ভারত-শাসিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় পাঁচজন পর্যটক নিহত
ভারত-শাসিত কাশ্মীরে একদল পর্যটকের ওপর গুলি চালিয়ে কমপক্ষে পাঁচজনকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। আহত বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে পহেলগামে হওয়া এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটিতে ১৯৮৯ সাল থেকে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে বিদ্রোহীরা। তারা স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সাথে একীভূত হওয়ার চেষ্টা করছে, যে দেশটি কাশ্মীর অঞ্চলের একটি ছোট অংশ নিয়ন্ত্রণ এবং ভারতের মতোই এটিকে সম্পূর্ণরূপে দাবি করে।
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হিমালয় অঞ্চলের প্রবীণ রাজনীতিবিদ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
‘পর্যটকদের ওপর কাপুরুষোচিত তীব্র নিন্দা জানাই, যেখানে মর্মান্তিকভাবে পাঁচজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন’ - বলেছেন জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা রবীন্দ্র রায়না ভারতীয় সম্প্রচারকদের বলেছেন, ‘এই কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসীরা কাশ্মীর ভ্রমণে আসা নিরস্ত্র নিরীহ পর্যটকদেরও লক্ষ্যবস্তু করেছে’।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটক কাশ্মীরে যান, যাদের বেশিরভাগই দেশি।
২০২৩ সালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাজ্যটির রাজধানী শ্রীনগরে জি২০ পর্যটন সভা আয়োজন করেছিল ভারত। যেন দেখানো যায়, ২০১৯ সালে নয়াদিল্লির সীমিত স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর ব্যাপক দমন-পীড়ন সত্ত্বেও কর্মকর্তারা যাকে ‘স্বাভাবিকতা ও শান্তি’ বলে অভিহিত করেন, তা ফিরে আসছে।
ওই বছর মোদির সরকার আংশিক স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে নয়াদিল্লি থেকে সরাসরি এই অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পর থেকে সংঘর্ষ কমে গেছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে