Views Bangladesh Logo

ভবনে প্রবেশ না করতে স্থপতির আহ্বান

গাউসিয়া টুইন পিকে মানা হচ্ছে না অগ্নিঝুঁকি মোকাবিলার নিয়ম

গ্নিঝুঁকি মোকাবিলার সব কিছু খুলে ফেলায় এবার ধানমন্ডির একটি ভবনে সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানালেন ভবনটির স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোডে দৃষ্টিনন্দন ভবনটির নাম গাউসিয়া টুইন পিক। এ ভবনজুড়েই রয়েছে বেইলি রোডের কোজি গ্রিন কটেজের মতো খাবারের দোকান।

ভিসতারা আর্কিটেক্টসের কর্ণধার মুস্তাফা খালিদ পলাশ বলছেন, নকশা এবং অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে একে ঝুঁকিপূর্ণ রেস্তোরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে।

এই স্থপতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় জানান, তার ডিজাইন করা গাউসিয়া টুইন পিক ভবনটি মূলত একটি বাণিজ্যিক ভবন; কিন্তু ভবনের প্রতিটি তলায় রেস্টুরেন্ট স্থাপন করা হয়েছে, ফায়ার ডোরগুলো খুলে ফেলে ফায়ার স্টেয়ারের অংশে তৈরি করা হয়েছে স্টোররুম। ভবন মালিক ও ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্থপতির নির্দেশনা না মেনেই স্থাপনাটিকে অনিরাপদভাবে ব্যবহার করছেন, যা মানুষের জানমালের জন্য হুমকিস্বরূপ।

নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কেউ যেন সেখানে না যান, এমন প্রতীকী বার্তা দিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে তিনি অগ্নিনিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হওয়ার কথা বোঝাতে চেয়েছেন। ভবনটি অনিরাপদ করে তোলার জন্য আঙুল তুলেছেন ভবন মালিকদের প্রতি।

স্থপতি পলাশ লিখছেন, স্থপতি হিসেবে শেষ যে ক্ষমতাটুকু রাজউক দিয়েছে, অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য রিপোর্ট স্বাক্ষর করার, তার তোয়াক্কাও এখানে করা হয়নি। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই চলছে ব্যবসা। যেহেতু ভবনটি নির্দিষ্ট ব্যবহারের ব্যত্যয় করে ব্যবহার শুরু করে দেয়া হয়েছে, তাই স্থপতি হিসেবে রিপোর্ট ও এজবিল্ট ড্রয়িং প্রদান থেকে বিরত হয়ে জমির মালিক, ডেভেলপারকে বারবার লিখিত বার্তায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হলেও কোনো ফলপ্রসূ অগ্রগতি হয়নি।

অর্থের কাছে আমার আহাজারি বারবারই নিষ্ফল হচ্ছে। ডেভেলপারকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে তাদের নাকি ফায়ার লাইসেন্স আছে; কি করে সম্ভব সেটা? কপি চাইলে নিরুত্তর। জমির মালিককে বললে উত্তর, ভাড়া হয় না তাই আর কি করা! তাদের এও জানানো হয় যে সঠিক ব্যবস্থা না গ্রহণ করলে ভবনের স্থপতি হিসেবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করা হবে।

জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এবং মেইনটেন্যান্স বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, আমি বাংলাদেশের সব ভবনের পরিদর্শকদের প্রধান হিসেবে কাজ করি। সংগত কারণে দেশের কোন ভবনের কি অবস্থা, তা নির্দিষ্ট করে আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

এসব দেখার জন্য আমাদের প্রত্যেক এলাকায় পরিদর্শক রয়েছেন। এরপরও সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য থাকলে সেটি আমাদের দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশের বক্তব্যর লিঙ্ক চেয়ে নেন।


মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ