এবার ইসরাইলের আরও গভীরে হামলা চালালো হিজবুল্লাহ
ইসরাইলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈরিতায় লড়াইয়ের জন্য তেহরান গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ও আশপাশে গড়ে তুলেছে প্রক্সি বাহিনী। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লেবাননের হিজবুল্লাহ আর ইয়েমেন হুতি।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাসকে হাত খুলে সমর্থন ও সহায়তা দিয়ে আসছে ইরান। এ ছাড়া আরও আছে ইরাক ও সিরিয়ার মিলিশিয়া বাহিনী। এই সবগুলো প্রক্সিই গাজা উপত্যকায় হামলার প্রতিবাদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দূর থেকেই নিজেদের মতে সশস্ত্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
কিন্তু ইরানের মাটিতে ইসরাইলের হামলা চালানোর পর এসব প্রক্সি বাহিনীগুলো ইসরাইলের রাতে ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বিশেষ করে হিজবুল্লাহকে সামাল দিতে ঘাম ছুঁটে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ভয়ংকর সেনাবাহিনী হিসাবে পরিচিত ইসারাইল ডিফেন্স ফোর্স, সংক্ষেপে আইডিএফ-এর।
গাজা উপত্যকায় হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রায় প্রতিদিন রকেট, ড্রোন ও মিসাইল হামলা করে আসছিলো হিজবুল্লাহ। কিন্তু, ইরান-ইসরাইল সরাসরি টক্করের পর যেন আরও ক্ষেপে উঠেছে হাসান নাসরুল্লাহর শিষ্যরা। ইসরাইলের প্রতিটি হামলার জবাব দিতে এক ফোঁটা সময়ও নষ্ট করছে না।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের মাত্রা বাড়িয়েছে আরও হিজবুল্লাহ। সম্প্রতি ইসরাইলের পাঁচটি ড্রোনকে ধ্বংস করে তেল আবিব সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দিয়েছে হিজবুল্লাহ। বুঝিয়ে দিল ড্রোনসহ আকাশযান শনাক্তের উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে হিজবুল্লাহর হাতে।
এরপরই দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলার জবাবে, উত্তর ইসরাইলের সেনা সদর দপ্তরে রকেট চালানোর দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। আল জাজিরা জানাচ্ছে, উত্তর ইসরাইলের এক সেনা সদর দপ্তরে ‘কয়েক ডজন’ কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ।
দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন গ্রাম লক্ষ্য করে ইসরাইলের হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা আইন জেইটিম ঘাঁটিতে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট দিয়ে হামলা করেছে। ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, আইন জেইটিম এলাকায় নিক্ষেপ করা আনুমানিক ৩৫টি রকেট চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর রেশ কাটতে না কাটতে, ইসরাইলে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর আকরেতে হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার শহরটির উত্তরে ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটির ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। তাদের দাবি, গাজা যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইলি ভূখন্ডে তাদের করা সবচেয়ে সফল হামলা এটি।
৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় প্রায় ২৭০ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং আরও প্রায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদিকে, হিজবুল্লাহর রকেট ও ড্রোন হামলাতেও প্রায় এক ডজন ইসরায়েলি সেনা এবং বেশ কয়েকজন বেসামরিক নিহত হন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে