গাজায় একদিনে ১৪৩ জনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৩ হাজার
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে চালানো হামলায় একদিনেই কমপক্ষে ১৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই ভয়াবহ হামলার ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ১০ জনে পৌঁছেছে।
শুক্রবার (১৬ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য আল জাজিরা ও তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-তাওবাহ মেডিকেল ক্লিনিকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৩ জন নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে, আল-তাওবাহ ক্লিনিকের ওপরের তলায় আঘাত হানলে চিকিৎসাধীন রোগীরা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েন। এতে প্রাণ হারান অন্তত ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালযয়ের বরাত দিয়ে আনাদোলু জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৫৩ হাজার ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি আরও ১৫২ জন আহত হয়েছেন। যার ফলে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এরপর প্রায় দুই মাস এই অঞ্চলটিতে তুলনামূলক শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু হামাসের সঙ্গে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে মতবিরোধের জেরে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় পুনরায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ভেঙে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই হামলার নিন্দা জানালেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে