Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন

Dr. Jahangir  Alam

ড. জাহাঙ্গীর আলম

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

দেশের বিভিন্ন খাতে অধুনা যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান খাতটি হলো কৃষি। অতীতে বাংলাদেশ ছিল একটি খাদ্য ঘাটতির দেশ। এ অঞ্চলে প্রতি বছর গড়ে খাদ্য আমদানি করা হতো ১৫ থেকে ২০ লাখ টন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদেশে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয় কৃষির উৎপাদন। ফলে ১৯৭১-৭২ সালে দেশে খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ লাখ টন। এটি ছিল মোট উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ। বর্তমানে সে ঘাটতির হার নেমে এসেছে ১৫ শতাংশেরও নিচে।

স্বাধীনতার পর দেশে মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১০ লাখ টন। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ টনের ওপরে। গত ৫৩ বছরে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩ শতাংশ হারে। যে কৃষক আগে খাদ্য ঘাটতিতে ছিলেন, তিনি এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত। যে শ্রমিকের দাবি ছিল দৈনিক ৩ কেজি চালের সমান মজুরি, তিনি এখন কাজ করেন ১০ কেজি চালের সমান দৈনিক মজুরিতে। কী কৃষক, কী শ্রমিক-কারোরই আর তেমন খাদ্যের অভাব হয় না। না খেয়ে দিন কাটে না কোনো মানুষেরই। কৃষি খাতে এখন উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণ।

বর্তমানে চাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের স্থান হলো সবার ওপরে। তাছাড়া পাট উৎপাদনে বাংলাদেশের স্থান দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। চাষকৃত মৎস্য উৎপাদনে দ্বিতীয়, গম উৎপাদনে সপ্তম ও আলু উৎপাদনে অষ্টম বলে বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চারগুণ, গম দুই, ভুট্টা ১০ ও সবজির উৎপাদন বেড়েছে পাঁচ গুণ। আলু, মৎস্য, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত। চিরকালের দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা আর ক্ষুধার দেশে এখন ঈর্ষণীয় উন্নতি হয়েছে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে।

প্রতি বছর এ দেশে মানুষ বাড়ছে ২০ লাখ। কৃষিজমি কমেছে ৮ লাখ হেক্টর। তারপরও জনপ্রতি সরবরাহ কমছে না কৃষিপণ্যের। বরং তা বাড়ছে নিরন্তর। বিবিএস প্রদত্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, শস্য কৃষি খাতের উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা গত ৫৩ বছর ধরে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার থেকে গড়ে অনেকটা বেশি ছিল। গত ৩ বছরও তার কোনো ব্যতিক্রম ছিল না । ২০২০-২১ সালে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ, ২০২১-২২ সালে ছিল ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে ছিল ২ দশমিক ৬১ শতাংশ। তবে কোনো কোনো সময় তার চেয়ে অনেক বেশিও অর্জিত হয়েছে। যেমন ২০০৬-০৭ সালে ছিল ৭ শতাংশ এবং ২০০৯-১০ সালে ছিল ৭.৫৭ শতাংশ। আবার কোনো কোনো সময় ছিল কম। যেমন ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ সালে প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৮৮ এবং শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ। তবে দীর্ঘ মেয়াদে গড়ে তা সন্তোষজনক; কিন্তু ধান উৎপাদনের প্রবৃদ্ধিতে সম্প্রতি অনেকটা ভাটা পড়েছে।

চালের হিসাবে ২০১৯-২০ সালে মোট উৎপাদন ছিল ৩৮৬ দশমিক ৯৫ লাখ মেট্রিক টন। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে ছিল ৩৭৬ দশমিক ০৮ লাখ মেট্রিক টন। প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঋণাত্বক ২ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর ২০২১-২২ সালে মোট উৎপাদন ছিল ৩৯১ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন । প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালে মোট উৎপাদন ছিল ৩৯০ লাখ মেট্রিক টন। প্রবৃদ্ধির হার ঋণাত্বক শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ গত ৩ বছরের গড় প্রবৃদ্ধির হার হলো শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ। এ সময় জনসংখ্যার গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ফলে চালের উৎপাদন বৃদ্ধির হার জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির হারকে ছাপিয়ে বড় ধরনের উদ্বৃত্ত সৃষ্টি করতে পারেনি। সে কারণে এবং খাদ্যশস্যের আন্তর্জাতিক মূল্য বৃদ্ধির চাপে অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম বেড়েছে। তাতে উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি তাড়িত মূল্যস্ফীতি অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কারসাজিও জড়িত আছে।

চালের উৎপাদন সম্পর্কে বিবিএস প্রদত্ত তথ্যের সঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রদত্ত তথ্যের বড় ফারাক। কৃষি বিভাগের তথ্যে উৎপাদনের ঊর্ধ্বমুখী পক্ষপাত থাকা বিচিত্র নয়। এক্ষেত্রে বিবিএস প্রদত্ত তথ্যই বেশি গ্রহণযোগ্য। তারা তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ; কিন্তু তারা উৎপাদনের তথ্য বিশ্লেষণ ও তা প্রকাশে অনেক বিলম্ব করে থাকেন। যখন প্রকাশিত হয় তখন তা প্রধানত লাইব্রেরি ও ব্যক্তিগত আলমারিতে শোভাবর্ধন করে মাত্র। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে খাদ্যে সদয় স্বয়ম্ভবতার মাত্রা নির্ধারণ, আমদানি- রপ্তানির নীতিমালা প্রণয়ন এবং কর ও শুল্ক আরোপের হার নির্ধারণে তা খুব বেশি কাজে লাগে বলে মনে হয় না।

চাল উৎপাদনে সাম্প্রতিক ধীরগতির পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, কৃষিজমি হ্রাস ও শস্যের বৈচিত্র্যকরণ উল্লেখযোগ্য।ফলে ধান চাষের আওতায় জমির পরিমাণ কমছে। কৃষকরা ধান চাষে পরিশ্রম করেন বেশি। খরচও বেশি। সে তুলনায় লাভ কম। সরকার ধান সংগ্রহের যে মূল্য নির্ধারণ করেন, উৎপাদন মৌসুমে কৃষকরা তার দুই-তৃতীয়াংশও অনেক সময় পান না। খামার প্রান্ত থেকে তারা ফড়িয়া ও বড় ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধির কাছে ধান বিক্রি করেন অনেক কম মূল্যে। যখন ধানের দাম বাড়ে তখন কৃষকের হাতে আর উদ্বৃত্ত থাকে না। চলে যায় চাতালের মালিকদের গুদামে। তারাই বেশি দামে চাল বিক্রি করে লাভবান হন। ঠকেন কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই। সেক্ষেত্রে সরকারের বাজার হস্তক্ষেপ বেশ অকার্যকর। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় ঘাত সহিষ্ণু জাতগুলোর সম্প্রসারণ সীমিত। ভর্তুকি ও প্রণোদনার পরিমাণ অপর্যাপ্ত।

সম্প্রতি রাসায়নিক সারের দাম বিশ্ব বাজারে প্রায় ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশে সারের উচ্চমূল্য এখনো বহাল রয়েছে। বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে ২০২২ সালের মধ্যভাগ থেকে পরপর দুবার সারের দাম বাড়ানো হয়েছিল অভ্যন্তরীণ বাজারে। এখন বিশ্ববাজারে দাম কমলেও বাংলাদেশে তা ২০২২ সালের প্রথমার্ধে প্রচলিত মূল্য সীমায় প্রত্যাবর্তন করেনি। সেচের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয় সেচযন্ত্রে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ওপর। ডিজেলে কোনো ভর্তুকি নেই। অথচ দেশে পানি সেচ প্রদানের কাজে নিয়োজিত শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ সেচযন্ত্রই এখনো ডিজেলনির্ভর। কৃষিযন্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার ৫০ শতাংশ এবং ক্ষেত্র বিশেষে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে। বর্তমানে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সেচ যন্ত্রের দাম টাকার অঙ্কে অনেক বেড়ে গেছে। চলমান ভর্তুকিতে আগের তুলনায় অনেক বেশি টাকা খরচ করে কৃষিযন্ত্র কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না অনেক কৃষক। এক্ষেত্রে ভর্তুকি বাড়ানো দরকার। কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। সামনে বাজেট। তাতে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করা দরকার কৃষিকে। তার প্রতিফলন দরকার বাজেট বরাদ্দের নীতিমালা।

গত প্রায় এক যুগ ধরে জাতীয় বাজেটের আকার দ্রুত বাড়ছে। সে তুলনায় কৃষি বাজেট বাড়ছে না। ২০১১-১২ অর্থবছরের মোট বাজেটে কৃষি বাজেটের হিস্যা ছিল ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশে। একইভাবে কৃষি ভর্তুকির হিস্যা নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৩ শতাংশে। গত বাজেটে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। বাস্তবে খরচ হয়েছে আরো প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। আগামী অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণ করা উচিত। গত বছর বৃহত্তর কৃষি খাতে (৫টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে) বরাদ্দ করা হয়েছিল ৪৩ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেট বরাদ্দের (৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা) ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ ছিল। এবার প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার সংস্থান থাকতে পারে নয়া বাজেটে। তার ন্যূনপক্ষে ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা উচিত কৃষি খাতে। সেইসঙ্গে কৃষি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ আমদানিতে কর ও শুল্ক রহিত করা উচিত। অর্থাৎ কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রণয়ন করা উচিত বাজেটের নীতিমালায়।

বর্তমানে আমরা উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছি। তাতে অনেক কষ্ট করছেন দেশের সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য ধান উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা ছাড়া চড়া মূল্যস্ফীতি ঠেকানো খুবই দুষ্কর। এ বছর বাংলাদেশ দীর্ঘ খরা অতিক্রম করেছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠের ফসল। এল নিনোর প্রভাবে এবার বিশ্বজুড়েই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফিলিপিন এবং আফ্রিকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খরা ও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। অন্যদিকে চীন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও রাশিয়া হয়েছে বন্যাকবলিত। তাতে বিপর্যস্ত হয়েছে বৈশ্বিক উৎপাদন। ফলে দাম বেড়েছে খাদ্যপণ্যের। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অভ্যন্তরীণ কৃষি উৎপাদন বিশেষ করে ধানের উৎপাদন না বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা দুরূহ। এমন পরিস্থিতিতে ফসল কৃষিখাতে বিনিয়োগ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি।

বর্তমান দশকে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। টেকসই কৃষি উন্নয়নের একটি প্রধান লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা নির্মূল করা এবং সবার জন্য খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য ও পুষ্টির সরবরাহ নিশ্চিত করা টেকসই কৃষি উন্নয়নের আর একটি প্রধান লক্ষ্য। তাছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্যের উৎপাদন দ্বিগুণ করা এবং বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মতো কৃষি উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে স্থায়িত্বশীল কৃষি ব্যবস্থার প্রবর্তন করা এর অপর একটি লক্ষ্য। অন্যান্য লক্ষ্যের মধ্যে আছে কৃষিজমিতে সবার অভিগম্যতা ও এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা, শস্য ও প্রাণিসম্পদের জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ণ রাখা, বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করা এবং কৃষি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।

কৃষির বিভিন্ন উপখাতে ক্রমাগতই উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে; কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও সবার জন্য খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে এবং তা টেকসই করতে হলে এ প্রবৃদ্ধির হার আরও গতিশীল করা দরকার। সে কারণে কৃষিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা দরকার। জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতের হিস্যা বাড়ানো দরকার। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে কৃষি খাতের বাজেট বরাদ্দ ও ভর্তুকি হ্রাস পেয়েছে। এখন তা কিয়দাংশ বৃদ্ধি পেলেও স্থায়িত্বশীল কৃষি উন্নয়নের জন্য তা যথেষ্ট নয়। এর পরিমাণ আরও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে কৃষির চিরায়ত উৎপাদন ব্যবস্থাকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত করার জন্য পুঁজির সঞ্চার ঘটাতে হবে। তাছাড়া কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাত শিল্প স্থাপনে এবং এর বিপণনে বিশেষ সহায়তা প্রদান করতে হবে। কৃষিকে লাভজনক ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে পরিগণিত করতে হবে। উপকরণের দাম কমাতে হবে। যান্ত্রিকীকরণ সম্প্রসারিত করতে হবে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে কৃষি পণ্যের। সর্বোপরি কৃষকের জীবন মান উন্নত করার জন্য থাকতে হবে রাজনৈতিক অঙ্গীকার।

লেখক: কৃষি অর্থনীতিবিদ, পরিচালক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস এবং প্রাক্তন উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ