Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে শক্ত অবস্থানে জি-৭

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জোট জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সব রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা মিয়ানমারে অস্ত্র ও জেট ফুয়েলসহ অন্যান্য দ্বৈত ব্যবহারের উপকরণের প্রবাহ রোধ বা বন্ধ করার জন্য সব দেশের প্রতি তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে, যে কোনো ধরনের জোরপূর্বক শ্রম থেকে বিরত থাকতে এবং সব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও অভাবী মানুষের কাছে দ্রুত, নিরাপদ ও অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’

মিয়ানমারে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের জন্য জবাবদিহি অপরিহার্য উল্লেখ করে জি-৭ দেশগুলো বলেছে, ‘আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২৬৬৯ (২০২২) এর ব্যাপক বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেছি, মিয়ানমার বিষয়ক নবনিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূতের নেতৃত্ব এবং দেশটিতে আবাসিক সমন্বয়কারী নিয়োগের মাধ্যমে এই সংকটে জাতিসংঘের আরও সম্পৃক্ততাকে সমর্থন করি।’

এছাড়াও তারা একটি অর্থবহ ও টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে অবিলম্বে যে কোনো সহিংসতা বন্ধ, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের থেকে শুরু করে নির্বিচারে আটক সব বন্দিদের মুক্ত এবং সব অংশীজনদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ প্রতিষ্ঠার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে ৫ দফা ঐকমত্যের দ্রুত বাস্তবায়নে বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আসিয়ানের প্রচেষ্টাকে তারা সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও জানানো হয়েছে।

বেসামরিক অবকাঠামো (বাড়িঘর, স্কুল, উপাসনালয় ও হাসপাতালসহ) সামরিক বাহিনীর অব্যাহত হামলা, বারবার ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং উদ্বেগজনক মানবিক পরিস্থিতি - যা বিশেষত শিশু, নারী এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর সদস্যসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আক্রান্ত করে। পুরো বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তারা বলেন, ‘আমরা সামরিক শাসকদের দ্বারা ২০১০ সালের বাধ্যতামূলক নিয়োগ আইনের সাম্প্রতিক প্রয়োগেরও নিন্দা জানাই।’

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তরুণদের জোরপূর্বক নিয়োগ কেবল আরও সহিংসতার দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যাপক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার কারণ হতে পারে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ