নাচে-গানে সাংগ্রাই মাতালেন পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা
নাচে-গানে বান্দরবানের সাংগ্রাই উৎসব মঞ্চ মাতালেন পাহাড়ের এগারোটি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা। শহরের রাজার মাঠে মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবের চতুর্থ দিনে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় চাকমা, ত্রিপুরা, বম, তঞ্চঙ্গ্যাসহ অন্যরাও।
মারমাদের সাংগ্রাই, চাকমাদের বিজু, ত্রিপুরাদের বৈসু ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু মিলে ১২ এপ্রিল থেকে তিন পার্বত্য জেলায় চলছে বৈসাবি বা বর্ষবরণ উৎসব। এতে যুক্ত হয়েছে ম্রোদের বর্ষবরণ উৎসব চাংক্রানও।
মারমা প্রধান বান্দরবান জেলায় তাদের প্রধান উৎসব সাংগ্রাইয়ের সাতদিনের বর্ণিল আয়োজন চলছে ঘরে ঘরে। রাজার মাঠের মূল উৎসবস্থল পরিণ হয়েছে পাহাড়ের এগারোটি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী এবং বাঙালিদের মিলনমেলায়। ভিড় জমিয়েছেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও।
বিকেল সাড়ে ৪টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জলি মং মারমা। মঞ্চে ছিলেন ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং, মানবাধিকার নেত্রী ডনাই প্রু নেলী, উৎসব উদযাপন কমিটি সভাপতি চনু মং মারমা।
নিজ নিজ জনগোষ্ঠীর উৎসবের নামে নিজস্ব গানের তালে তালে পাহাড়ি শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা সমবেতদের মৃগ্ধ করে।
পাশাপাশি ছিল সাংগ্রাই উৎসবের মূল আকর্ষণ মৈত্রী পানিবর্ষণ বা জলকেলিও। পাহাড়ের বিভিন্ন পাড়া থেকে আসা মারমা তরুণ-তরুণীরা আটটি দলে বিভক্ত হয়ে মেতে ওঠেন পরষ্পরের দিকে জল ছেটানোর উৎসবে।
প্রচলিত আছে, জলকেলিতে ভাবের আদান প্রদান করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। উৎসবের পঞ্চমদিন বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ও ষষ্ঠদিন শুক্রবারও (১৮ এপ্রিল) রাজার মাঠে জলকেলি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে বলে জানান উদযাপন কমিটি সভাপতি চনু মং মারমা।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর সাংগ্রাইয়ের সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালা পাহাড়ের সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতার ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হচ্ছে উৎসবটি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে