Views Bangladesh Logo

ইরানে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বিচারক নিহত

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

রানে দুজন বিশিষ্ট কট্টরপন্থী বিচারক ও ধর্মগুরুকে গুলি করে হত্যা করেছে একজন বন্দুকধারী। নিহত হোজ্জাতোলেসলাম মোহাম্মদ মোকিসেহ ও হোজ্জাতুল ইসলাম আলী রাজিনির বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালে ‘ভিন্ন মতাবলম্বীদের গণহত্যায়’ অংশ নেয়ার অভিযোগ তুলে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা কর্মকর্তাদের।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছেন, উভয় ধর্মগুরু ইরানের সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মধ্যে ১৯৮৮ সালে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ফাঁসির রায় দিয়েছিলেন রাজিনী। তিনি সম্ভবত ১৯৯৯ সালে একটি হত্যা প্রচেষ্টাসহ অতীতেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। তবে কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে গুলির দায় স্বীকার করেনি।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানী তেহরানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে গুলি চালানোর পর নিজেও আত্মহত্যা করেন হামলাকারী। কঠোর নিরাপত্তার মাঝেই দেশটির বিচার বিভাগের সদর দপ্তরটিতে ওই হামলায় আহত হন একজন বিচারকের একজন দেহরক্ষীও।

তাদেরকে হত্যা এবং বিচার বিভাগকে লক্ষ্য করে এই বিরল হামলাটি ইরানে অর্থনৈতিক সংকট, ইসরায়েলের হাতে তার মধ্যপ্রাচ্য মিত্রদের অপমান এবং হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের আগ মুহূর্তে
সংঘটিত হলো।

দেশটির বিচার বিভাগ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের ৩৯ নম্বর শাখার প্রধান হোজ্জাতুল ইসলাম আলী রাজিনি এবং ৫৩ নম্বর শাখার প্রধান হোজ্জাতোলেসলাম মোহাম্মদ মোকিসেহকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন একজনমাত্র সশস্ত্র হামলাকারী। আদালতের বাইরে বিচারকদের হত্যার পর তিনি নিজেকেও হত্যা করেন।

বিবৃতিতে বিচার বিভাগ আরও বলেছে,‘নিহত দুই বিচারক জাতীয় নিরাপত্তা অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ এবং গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। তারা দুজন ছিলেন অভিজ্ঞ এবং সাহসী’

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টে হামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। আদালতে দর্শনার্থী হিসেবেও যাননি তিনি। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানায় বিচার বিভাগ।

তবে হামলাকারীর পরিচয় এবং তার উদ্দেশ্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।


মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ