Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

সরবরাহ বাড়লেও শীতকালীন সবজির দাম চড়া

Mahedi Hasan Murad

মেহেদী হাসান মুরাদ

শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

হেমন্তকাল এখনো শেষ হয়নি। তার আগেই শীতে কাঁপছে দেশের উত্তর জনপদ। অন্যান্য জেলাতেও সুড়সুড়ি দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষ এখনো শীতে কাবু না হলেও শীতকালীন সবজি কিনতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে। বাজারে থরে থরে সাজানো সবজি। বেড়েছে এর সরবরাহও। এর পরও বেশিরভাগ সবজির তুলনামূলক দাম কমেনি। এতে হাতের নাগালে পেয়েও চড়া দামের কারণে এসব সবজি কিনতে পারছেন না অনেকেই। ব্যবসায়ীরা জানান উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এবার দাম একটু বেশি। তবে দাম কমবে বলে জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, কমলাপুর, রামপুরা, কারওয়ান বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। শীতের সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে এলেও দাম তুলনামূলক বেশি। ছোট আকারের একেকটি কপি ৩৫-৪০ টাকা পিস, ছোট আকারের লাউ ৪০-৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, মাঝারি আকারের লাউয়ের দাম ছিল প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ দিকে প্রতি কেজি শিম ৮০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৫০-৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, দেশি গাজর ১২০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, পটোল ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙা, কচুর মুখী, মুলা, ধুন্ধল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। এ ছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৪০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এ ছাড়া বাজারগুলোতে লালশাক ২০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে ডজনপ্রতি সাদা ফার্মের ডিম ১৪০ টাকা, লাল ফার্মের ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২২০, দেশি মুরগির ডিম ডজন প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০, সোনালি মুরগি ৩০০, দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০, ছাগলের মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আলু ৭০, মান ভেদে নতুন আলু ১০০-১১০, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০, রসুন ২২০ এবং আদা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ছয় কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০, এক কেজি ওজনের রুই ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, তেলাপিয়া ২২০, কই ২২০ থেকে ২৪০, মলা ৬০০, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০, দেশি কই ১ হাজার ২০০, শোল ৬০০ থেকে ৯০০, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০, বেলে ৯০০ এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা নুরুল হক বলেন, মাছের বাজার প্রতি সপ্তাহে বাড়ে আবার কমে। আজ ২০ টাকা কমলে, সামনের বাজারে ৩০ টাকা বাড়ে। কাঁচামালের বাজার দিয়ে কোনো ভরসা নেই, তবে তেলাপিয়া, সিলভার ও পাঙাশ মাছ দুইশ টাকার মধ্যে থাকলে মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য কিনতে সুবিধা হয়।

মসলার বাজারে বর্তমানে ভারতীয় জিরা কেজিপ্রতি প্রায় ৭৮০ টাকা, শাহী জিরা কেজিপ্রতি ১৬৬০ টাকা, মিষ্টি জিরা কেজিপ্রতি ২৪০ টাকা, পাঁচফোড়ন কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, রাঁধুনী কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা, মেথি কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা, চিনাবাদাম কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা, কাজু বাদাম কেজিপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা, পেস্তা বাদাম কেজিপ্রতি ২ হাজার ৭৫০ টাকা, ত্রিফলা কেজি প্রতি ১৫০ টাকা, জয়ফল কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা, তেজপাতা কেজি প্রতি ১৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, গোলমরিচ কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা, ধনিয়া কেজিপ্রতি ২৫০ টাকা, সরিষা প্রতিকেজি ১০০ টাকা, কিসমিস কেজি প্রতি ৫২০ থেকে ৫৪০ টাকা, এলাচ কেজিপ্রতি ৩ হাজার ৮০০ টাকা, কালো এলাচ কেজিপ্রতি ৩ হাজার টাকা, লবঙ্গ কেজিপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা, জয়ত্রি কেজিপ্রতি দুই হাজার ৯০০ টাকা, পোস্তদানা কেজিপ্রতি ১ হাজার ৮০০ টাকা, আলুবোখারা কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা, দারুচিনি কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা, খোলা হলুদের গুঁড়া কেজিপ্রতি ৩৭০ টাকা, খোলা মরিচের গুঁড়া কেজিপ্রতি ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে মসলার দামের ভিন্নতা রয়েছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন পাইজাম ও আটাশ চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে না আসায় বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ