন সাগরের আধিপত্যবাদ।
অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চীন যাতে বিশ্বব্যাপী ঢোকার সুযোগ না পায় সেজন্যে তাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত যেসব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও বেইজিং ক্ষুব্ধ। এমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াগত মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট সিচিনপিং ব্রিকস সম্মেলনে প্রকাশ করে বলেছিলেন,‘পশ্চিমা আধিপত্যের দিন শেষ। এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঔপনিবেশিক জোয়াল থেকে মুক্ত হতে হবে।’ আর ইউক্রেন সংকট ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বিরোধপূর্ণ অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। জি-২০ সম্মেলনে চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট অংশ না নিয়ে সেই বিরোধকেই আরও জোরালো করে তুললেন!
এমনকি এবারের জি-২০ জোটের পর্যটন গ্রুপের একটি বৈঠক ফেলা হয়েছিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে। যার মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছিল, কাশ্মীর কোনো বিতর্কিত ভূখণ্ড নয় বরং ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।ফলে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের প্রভাব যে অনেক বেড়েছে, দেশের সাধারণ নাগরিক সে কথা এখন বিশ্বাস করছেন। এ বিষয়ে মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চের সাম্প্রতিক এক জরিপেও এই বক্তব্যের সত্যতা মিলেছে, যেখানে দেখা গেছে ৬৮ শতাংশ ভারতীয় এখন বিশ্বাস করেন বিশ্বমঞ্চে ভারতের মর্যাদা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আবার ভারতেই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন প্রসঙ্গে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ গত সপ্তাহে তাদের একটি নিবন্ধের শিরোনাম করেছে ‘রিসাউন্ডিং সাকসেস অব ইন্ডিয়া’।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে ভারতের কাছে খুব সম্ভবত বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সদস্য দেশগুলোর সম্মতিক্রমে একটি ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ জারি করা। মূলত গত এক বছর ধরে জোটের বিভিন্ন বৈঠকেই দেখা গেছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধের ফলে কোনো সর্বসম্মত বিবৃতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লির ভারত মন্ডপমের সভাস্থল থেকে একশ শতাংশ সর্বসম্মতির ভিত্তিতে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র জারি করা সম্ভব হয়েছে। তাই ঐকমত্য গড়ার সেই কঠিন পরীক্ষাতেও ভারত উতরাতে পেরেছে সাফল্যের সঙ্গে। কারণ রাশিয়া, চীন, আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলোকে কাছাকাছি এনে একটা ঘোষণাপত্রে ভারত সবাইকে রাজি করাতে পেরেছে সেটা ভারতেরই বড় কূটনৈতিক সাফল্য। এ কারণে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, আন্তর্জাতিক স্তরে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় ভারতের মুন্সিয়ানারই প্রমাণ দিল এই জি-২০সম্মেলনে। তা ছাড়া বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিম কিংবা হালের উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে সেতুবন্ধনের কঠিন কাজটা যে ভারত করে দেখাতে পারছে,সেটাই এই সম্মেলনে ভারতে সবচেয়ে বড় অর্জন।
জি-২০ সম্মেলন শেষে গত ১০ সেপ্টেম্বর সম্মেলন শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভিয়েতনামের হ্যানয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটাও নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জো বাইডেন বলেছেন, ‘তার সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরে তিনি ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং একটি মুক্ত সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার আলোচনায় তুলেছিলেন। একই সঙ্গে ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে কীভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলা যায় তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বিশদ আলোচনা হয়েছে।’ এর আগে হোয়াইট হাউস সূত্রেও একাধিক সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছিল, ‘দিল্লিতে মোদি-বাইডেন বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজনের অনুরোধ জানানো হলেও ভারত তাতে রাজি হয়নি।’ তখন ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ভারতে আসাটা কোনো পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না, কাজেই শুধু আলাদা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজনেরও কোনো কারণ ছিল না। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেই ভিয়েতনামে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভারতে যেভাবে মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আচরণ করা হচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন মোটেই সন্তুষ্ট নয়।
আমরা জানি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বার বার বিতর্ক উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বড় ঘটনা আলোচিত হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে রাশিয়া ও চীনের প্রেসিডেনন্টও বার বার অভিযুক্ত হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির বাস্তবতায় অধিকাংশ দেশেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ক্রমাগত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সচেতন মানুষের মধ্যে। এবারের জি-২০ সম্মেলনে মানবাধিকার প্রসঙ্গ যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি। এই অবস্থা মানবাধিকারের প্রতি বিশ্ব নেতৃত্বের অঙ্গীকারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তবে আলোচনাপ-সমালোচনা যাই থাকুক, জি-২০ সম্মেলন আয়োজনকে ভারতের ইতিহাসে একটি মাইলফলক করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব চেষ্টাই করেছেন। এখন এই সম্মেলন তাকে দেশের ইতিহাসে কীভাবে জায়গা করে দেয় এবং এর মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে সামনের দিনগুলোতে কি ধরনের প্রভাব পড়ে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে