Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

হাইকোর্টের রায় উপেক্ষিত: পর্ব ৩

নদী দখল-উচ্ছেদ নিয়ে চলছে কানামাছি খেলা

Hira  Talukder

হিরা তালুকদার

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দ্বিতীয় পর্বের পর

খল আর দূষণে দেশের অধিকাংশ নদীর চলার পথ এখন রুদ্ধ। যেটুকু চলছে তাও নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একদিকে নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ করছে আবার কিছু দিনের মধ্যেই তা চলে যাচ্ছে দখলদারদের দখলে। উচ্চ আদালতের রায়ে দেশের সব নদীকেই ‘জীবন্ত সত্তা’ (লিভিং এনটিটি) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । অথচ প্রতিনিয়ত দেশের অধিকাংশ নদীকে হত্যা করা হচ্ছে। দখল, ভরাট, শাসন, বালু উত্তোলন ও দূষণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে হত্যা করা হচ্ছে বিভিন্ন নদনদীকে।

হাইকোর্টের রায় অুনসারে নদীকে হত্যা মানে হচ্ছে একটি প্রাণীকে হত্যা। এর জন্য রয়েছে কঠোর আইন; কিন্তু কে মানে কার কথা। প্রশাসনের নাকের ডগায়ই চলছে নদী হত্যার মহাজজ্ঞ। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট রাজধানীর পাশের তুরাগসহ দেশের সব নদীকে ‘লিভিং এনটিটি’ বা ‘জীবন্ত সত্তা’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তার অর্থ হলো, দেশের নদীগুলো এখন থেকে মানুষ বা অন্যান্য প্রাণির মতোই আইনি অধিকার পাবে। আদালতের রায় অনুযায়ী নদীগুলো এখন ‘জুরিসটিক পারসন’ বা ‘লিগ্যাল পারসন’। আইনজ্ঞদের মতে, এর মধ্য দিয়ে মানুষের মতো নদীরও মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। সুতরাং নদীকে হত্যা করার অর্থ হলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হত্যা করা। নদীদূষণ এবং দখলকারী মানবজাতির হত্যাকারী। আদালত স্পষ্ট করে বলেছেন, তুরাগ নদীসহ বাংলাদেশের সব নদীই মূল্যবান এবং সংবিধান, বিধিবদ্ধ আইন ও পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদ দ্বারা সংরক্ষিত। নদী হত্যা প্রাণী হত্যারই শামিল। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এর জন্য ৬ মাসের জেল অথবা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ২০২৩ সালের তথ্য মতে, ঢাকার চারপাশে থাকা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীতে বর্জ্য আসছে একাধিক উৎস থেকে। নদীতে বা তীরে আবর্জনা ফেলা, নর্দমা দিয়ে নদীতে বর্জ্য যাওয়ার কারণে নগরের নদীগুলো দূষিত হচ্ছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) ও ঢাকা ওয়াসার ৪২টি নর্দমা দিয়ে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য যাচ্ছে। নগরের ৭০ ভাগ পয়ঃবর্জ্য চারপাশের চার নদীতে যাচ্ছে। এসব নদী তীরের ২ হাজারেরও বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য নদীতে যাচ্ছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য। এই বর্জ্য মূলত বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষিত করছে। বেশির ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত তরল বর্জ্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও বংশী নদীতে অপসারিত হচ্ছে। এ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে পুরান ঢাকার আশপাশে বুড়িগঙ্গা তীরে পুলিশ প্রহরা বসানোর কথা বলেছেন আদালত; কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হচ্ছে না। ফলে আগের মতোই বুড়িগঙ্গা তীর ও এর ভেতরে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা।

বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে পলিথিন ওঠানোর সরকারের কার্যক্রমও যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে ব্যর্থতার মুখে পড়েছে। মৃত বুড়িগঙ্গা থেকে পানি সংগ্রহ করে তা আর সুপেয় করার সুযোগ পাচ্ছে না ঢাকা ওয়াসা। সেই সুযোগ তৈরিতে এবার যমুনা নদী থেকে পানি এনে বুড়িগঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ জন্য ১৬৩ কিলোমিটার নদীপথ খনন করা হবে। যমুনা থেকে ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশী-তুরাগ হয়ে বুড়িগঙ্গায় আসবে পানি। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পানি দূষণমুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ঢাকার নৌপথ সচল হবে। এদিকে, শুধু ঢাকার চারপাশের চার নদীই নয়, দেশে অধিকাংশ নদনদীই এখন দখল ও দূষণে আক্রান্ত। নদী খেকোরা বিত্ত-বৈভবের সাগরে ডুবে থাকতে প্রকৃতির সম্পদ নদনদী দখল করে পরিবেশকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাবে সাধারণ মানুষ, প্রাণিকূল, উদ্ভিদ বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে। প্রশাসন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং নদীখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় নানা চেষ্টা করে তাদের লাগাম টানা যাচ্ছে না।

একদিকে উজানে বাঁধ দিয়ে ভারত পানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের শত শত নদী শুকিয়ে গেছে; অন্যদিকে নদীর পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় সংকুচিত হচ্ছে এবং নদীর পানি হয়ে পড়েছে ব্যবহারের অনুপযোগী। খনন না করা ও দখলদারদের থাবায় নদীর নাব্য যেমন কমছে, ঠিক একইভাবে কমছে নদীর সংখ্যাও। নদী গবেষকরা বলছেন, ষাটের দশকে সাড়ে সাতশ নদী ছিল বাংলাদেশে। বর্তমানে এ সংখ্যা কমে মাত্র ২৩০টিতে দাঁড়িয়েছে। ৬০ বছরে হারিয়ে গেছে ৫২০টি নদী। যেসব নদী অস্তিত্বের জানান দিয়ে এখনো টিকে আছে শুকনো মৌসুমে এসব নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকে না। ফলে বদলে যাচ্ছে নদীগুলোর গতিপথ, শুকিয়ে মরে যেতে যেতে দেশের মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক নদী। কোনো মতে টিকে আছে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলো।

আইন ও বিশেষজ্ঞদের অভিমত

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ভিউজ বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে বলেন, ‘আদালতের ঘোষণা অনুযায়ী তুরাগসহ নদনদীগুলো এখন থেকে মানুষ বা প্রাণী যেমন কিছু আইনি অধিকার পায়, তেমনি অধিকার পাবে। নদীর কিছু আইনি অধিকার তৈরি হবে এ রায়ের ফলে। ফলে নদী নিজেই তার ক্ষতির বা দখলের বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে। তিনি জানান, তবে নদী তো আর নিজে যেতে পারবে না। সেক্ষেত্রে কেউ তার প্রতিনিধি হয়ে ক্ষতিগুলো আদালতকে জানালে তার প্রতিকার পাবে। তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ে আমাদের দেশের নদীগুলোকেও জীবন্ত সত্তা, জুরিসটিক পারসন বা লিগ্যাল পারসন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং মূলত এর মাধ্যমে মানুষের মতো নদীর মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হলো।’ তিনি বলেন, ‘এখন যে কেউ নদীর ক্ষতির বিষয়টি আইনজীবীর মাধ্যমে বা আইনজীবীরা নিজে থেকেও নদীর ক্ষতি, দখল বা বাধার বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করবেন, নদীর অধিকারের আইনি অধিকারের ভিত্তিতে। যদিও ২০১৫ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় ১৪৯ ধারা প্রয়োগে এক পরিপত্র দিলেও ডিসিরা তার অনুশীলন করছেন না। গত ২০১৯ সালে নদী রক্ষা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশন বলেছে, ‘আগামী এক বছরের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শেষ হবে; কিন্তু এটা টেকসই অর্থে অর্জন করা কঠিন হবে। কারণ, দেশের ৬৪ জেলায় ৪৯ হাজারের বেশি দখলদার চিহ্নিত হয়েছে; কিন্তু তাদের দখলে থাকা জমিগুলোর সীমানা খুব নির্দিষ্ট আছে, তা বলা যায় না।’ এরপর কেটে গেল আরও পাঁচ বছর। এ সময়ে অর্জন খুবই সামান্য। এখনো একদিকে নদী উচ্ছেদ চলে আবার কিছুদিন পরে তা দখল করে নেয় নদীখেকোরা।

নদী গবেষক ও ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, নদী একটি জীবন্ত সত্তা। নদী রক্ষার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের এই ঘোষণা অত্যন্ত ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তিনি বলেন, মানুষের যে বেঁচে থাকার অধিকার নদীর ক্ষেত্রে কি সেটি হবে নাকি নদী কোনো বাধা ছাড়াই প্রবাহিত হবে- এখনো তা পরিষ্কার নয়। তবে এটা ইতিবাচক যে নদীর একটি আইনি ভিত্তি তৈরি হলো যার ওপর ভিত্তি করে কথা বলা যাবে।


তিনি বলেন, ‘আগে নদীর কোনো বৈধ অধিকারই ছিল না। নদী হিসেবে তার বাঁচার অধিকার না থাকায় যেভাবে খুশীকে নদীকে হত্যা করা হচ্ছে। এখন এ রায়টি আসার অর্থ হলো এটি নদীর জন্য খুবই ভালো একটি বিষয়। তবে বিশ্বের অন্য যেসব দেশে নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আদালত সেখানে নদীর অভিভাবক নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি।’

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, তুরাগ নদীকে ব্যক্তি-আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের মধ্যে এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সব নদনদী একই মর্যাদা পাবে।’ তুরাগ নদী নিয়ে বিচারিক তদন্তে প্রায় ৩৬টি অবৈধ দখলের চিত্র বিভিন্ন প্রতিবেদনে এসেছে। সেসবের ওপর ভিত্তি করেই হাইকোর্টে এ রিটের শুনানির সূচনা হয়েছিল। তুরাগকে কেন্দ্র করে রায়টি আসলে আদালত একে সব নদনদীর জন্যই প্রযোজ্য ঘোষণা দিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, ‘অবৈধ দখলদারদের দ্বারা প্রতিনিয়তই কমবেশি নদী দখল হচ্ছে। অবৈধ স্থাপনা তৈরি করায় সংকুচিত হয়ে পড়ছে নদী। এসব বিষয় বিবেচনা করে তুরাগ নদীকে লিগ্যাল/জুরিসটিক পারসন হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’

নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায়

তুরাগ নদ রক্ষায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়টি দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রায়টি ২৮৩ পৃষ্ঠার। রায়টি লিখেছেন বিচারপতি আশরাফুল কামাল। তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। রায়ে আদালত বলেছেন, ‘নদীর বাঁচা-মরার ওপর বাংলাদেশের অস্তিত্ব জড়িত। বাঁচলে নদী বাঁচবে দেশ, বাঁচবে প্রিয় বাংলাদেশ। রায়ের নির্দেশনায় বলা হয়, নদী রক্ষা কমিশনকে তুরাগ নদসহ দেশের সব নদনদীর দূষণ ও দখলমুক্ত করে সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের নিমিত্তে আইনগত অভিভাবক ঘোষণা করা হলো। নদনদী-সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আজ থেকে বাংলাদেশের সব নদনদীর দূষণ ও দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক নৌচলাচলের উপযোগী করে সুরক্ষা, সংরক্ষণ, উন্নয়ন, শ্রীবৃদ্ধিসহ যাবতীয় উন্নয়নে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বাধ্য থাকবে।

নদনদী-সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নদী কমিশনকে সঠিক এবং যথাযথ সাহায্য-সহযোগিতা দিতে বাধ্য থাকবে।’ রায়ে বলা হয়, ‘আগাম প্রতিরোধের নীতি এবং দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের নীতি আমাদের দেশের আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’একই সঙ্গে আদালত তার রায়ে তুরাগ নদকে ‘লিগ্যাল পারসন’ ঘোষণা করে বলেন, ‘অবৈধ দখলদাররা প্রতিনিয়তই কমবেশি নদী দখল করছে। অবৈধ স্থাপনা তৈরি করায় সংকুচিত হয়ে পড়ছে নদী। এসব বিষয় বিবেচনা করে তুরাগ নদকে লিগ্যাল/জুরিসটিক পারসন (আইনগত ব্যক্তি) হিসেবে ঘোষণা করা হলো।’ নদী রক্ষায় বিভিন্ন দেশের আদালতের দেওয়া রায়ের উদাহরণ দিয়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমাদের দেশের সব নদীকে রক্ষা করার সময় এসেছে। যদি তা না করতে পারি তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ রায়ে আরও বলা হয়, ঢাকার চারপাশে বহমান চার নদী রক্ষায় এর আগে আদালত থেকে কোনও নির্দেশনা দেয়া না হলে এত দিনে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর হয়তো বহুতল ভবন দেখা যেত। অথবা তুরাগ নদে অবৈধ দখলদারদের হাউজিং এস্টেট থাকত। তবে এত রায় ও নির্দেশনার পরও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়নে বিবাদীরা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আদালতের নির্দেশনা সঠিকভাবে প্রতিপালন হলে তুরাগ নদ রক্ষায় হাইকোর্টে আরেকটি মামলা করতে হতো না।’একই সঙ্গে আদালত বলেছেন, ‘অবৈধভাবে নদী দখল করে স্থাপনা হচ্ছে আবার হাইকোর্টের নির্দেশে সেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছে প্রশাসন; কিন্তু দেখা যাচ্ছে কদিন পর সেখানে আবারও অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এ যেনো কানামাছি খেলা।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা ও দখল হওয়া নদী পুনরুদ্ধার করতে হবে। এ লক্ষ্যে আইনের কঠোর প্রয়োগ শুরু করা হবে। এ কার্যক্রমে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। নদীকে দূষণমুক্ত করতে ব্যয়সাশ্রয়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। পলিথিন প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।’ তিনি বলেন, ‘নদী যাতে জীবন্ত থাকতে পারে, দখল বা দূষণ না হয় সেটা আমরা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। যেন ভবিষ্যতে আর কেউ নদী দখলের সাহস না করে।’

(চলবে)

আরও পড়ুন
পর্ব: ১

নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব সারা দেশ
পর্ব: ২
নিয়মের তোয়াক্কা না করে দূষণ ছড়িয়ে চলছে ইটভাটা

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ