তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী এখন অগ্নিযুগে প্রবেশ করেছে। গত বছর ছিল ইতিহাসে এ যাবতকালের মধ্যে উষ্ণতম বছর। আশায় ছিলাম, এ বছর হয়তো সে তাপ সামান্য হলেও কিছুটা কমবে; কিন্তু তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং একের পর এক রেকর্ড তৈরি করে ২০২৪ সালও হতে যাচ্ছে আর একটি উষ্ণতম বছর। বিশ্বের সব স্থানের সারা বছরের গড় তাপমাত্রা হিসাব করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এটা বলে দেয়। সারা বছর যেমন তেমন, গ্রীষ্মকালটা যেন এবার আগের চেয়ে বেশি আমাদের তাপিত করেছে। দেশের তো বটেই, এশিয়ার ছয়টি দেশে এখন চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিযাসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। দেশের কোনো কোনো স্থানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি। স্মরণকালে বিগত ৭২ বছরের মধ্যে গ্রীষ্মের যে স্বরূপ আমরা দেখিনি, এখন তার মুখোমুখি হয়ে প্রাণপাত পর্যন্ত করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে ১০ জন। বাড়ছে তাপজনিত পানিশূন্যতা ও ডায়রিয়া।
এক দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা শহরে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া বাংলাদেশের সাম্প্রতিক এই তাপপ্রবাহের খবর প্রকাশ করেছে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে। তারা বলেছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে কোনো কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এতে শিশুসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হযেছে। দেশে ৩০ লাখ শিশুর স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়েছে তাপপ্রবাহের ঝুঁকি বিবেচনা করে। স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও ফিলিপাইনও। তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে, গরমকে পরিহার করার জন্য অনেক মানুষ ঘরের ভেতর থাকছে।
কিন্তু সাধারণ কর্মজীবী মানুষ কি করবেন? যিনি রিকশা চালান, গাড়ি চালান, কুলিগিরি করেন, ফসলের খেত নিড়ান- তাকে তো বাইরে যেতেই হবে। কাজ করতে করতে ক্লান্ত হলেও ঢাকা শহরে অধিকাংশ জায়গায় একটু ছায়াও নেই যে, তারা কিছুক্ষণ সেখানে জিরিয়ে নেবেন। স্বস্তির বৃষ্টির দেখাও নেই। এই তীব্র তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষদের কেবলই হাঁসফাঁস করে বাঁচতে হচ্ছে, কেউ কেউ তা সহ্য করতে না পেরে সেই নির্মম নিষ্ঠুর তাপপ্রবাহের কাছেই প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছেন, যাকে কবিগুরু বলেছেন ‘কঠোর মিলনমেলা’। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত, চারদিক দারুণ দাহনবেলা, মাঠঘাট মাটি ফেটে চৌচির, জলাশয় জলশূন্য, শুষ্কপ্রায় বৃক্ষলতায় ম্রিয়মান পাতারা, হঠাৎ দমকা হাওয়ায় ওড়ে পথের ধুলো, একটু জল আর ছায়ার জন্য যখন মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে, সে ব্যাকুলতা যেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও আচ্ছন্ন করেছিল, প্রকৃতির দাহনকালের সেই নিষ্ঠুরতার সঙ্গে আমাদের মিলিত না হয়ে উপায় কী? তাপপ্রবাহের কাছে কারও কারও মৃত্যুর নামলিপি লেখা আর সংবাদের শিরোনাম হয়ে ওঠা- এই যেন আজ আমাদের অমোঘ নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কাছে এ যেন আমাদের এক অসহায় আত্মসমর্পণ।
এ কারণেই হয়তো কবিগুরু লিখেছেন:
‘নাই রস নাই, দারুণ দাহনবেলা।
খেলো খেলো তব নীরব ভৈরব খেলা।
যদি ঝরে পড়ে পড়ুক পাতা
ম্লান হয়ে যাক মালা গাঁথা,
থাক জনহীন পথে পথে মরীচিকাজাল ফেলা।
শুষ্ক ধুলায় খসে পড়া ফুলদলে
ঘূর্ণি-আঁচল উড়াও আকাশতলে।
প্রাণ যদি করো মরুসম
তবে তাই হোক-হে নির্মম,
তুমি একা আর আমি একা,
কঠোর মিলনমেলা।’
ঢাকা শহর নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা তথ্য আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরের যেসব স্থান গাছপালায় সমৃদ্ধ, সেসব এলাকার বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যেখানে গাছপালা নেই বা খুব কম তার তুলনায় প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। এ মাসেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস-এর এক গবেষণা সমীক্ষায় উঠে এসেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা ধরে গাছপালা ও ২২ শতাংশ এলাকা ধরে জলাশয় রয়েছে। এ কারণে সেখানে অন্যান্য এলাকার তুলনায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকে। আমরা কি কেউ কখনো শ্রীমঙ্গলে লাউয়াছড়া বনের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তায় কখনো হেঁটেছি? যদি এই গরমকালে কেউ সেখানে হেঁটে থাকি, তাহলে পার্থক্যটা খুব সহজেই বুঝতে পারব। আহা, কি শান্তি সেখানে! মনে হয় যেন এসি রুমের মধ্যে হেঁটে যাচ্ছি, একটা হিমশীল পরশ দেহ মনে নিয়ে আসে শান্তির পরশ; কিন্তু ঢাকা শহরে, এমনকি দেশের অন্যান্য শহরগুলোতেও বৃক্ষের এরূপ ছায়া নেই যে সেখানে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে এক দণ্ড দাঁড়িয়ে আমরা সেই শান্তির পরশ পাব।
এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য মসজিদে-মন্দিরে চলছে প্রার্থনা। গত ২২ এপ্রিল ছিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। সে দিন নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িযা ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামে আয়োজন করা হযেছিল ব্যাঙের বিয়ের। মহাধুমধাম করে বিয়ের জন্য ছাদনাতলা, পুষ্পমাল্য, গায়ে হলুদ, ধান-দূর্বার আশীর্বাদ, ভোজন সব ব্যবস্থা করেই দুটি ব্যাঙের বিয়ে দেয়া হয়েছিল বৃষ্টির আশায়। তবুও দেখা নেই বৃষ্টির। বৈশাখে আসে কালবৈশাখী ঝড়। ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির এ রুদ্ররূপের সঙ্গে আমরা পরিচিত। তীব্র গরমে কোনো এলাকার বাতাস হঠাৎ করে ওপরে উঠে যায়, সে জায়গা খালি হলে সেখানে পাশের এলাকা থেকে বাতাস এসে হঠাৎ দখল নেয়ায় সৃষ্টি হয় কালবৈশাখী ঝড়ের। সঙ্গে বজ্রপাত ও বৃষ্টি। গত বছর বৈশাখে এ সময়ের মধ্যে পাঁচটি কালবৈশাখী ঝড় সংঘটিত হলেও, এ বছর তার দেখা নেই। অথচ বৈশাখ মাস যাই যাই করছে। এ সময় আকাশ কালো করে আঁধার ঘনিয়ে প্রকৃতি নিয়ে আসে যে কালবৈশাখীর সংকেত, এবার সেরূপ কোনো প্রাকৃতিক সংকেত এখনো আমরা পাইনি। যদিও গ্রীষ্মের পথে পথে বনে-বাগানে শোভা ছড়াচ্ছে কনকচূড়া-কৃষ্ণচূড়া ফুলেরা, কিন্তু ফুলেদের সেই শোভা দেখাও এখন যেন অসহ্য মনে হচ্ছে, প্রতি থোকা কৃষ্ণচূড়া ফুল যেন এক একটা আগুনের গোলা, চূড়ার মতো ঊর্ধ্বমুখী কনকচূড়ার পুষ্পমঞ্জুরি যেন তাপপ্রবাহের লেলিহান অগ্নিশিখা।
এই তাপপ্রবাহ থেকে মানুষ ও প্রাণীদের রক্ষা করতে পারে গাছপালা। সাধারণভাবে বলা হয়, সুপরিবেশ ও মানুষের শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য অন্তত সে এলাকার ২৫ শতাংশ এলাকায় গাছপালা থাকা দরকার। ঢাকা শহরে সঠিক কি পরিমাণ গাছপালা আচ্ছাদিত এলাকা আছে, তা জানতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) যৌথভাবে একটি গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরে ১৯৮৯ থেকে ২০২০ সালে অর্থাৎ ৩১ বছরে গাছপালা কমেছে ৫৬ শতাংশ। এখন ঢাকা শহরে মাত্র ২ শতাংশ এলাকাজুড়ে সমৃদ্ধ ও পরিবেশবান্ধব প্রজাতির গাছপালা টিকে আছে। গাছপালার এই সমৃদ্ধ এলাকাগুলো হচ্ছে রমনা, সোহরাওয়ার্দী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারণে এ এলাকার তাপমাত্রা মতিঝিলের চেয়ে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকে। বলা হয়, ঢাকা শহরে মোট বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মাত্র ৮ শতাংশ, বাস্তবে বিগত কয়েক দশকের গবেষণা করলে প্রতি দশকে ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে গাছপালা হ্রাসের পরিমাণ আরও নিখুঁতভাবে নিরূপণ করা যাবে। আর সেটা জানতে পারলে আমরা করণীয়টাও ঠিক করতে পারব, সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে একটি সবুজ পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তুলতে পারব। শহরে থাকি বলে হয়তো শহরের কথা আগে মনে আসে।
এ শহরে সব শহরের চেয়ে বেশি মানুষ বাস করে। ঢাকা দেশের সব শহরের মধ্যে নাজুক অবস্থায় আছে বলে তার কথা মনে আসে সবার আগে। গ্রামেও তাপপ্রবাহ গ্রাস করেছে। সেখানেও গ্রামীণ জঙ্গলগুলো বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারণে ও চাষের জমির জন্য উজাড় হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র বানাতে আমাদের গ্রামের প্রবীণ গাছগুলো প্রতিনিয়ত উন্নয়নের বলি হচ্ছে। নতুন তরুণ গাছ কখনো প্রবীণ গাছের বিকল্প হতে পারে না। নবীন গাছ প্রবীণ হতে যত সময় লাগবে, ততদিন বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি থেমে থাকবে না। তবুও গাছ লাগাতে হবে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসের (১৭০৭-১৭৭৮) শোয়ার ঘরের দরোজায় লেখা ছিল ‘যদি একটি গাছের মৃত্যু ঘটে, তার জায়গায় আর একটি গাছ রোপণ করো।’ তিনি বলেননি গাছ কাটার কথা। গাছের প্রাকৃতিক মৃত্যু ঘটলে তার পুনরুজ্জীবন হয় না, সেখানে সেই শূন্যতা মানুষকেই পূরণ করতে হয়।
এখন অনেক গ্রামে গেলেই সেই ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলোতে এখন আগের মতো চিত্র দেখা যায় না। সেখানেও এখন পাকা রাস্তা হয়েছে, জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে, আগের পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী তথা কাঠ-গোলপাতা-বাঁশ ব্যবহার করে যেসব ঘরবাড়ি-গোয়াল বানানো হতো, সেখানে এসেছে ইট-বালু-সিমেন্ট-টিন। এগুলোও তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে; কিন্তু গ্রামে নিয়ে আমাদের গবেষণা ও ভাবনা শহরের তুলনায় অনেক কম। শহরের চেয়ে এ দেশে গ্রামেই বেশি মানুষ থাকে ও আয়তনও বেশি। তাই গ্রামগুলোকে সবুজ শ্যামলিমায় ভরে দিতে পারলে, গ্রামের জলাশয়গুলোকে সংস্কার ও সংরক্ষণ করতে পারলে, খাল ও নদীর প্রবাহকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে তা আমাদের এই দেশকে তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখবে। তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে গাছপালা ও জলাশয়ের কথা বারবার আসছে এ কারণে যে, তাপমাত্রা কমাতে এগুলোর কোনো বিকল্প নেই এবং তাপপ্রবাহে আমাদের শান্তির শেষ আশ্রয়টুকু ওখানেই। আগে প্রায় প্রতিটি গ্রামেই অন্তত একটি বিশাল অশ্বত্থ বা বটগাছ থাকত। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের খেতের মধ্যেও থাকত দু-একটি গাছ। শ্রমজীবী মানুষ ও কৃষকরা খেতে তাপপ্রবাহের মধ্যে কাজ করতে করতে সেখানে একটু জিরিয়ে নিতেন। গ্রামের মানুষের সেসব গাছের তলায় সমবেত হতেন, সদ্ভাব বিনিময় হতো। আজ সেসব উধাও। শহর তো বটেই, গ্রামেও এখন মানুষরা গাছের স্নিগ্ধ শান্তির ছায়া ছেড়ে শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে ঘরে ঘরে এসি লাগিয়ে। এতে করে তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে আপাতভাবে নিজেকে কিছুটা সময়ের জন্য রক্ষা করা গেলেও আসলে তা আমাদের অমঙ্গল ডেকে আনছে। এসি আমাদের বাতাসের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
প্রকৃতিকে অবজ্ঞা করে, তার ওপর আস্থা না রেখে মানুষ যখনই অন্য কিছু করেছে তখনই তার বিলোপ ঘটেছে। তাই তাপপ্রবাহের চরম অবস্থা সৃষ্টির আগেই আমাদের অবশ্যই সবাইকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ দেশে বুদ্ধিজীবী ও পরিকল্পনাবিদের অভাব নেই। সাধারণ মানুষ এসব না বুঝলেও তারা নিশ্চয়ই দূরদর্শী ও আগামী দিনগুলোতে কি ঘটতে যাচ্ছে, তা অনেকটাই বুঝতে পারেন। যদি সবাই সম্মিলিতভাবে একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা এখনই না করেন ও সে অনুযায়ী দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ না নেন, তাহলে আগামীতে এ বছরের তাপপ্রবাহের চেয়ে আরও ভয়াবহ কঠিন এক পরিস্থিতি আমাদের সামনে ধেয়ে আসছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শতবর্ষ আগেই তা বুঝতে পেরে তাকে ‘কঠিন মিলন’ বলে অখ্যায়িত করেছিলেন। জীবনের জন্য উন্নয়ন, প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন নয়, সে উন্নয়ন কখনো টেকসই হবে না। মানুষের জীবনকে উপেক্ষা করে কোনো উন্নয়ন নয়। আগে জীবন, পরে জীবিকা ও উন্নয়ন। জীবন ও প্রকৃতি বাঁচাতে এখনই এগিয়ে আসা দরকার। না হলে এরূপ উপর্যুপরি তাপপ্রবাহে আমরা হারিয়ে ফেলব আমাদের অনেক স্বজনকে, বিপর্যস্ত হবে পরিবেশ ও প্রকৃতি।
মৃত্যুঞ্জয় রায়: কৃষিবিদ ও প্রকৃতিবিষয়ক লেখক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে