ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হলে অস্ত্র জমা দেবে হামাস
হামাসের এক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা বলেছেন, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে পাঁচ বছর বা তারও বেশি সময়ের যুদ্ধবিরতিতে যেতে ইচ্ছুক। ১৯৬৭-পূর্ববর্তী সীমান্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলে তারা তাদের অস্ত্র জমা দেবে এবং একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে।
কয়েক মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই বুধবার (২৪ এপ্রিল) ইস্তানবুলে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া।
তবে হামাসের এ পরামর্শ ইসরায়েল বিবেচনায় নেবে বলে মনে হয় না। কারণ গত ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হামলার পর হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে দেশটি।
আল-হাইয়া বলেন, হামাস গাজা ও পশ্চিম তীরের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ গোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনে যোগ দিতে চায়।
তিনি বলেন, হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা মিলে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের ১৯৬৭-পূর্ববর্তী সীমান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক রেজুলেশনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন মেনে নেবে।
হামাস নেতা বলেন, যদি তা হয় তাহলে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা বিলুপ্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তারা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে এবং অধিকার ফিরে পেয়েছে। সেই সঙ্গে তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিণত হয়েছে এবং তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী জাতীয় সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর মধ্যে দিয়ে সেদিন থেকে শুরু হয় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৪ হাজার ২৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে