Views Bangladesh Logo

স্বল্পমূল্যে ওষুধ দিতে সরকারি হাসপাতালে ফার্মেসি চালু হচ্ছে

স্বাস্থ্যসেবাকে সহজলভ্য এবং জনগণের দোরগোড়ায় নিতে নতুন বন্দোবস্ত হিসেবে প্রথমবারের মতো সারা দেশে সরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে ফার্মেসি খুলতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত এই সুবিধা চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চালু হতে যাওয়া এই সরকারি ফার্মেসিগুলোতে জীবন রক্ষাকারী ২৫০ ধরনের ওষুধ দিয়েই ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা চালানো সম্ভব বলেও মনে করে মন্ত্রণালয় ।

মন্ত্রনালয় সূত্র বলছে, সারাদেশে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে আক্রান্ত কয়েক কোটি মানুষ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ জরিপও বলছে, একজন রোগীর গড় চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৪ শতাংশই যায় ওষুধ কেনার পেছনে। ফলে, ওষুধ কিনতে গিয়েই প্রতি বছর দরিদ্র হন অনেক রোগী। এসব রোগীর কথা চিন্তা করেই এবার তিন ভাগের এক ভাগ দামে ওষুধ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এখন শুধু সরকারি ও বিশেষায়িত হাসপাতালেই বহির্বিভাগের জন্য ওষুধের বন্দোবস্ত বা স্টোর আছে। কোনো ফার্মেসি রাখা হয়নি।

বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ল্যাব সার্ভিস ও প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিস আছে। কিন্তু কোথাও কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস নেই। এটি নতুন বন্দোবস্ত, যা চালু হবে। সরকারের হাসপাতালগুলোতে পর্যায়ক্রমে এই ব্যবস্থা চালু হবে’।

‘এবার থেকে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বাড়বে, প্রয়োজন অনুসারে বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে, বাড়ানো হবে সরকারের ওষুধ উৎপাদন সক্ষমতাও’- বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলছে, বছরে ১৩শ কোটি টাকার ওষুধ কেনে সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি-ইডিসিএল। এর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। এছাড়াও সরকারি ফার্মেসির বড় চ্যালেঞ্জ ওষুধ চুরি ঠেকানো। তাই, পুরো ব্যবস্থা ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া চলছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ